প্রেমের টানে সীমান্ত পেরিয়ে এবার এলেন ভারতীয় তরুণী
প্রেম মানে না বারণ,মানে না শাসন, মানে না জাত, ধর্ম-জাতি ও দেশ। সকল বাঁধা-নিষেধ উপেক্ষা করে সীমান্তরক্ষীদের কড়া নজরদারিকে ভয় না করে কাটাতারের বেড়া পেরিয়ে ভারতে থাকা এক নারী বাংলাদশী যুবকের প্রেমে পড়ে দেশ ছেড়েছে। এখন তারা ঘর বেঁধেছে সুখের ও স্বপ্নের। ঘটনাটি ঘটেছে কুষ্টিয়ার দৌলতপুর সীমান্তের জামালপুর গ্রামে।
এ নিয়ে শনিবার (১৫ সেপ্টেম্বর) ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী বিএসএফ ও বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি)'র মধ্যে পতাকা বৈঠক ও হয়েছে।
সম্পর্কিত খবর
বিজিবি সূত্র জানিয়েছে, ভারতের পশ্চিমবাংলার নদীয়া জেলার হোগলবাড়িয়া থানার চরমেঘনা গ্রামের বিশ্বজিত বিশ্বাসের মেয়ে সঞ্জনা বিশ্বাস (১৯) প্রেমের টানে ভারত সীমানা পেরিয়ে গত বৃহস্পতিবার (১৩ সেপ্টেম্বর) বাংলাদেশে চলে আসে। পরে বাংলাদেশের কুষ্টিয়ার দৌলতপুর উপজেলার প্রাগপুর ইউনিয়নের সীমান্ত সংলগ্ন জামালপুর গ্রামের ইদ্রিস আলীর ছেলে লাবু মিয়ার(২৮) হাত ধরে ঢাকায় গিয়ে ঘর বাঁধে।
এ ঘটনায় মেয়েটিকে ফেরত চেয়ে বিএসএফ বিজিবিকে পত্র দেয়। পত্র পেয়ে বিজিবি জামালপুর গ্রামের ইদ্রিস আলীর বাড়ি গিয়ে ভারতীয় মেয়ের সন্ধান চাইলে পরিবারের লোকজন বিজিবিকে জানায় তারা বাড়ির কাউকে না জানিয়ে ঢাকায় চলে গেছে। এনিয়ে শনিবার বেলা ১১টায় জামালপুর সীমান্ত ১৫২/৬(এস) সীমানা পিলার সংলগ্ন নোম্যান্সল্যান্ডে পতাকা বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। পতাকা বৈঠক বিএসএফ’র পক্ষে নেতৃত্ব দেন ভারতের চরমেঘনা ক্যাম্পের অধিনায়ক ইন্সপেক্টর বান কি সিং এবং বিজিবি’র পক্ষে নেতৃত্ব দেন ৪৭ বিজিবি ব্যাটালিয়ন অধিনস্ত প্রাগপুর ক্যাম্পের অধিনায়ক নায়ক সুবেদার সুবোধ পাল। ৩০ মিনিট ব্যাপী চলা বৈঠকে ভারতীয় নারীর সন্ধান পেলে তাকে ফেরতের আশ্বাস দেয় বিজিবি।
এলাকাবাসী জানায়, মোবাইলফোনে দুই দেশের দুই নর-নারীর মধ্য দীর্ঘদিন ধরে প্রেমের সম্পর্ক চলছিল। এরই জের ধরে মেয়েটি ভারত থেকে পালিয়ে এসে বাংলাদশী যুবকের হাত ধরে ঢাকায় পাড়ি জমায়। তারা বিয়ে করেছে বলে এলাকাবাসী জানিয়েছে। প্রাগপুর ইউপি চেয়ারম্যান আশরাফুজ্জামান মুকুল মাষ্টার ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত কর বলেন,প্রেমের সম্পর্কের টানে মেয়েটি ভারত থেকে বাংলাদেশে চলে আসে এবং জামালপুর গ্রামের লাবু মিয়ার সাথে ঢাকায় চলে যায়।