নৌমন্ত্রীর গাড়ি আটকে বিক্ষোভ
অবৈধভাবে বালু উত্তোলন বন্ধের দাবিতে নৌমন্ত্রী শাজাহান খানের গাড়ি অবরোধ করে মানববন্ধন ও বিক্ষোভ করেছে হরিদাসদী-মহেন্দ্রদী ইউনিয়নের বিক্ষুব্ধ জনতা।
শনিবার (৩ নভেম্বর) বিকেলে হোসেনপুর ও হরিদাসদী-মহেন্দ্রদী ইউনিয়নের বিক্ষুব্ধ জনতা এ মানববন্ধন ও বিক্ষোভ করে।
সম্পর্কিত খবর
জানা যায়, মাদারীপুরের রাজৈর উপজেলায় কুমার নদ থেকে অবৈধভাবে বালু উত্তোলন বন্ধের দাবিতে নৌমন্ত্রী গাড়ি গাড়ি আটকিয়ে রাখে বিক্ষুব্ধ জনতা। পরে নৌমন্ত্রী থেকে নেমে নদীর তীরে গিয়ে সব কিছু পর্যবেক্ষণ করে বালু উত্তোলন বন্ধের নির্দেশ দিলে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়। মন্ত্রী এ সময় উপজেলার উত্তর সীমান্তে একাধিক ইউনিয়নের বিভিন্ন উন্নয়ন কর্মকাণ্ড উদ্বোধন শেষে এই পথে ফিরছিলেন।
বিভিন্ন সূত্র থেকে আরও জানা যায়, জেলার চিহ্নিত প্রভাবশালী অবৈধ বালু ব্যবসায়ীরা প্রশাসনের অনুমতিসহ বিভিন্ন অযুহাত দেখিয়ে রাজৈর উপজেলার টেকেরহাট হ্যামিলটন সেতুর কাছ থেকে শুরু করে হরিদাসদী-মহেন্দ্রদীসহ শ্রীনদী পর্যন্ত কুমার নদ থেকে দীর্ঘদিন ধরে বালু উত্তোলন করে আসছিল। ফলে শংকরদীপাড়, নাগরদী, গোয়ালবাথান, হরিদাসদী, মহেন্দ্রদী, কালীবাড়ী ও শাখারপাড় এলাকায় নদীর দুই তীরে ব্যাপক ভাঙন দেখা দেয়। অবৈধ বালু উত্তোলন বন্ধের দাবি নিয়ে প্রশাসনের দ্বারে দ্বারে ঘুরে কোনো প্রতিকার না পেয়ে ক্ষতিগ্রস্থ এলাকাবাসী ক্রমেই ফুঁসে উঠছিল।
শনিবার বিকেলে নৌমন্ত্রী এই পথেই ফিরছেন এমন খবর জানতে পেরে এলাকাবাসী গোয়ালবাথান উত্তরপাড়া এলাকায় মন্ত্রীর গাড়ির গতিরোধ করে অবৈধভাবে বালু উত্তোলন বন্ধের দাবিতে রাস্তা অবরোধ করে মানববন্ধন ও বিক্ষোভ করতে থাকে।
নদী ভাঙনে ক্ষতিগ্রস্থ সোবহান মাতুব্বর ও বিপ্লব মাতুব্বর জানায়, উপস্থিত জনগণের দাবির মুখে মন্ত্রী এ সময় গাড়ি থেকে নেমে নদীর তীরের ভাঙন কবলিত এলাকা পরিদর্শন করে বালু উত্তোলন বন্ধের আশ্বাস দিয়েছেন। ফলে পরিস্থিতি শান্ত হয় এবং জনতা রাস্তা থেকে অবরোধ তুলে নেন।