• বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১
  • ||

বই সামনে রেখেই চলছে মেডিকেল পরীক্ষা!

প্রকাশ:  ১৫ আগস্ট ২০১৮, ১২:৫৯
বেনাপোল(যশোর) প্রতিনিধি

শার্শার নাভারনে বই সামনে রেখে হোমিওপ্যাথিক মেডিকেল পরীর্ক্ষার্থীদের পরীক্ষা প্রদান প্রসঙ্গে পত্রিকায় সংবাদ প্রকাশের পর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা একটি তদন্ত কমিটি গঠন করেছে। সম্প্রতি দৈনিক বিভিন্ন পত্র-পত্রিকা এবং কয়েকটি প্রচার বহুল অনলাইন পত্রিকায় সংবাদ প্রকাশ হলে বিষয়টি উপজেলা প্রশাসনের নজরে আসে।

এ বিষয়ে মঙ্গলবার (১৪ আগস্ট) একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসের একাডেমিক সুপারভাইজার নুরুজ্জামানকে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। বিষয়টি তদন্ত পূর্বক জরুরি ভিত্তিতে প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

শার্শার নাভারনে বই সামনে রেখে হোমিওপ্যাথিক প্যারা-মেডিকেল পরীর্ক্ষার্থীদের পরীক্ষা প্রদান প্রসঙ্গে পত্রিকায় সংবাদ প্রকাশের পর বেরিয়ে আসছে থলের বিড়াল। আস্তে আস্তে মুখ খুলতে শুরু করেছে ভুক্তভোগি ব্যক্তিরা।

তথ্যানুসন্ধান জানা যায়, নিয়ম অনুযায়ী হোমিওপ্যাথিক প্যারা-মেডিকেল কলেজে ভর্তি হতে হলে কমপক্ষে শিক্ষাগত যোগ্যতা এসএসসি/সমমান পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হতে হবে। কিন্তু অত্র কলেজের পরিচালক ডাঃ ওবায়দুল কাদির নিয়মনীতি না মেনে এসএসসি/সমমান পরীক্ষার ভুয়া সনদ দেখিয়ে মোটা অংকের টাকার বিনিময়ে ছাত্র-ছাত্রী ভর্তি করে থাকে। একটি কলেজ চালাতে হলে কমপক্ষে ৪জন শিক্ষক থাকা আবশ্যক। কিন্তু সেখানে কোন শিক্ষক নিয়োগ না দিয়ে পরিচালক একাই চালিয়ে যাচ্ছে প্রতিষ্ঠানের সমস্ত কাজকর্ম।

এ কলেজে শিক্ষক হতে হলে ডিএইচএমএস ডিগ্রীধারী হতে হবে। শনিবার সকালে পরীক্ষা চলাকালীন সময়ে পরীক্ষা কেন্দ্রে গিয়ে দেখা যায় পরিচালকের নিজস্ব হোমিও ফার্মেসীর একজন সহকারী সাইফুল ও অপরজন রিজাউল দ্বায়িত্ব পালন করছে যাদের নেই ডিএইচএমএস ডিগ্রী বা নুন্যতম যোগ্যতা। শনিবার সকাল সাড়ে ১১টার সময় স্থানীয় সাংবাদিকরা পরীক্ষা কেন্দ্রে যেয়ে দেখে পরিক্ষার্থীরা সবাই বই খুলে নিজেদের ইচ্ছে মত খাতায় লিখছে এবং শিক্ষক নামধারী এই দু’জন নির্বাক দর্শকের মত বসে আছে।

এ সময় ছবি তুলতে গেলে প্রতিষ্ঠানের পরিচালক ডাঃ ওবায়দুল কাদির ছুটে এসে সাংবাদিকদের ছবি তুলতে নিষেধ করেন এবং বিভিন্ন ধরনের হুমকি দেন।

এল,এইচ,এম,পি,এইচ,টি,এল এইচ,পি, সিএইচ, এল,ডি’র (হোমিওপ্যাথিক প্যারা মেডিকেল কলেজ) প্রতিষ্ঠানের একটি পূর্ণাঙ্গ কমিটি থাকার কথা থাকলেও অত্র প্রতিষ্ঠানের নাম মাত্র একটি কমিটি করা হয়েছে। যে কমিটির সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক নিজেই জানে না তাদের নাম এ কমিটিতে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে।

এ ব্যাপারে নাভারন হোমিওপ্যাথিক প্যারা-মেডিকেল কলেজের সভাপতি আলহাজ্ব সালেহ্ আহমেহ মিন্টু’র নিকট জানতে চাইলে তিনি জানান, আমাকে কমিটিতে অর্ন্তভুক্ত করা হয়েছে কিনা আমি জানি না। যদি আমাকে এ কমিটিতে অর্ন্তভুক্ত করে থাকে তা হলে আমি মামলা করব।

/পি.এস

বেনাপোল,মেডিকেল
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত
close