• শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১
  • ||
শিরোনাম

একান্ত-ব্যক্তিগত

প্রকাশ:  ২৫ জুলাই ২০১৮, ১৬:৫৮
শুভ কিবরিয়া
ফাইল ছবি

রাত বেশ গভীর। বিমানবালাই জানালেন আপনারা সবশেষে নামবেন। তার ইংরেজি কথাটা পুরো বুঝিনি। তবে যা বললেন তার কিছুটা আঁচ করতে পারলাম। কিন্তু কেনো তিনি একথা বললেন তা ঠিক মালুম হলো না।

তবে, এটুকু বুঝেছি যাত্রীরা সব নামলে তবে আমরা নামতে পারব। স্যারকে জানালাম।

সম্পর্কিত খবর

    স্যার একটু উদ্বিগ্ন হলেন। তার অভিজ্ঞতা অনেক। তাই আপাতত সামলে নিলেন এই বলে, আমার পোশাক আর আবদুল্লাহ নাম দেখে বিপজ্জনক কিছু মনে করছে কি না? কিছুটা ব্যঙ্গ করলেন বটে তবে অজানা আশঙ্কা একেবারে উড়িয়েও দেন নাই। এটাই স্যারের কথোপকথনের সৌন্দর্য। বিপদ-আপদ সম্ভাবনা সবক্ষেত্রেই একটা হাস্য-রসের পরত টানতে পারেন।

    বলাবাহুল্য, ৯/১১-এর পরে তখন দুনিয়া জোড়া ইসলামি চরমপন্থীদের নিয়ে একটা উৎকণ্ঠা-সন্দেহ চলছে। সেই বিবেচনায় স্যারের বিরাট আরবি ঘরানার নাম আর পায়জামা-পাঞ্জাবি পোশাক খুব যে সন্দেহের বাইরে থাকবে এমনটা নাও হতে পারে!

    যা হোক, অবশেষে সিঙ্গাপুর বিমানবন্দরে এসে বিমান ল্যান্ড করল। যাত্রীরা সব নামার পর আমাদের নামানো হলো স-সস্মানে। বুঝলাম বেশ কজন সমীহ সহকারে ফলো করছে। কিছুদূর যেতেই একজন ভদ্রলোক এসে করমর্দন করে নিজ পরিচয় দিয়ে জানালেন তিনি এখানকার ফিলিপাইন অ্যাম্বাসির একজন কর্মকর্তা। স্যারকে রিসিভ করতেই এসেছেন। এবার আমরা বুঝলাম, ম্যাগসাইসাই অ্যাওয়ার্ডিকে আনুষ্ঠানিকভাবে সম্মান জানাতেই এই ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।

    উল্লেখ্য, ঢাকা বিমানবন্দর ছাড়ার সময়ও শেষ মুহূর্ত পর্যন্ত বাংলাদেশের ফিলিপাইন দূতাবাসের কর্মকর্তাদের এই আনুষ্ঠানিকতার দেখা মিলেছে। সিঙ্গাপুর বিমানবন্দরে এই আনুষ্ঠানিকতার পুনরাবৃত্তি দেখে এবার আমরা কিছুটা আত্মবিশ্বাসী। হাঁটতে হাঁটতে পথের মধ্যে দেখা মিলল কিছুটা শ্যামবর্ণের বেঁটে করে এশিয়ান ঘরানার এক ভদ্রলোকের সঙ্গে।

    তিনিই এগিয়ে এলেন। নাম বললেন। ‘স্যার, আমি মুনশি ফয়েজ, ঢাকা কলেজের ’৬৯ ব্যাচের (স্মৃতি থেকে লিখছি বলে ব্যাচ নাম্বারটা ভুলও হতে পারে!)। শুনলাম আপনি এখান দিয়ে যাবেন। তাই আপনার সঙ্গে দেখা করতে এসেছি।’ ও তাই নাকি? তুমি কেমন আছো? স্যারের সহাস্য উত্তর। চিনুন বা না চিনুন হঠাৎ দেখা অচেনা ছাত্রদের এভাবেই হাসিমুখে সম্ভাষণ করতে দেখেছি স্যারকে। এবারও তার ব্যতিক্রম হলো না।

    ‘স্যার খেয়াল আছে, আপনি আমাদের ‘হৈমন্তী’ পড়িয়েছিলেন। কিন্তু সারা বছরে শেষ করেন নাই।’ বললেন মুনশি ফয়েজ। স্যার এবার একটু সময় নিলেন। তার অব্যর্থ গুগলিটা ছাড়লেন। ‘আরে বাবা শেষ করি নাই বলেই তো এখনো মনে রেখেছো।

    এই মাঝরাতে আমার সঙ্গে দেখা করতে এসেছো।’ বলেই স্যারের স্বভাবসুলভ জোরের হাসি। হাসি আমাদেরও সংক্রামিত করল। থেমেই জিজ্ঞেস করলেন, তা এখানে কি করা হয়। বিনয়ে বিগলিত হয়ে আকারে ছোট-খাটো মানুষটা যেন আরও ছোট হয়ে গেলেন। ‘স্যার, আমি সিঙ্গাপুরে বাংলাদেশের হাইকমিশনার হিসেবে দায়িত্ব পালন করছি। আপনি ম্যাগসাইসাই পুরস্কার আনতে ম্যানিলা যাচ্ছেন এ সংবাদে আমাদের বুক ফুলে দুই হাত হয়ে গেছে। তাই স্যার দেখা করতে এসেছি।’ কথা বলতে বলতে আমরা চলেছি। আমাদের তাড়া ছিল।

    স্যার দ্রুত বললেন, আচ্ছা অনেক বছর আগে সিঙ্গাপুর এসেছিলাম। সময় পেলে ফেরার পথে একদিন স্টে করতে চাই। সকালে নেমে সারা দিন ঘুরে রাতে চলে যেতে চাই। আধুনিক সিঙ্গাপুরের নতুন চেহারা একদিনেই দেখতে চাই। তুমি কি গাড়ি দিয়ে দেখাতে পারবে? মুনশি ফয়েজ যেন এই মওকাটাই খুঁজছিলেন। বললেন, স্যার সে আমার সৌভাগ্য। স্যারের চোখের ইশারার নির্দেশে দ্রুত মুনশি ফয়েজের বিজনেস কার্ড নিলাম।

    বলাবাহুল্য, সে যাত্রায় ফিরতি পথে আমরা মুনশি ফয়েজের রাজকীয় আতিথ্য পেয়েছিলাম। বাংলাদেশের হাইকমিশনার মুনশি ফয়েজের সঙ্গে অনেক বিষয় নিয়ে তখন স্যারের কথা হয়েছিল। দুপুরে বাসায় নিয়ে গিয়ে তিনি পরম যত্নে গুরুভোজ দিয়েছিলেন। একটা আনন্দময় দিন কাটল আমাদের সবার। ছাত্ররা স্যারকে কি রকম করে ভালোবাসেন এটা তার একটা নমুনা। স্যারও কাউকে খালি হাতে ফেরান না, অসম্ভব উইট দিয়ে, আলো ঝলমলে আনন্দ বিলিয়ে সময়টাকে আনন্দিত আর সুখী করে রাখেন। সেদিনও হাসিতে আনন্দে তার ব্যতিক্রম হলো না।

    দুই.

    স্যারের সঙ্গে এই যাত্রা আরও অনেক মজার মজার অভিজ্ঞতা হয়েছিল। ওখানে দিন সাতেকের টানা প্রোগাম। এর মধ্যে একদিন যেতে হবে ফিলিপাইনের ভারতীয় দূতাবাসের আমন্ত্রণে এক পার্টিতে। ২০০৪ সালে এশিয়ার বিভিন্ন দেশের নিজ নিজ ক্ষেত্রে কীর্তিমান মোট সাতজন ব্যক্তিকে দেওয়া হয় এশিয়ার নোবেল খ্যাত ‘দ্য র‌্যামন ম্যাগসাইসাই অ্যাওয়ার্ড’। সেবার ‘জার্নালিজম, লিটারেচার অ্যান্ড ক্রিয়েটিভ কম্যুনিকেশন আর্টস’ ক্যাটাগরিতে এই পুরস্কার পান বিশ্বসাহিত্য কেন্দ্রের প্রতিষ্ঠাতা অধ্যাপক আবদুল্লাহ আবু সায়ীদ।

    বাংলাদেশ থেকে এই ক্যাটাগরিতে সেটাই প্রথম ম্যাগসাইসাই অ্যাওয়ার্ড। এর পরে ২০০৫ সালে বাংলাদেশ থেকে দৈনিক প্রথম আলোর সম্পাদক সাংবাদিক মতিউর রহমান এই ক্যাটাগরিতে ম্যাগসাইসাই অ্যাওয়ার্ড পান।

    ২০০৪ সালে ফিলিপাইনের খ্যাতিমান আমলা ও আইনজীবী হাইডি ইয়োরাক গভর্মেন্ট সার্ভিস ক্যাটাগরিতে, চীনের চিকিৎসক জিয়াং ইয়ানইয়ং পাবলিক সার্ভিস ক্যাটাগরিতে, থাইল্যান্ডের কৃষক প্রায়ং রোনারং কম্যুনিটি লিডারশিপ ক্যাটাগরিতে, ভারতের নৌবাহিনীর সাবেক প্রধান অ্যাডমিরাল লক্ষ্মী নারায়ণ রামদাস ও পাকিস্তানের খ্যাতিমান সাংবাদিক ইবনে আবদুর রেহমান যৌথভাবে পিস অ্যান্ড ইন্টারন্যাশনাল আন্ডারস্ট্যান্ডিং ক্যাটাগরিতে, ফিলিপাইনের বেঞ্জামিন আবাদিয়ানো এমার্জিং লিডারশিপ ক্যাটাগরিতে র‌্যামন ম্যাগসাইসাই পুরস্কারে ভূষিত হন। পাকিস্তান-ভারত যৌথভাবে পুরস্কার পেয়েছে।

    ভারতের লক্ষ্মী নারায়ণ রামদাস ১৯৭১ সালে বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের সময় নৌকমান্ডার হিসেবে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখেন। পাকিস্তানের বর্ষীয়ান সাংবাদিক ইবনে আবদুর রেহমান প্রগতিশীল মানুষ। বাংলাদেশ সম্পর্কে সশ্রদ্ধ। বাংলাদেশের নেতৃস্থানীয় সাংবাদিকদের সঙ্গে তার যোগাযোগ নিয়মিত। সম্ভবত এসব কারণেই এই দুজনের সঙ্গে স্যারের আলাপ জমে গেল বেশ।

    তিন. স্থানীয় ভারতীয় দূতাবাস ম্যাগসাইসাই অ্যাওয়ার্ডিদের সম্মান জানাতে আয়োজন করেছে নৈশভোজ ও এক পার্টির। পার্টিতে গিয়ে দেখি হলরুম ভর্তি। ভারতীয় রাষ্ট্রদূত একজন মহিলা। খুবই অভিজাত ঘরানার এবং স্মার্ট। তার আমন্ত্রণে বিভিন্ন দেশের ম্যানিলাস্থ জনা চল্লিশ দেশের রাষ্ট্রদূত বা দূতাবাসপ্রধান উপস্থিত। এক পর্যায়ে স্যারকে সবার সামনে পরিচয় করিয়ে দেওয়া হলো। আমন্ত্রণ জানানো হলো নিজ দেশে তার কাজ সম্পর্কে কিছু বলার জন্য।

    দুপুরে একটা ভালো ঘুম দিয়ে উঠে এই অনুষ্ঠানে গেছেন স্যার। তার ভরাট গলা।

    ইংরেজিতে স্যার মিনিট দশেক ধরে বললেন, বিশ্বসাহিত্য কেন্দ্র এবং আলোকিত মানুষ গড়ার তার প্রচেষ্টার কথা। অবশ্য স্যার কথা শুরু করেছিলেন এই বলে, আমি এমন এক দেশ থেকে এসেছি যেখানে বছরে আমাকে এক ঘণ্টাও ইংরেজিতে কথা বলতে হয় না। বলার প্রয়োজন পড়ে না। তাই আজ যখন ইংরেজিতে কথা বলতে হচ্ছে তখন সবাই যেন ক্ষমাসুন্দর দৃষ্টিতে দেখেন। এই বিনয় দিয়ে শুরু করলেও গমগমে আওয়াজে ভরাট গলায় স্যার সেদিন এক অসাধারণ বক্তৃতা দিলেন। যেমন আওয়াজ, তেমন শব্দচয়ন, তেমন উইট, তেমন হাস্যরস।

    স্যার যখন বক্তৃতা দিচ্ছেন তখন হলজুড়ে পিনপতন নীরবতা।

    চলছে এক মন্ত্রমুগ্ধ আবেশ। কথা শেষ হতেই তালিতে হলরুম ফেটে পড়ার অবস্থা। মিসর, ওমান, আফ্রিকার কটি দেশসহ এশিয়ার বিভিন্ন দেশের বেশ কজন রাষ্ট্রদূত স্যারকে জড়িয়ে ধরলেন। স্যারের বক্তৃতার তারিফ করলেন। স্যারের সঙ্গী হিসেবে আমারও কদর বাড়ল। হলরুমজুড়ে গোটা বাংলাদেশ যেন সেদিন সংবর্ধিত হলো।

    যে কোনো জায়গায় কথা বলতে গেলে স্যারের একটা প্রস্তুতি থাকে। চিন্তার জন্য স্যার সময় নেন। নিজের ও প্রতিষ্ঠানের ভাবমূর্তির কথা মাথায় রাখেন। মনের মধ্যে এক ধরনের অনুশীলনও করেন। এবারও তার ব্যতিক্রম হয়নি। আমার ধারণা, স্যার সেদিন তার সংক্ষিপ্ত বক্তৃতায় অনেকের হৃদয়কে স্পর্শ করতে পেরেছিলেন। প্রতিনিয়ত ইংরেজিতে চর্চার মধ্যে না থাকলেও স্যার যে কি সুন্দর ইংরেজি বলেন, সেটা সেদিন আমার শোনার সৌভাগ্য হয়েছিল।

    চার. সপ্তাহজুড়ে ম্যাগসাইসাই অনুষ্ঠানের নানা আনুষ্ঠানিকতা চলেছিল। প্রতিদিন প্রায় গোটা তিনেক বক্তৃতা করতে হতো বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়সহ নানা প্রতিষ্ঠানে গিয়ে। একদিন স্যার বক্তৃতা দিলেন, স্কুল-কলেজের প্রায় সাড়ে তিনশ শিক্ষার্থীর উদ্দেশে। কেন আলোকিত মনন দরকার, কেন আলোকিত মানুষ না হলে আলোকিত জাতি তৈরি হবে না, স্যার তার বক্তৃতায় গল্প-উপমা দিয়ে বললেন স্বভাবসুলভ ভঙ্গিতে।

    ইংরেজিতে দেওয়া এই বক্তৃতা শেষে তালি আর থামতে চায় না। প্রত্যেক শিক্ষার্থী স্যারের সঙ্গে হ্যন্ডশেক করলেন। কথা বললেন। স্যার সবাইকে সমান গুরুত্ব দিয়ে সবার নানা রকম প্রশ্নের উত্তর দিলেন। এটা দেখে ওখানকার স্থানীয় বেশ কজন আমার কাছে এসে তাদের মুগ্ধতা প্রকাশ করলেন। তারা বিস্মিত হচ্ছিলেন এটা দেখে, স্যার সব শিক্ষার্থীকেই সময় দিচ্ছেন, হেসে হেসে, মমতার সঙ্গে কথা বলছেন।

    ম্যানিলায় সেবার অনেক ধরনের অভিজ্ঞতা হয়েছিল আমাদের। আমি নিজেও স্যারকে নতুনভাবে আবিষ্কার করলাম। সবার জন্য মমতা আর ভালোবাসা নিয়ে একজন প্রকৃত শিক্ষকের হৃদয় যে কতটা মনোগ্রাহী হয় দেশের বাইরে ভিন্ন এক পরিবেশে সেটা নতুন করে আবিষ্কার করেছিলাম।

    পৃথিবীর নানা দেশের অনেক বিদগ্ধ মানুষের মিলনমেলা ছিল ম্যাগসাইসাই পুরস্কারের সেই সাত দিনের আনুষ্ঠানিকতায়। কিন্তু সবার মধ্যে স্যার ছিলেন অনন্য। সবাইকে মাতিয়ে সবার মধ্যমণি হয়ে ওঠেছিলেন স্যার।

    পাঁচ. বিশ্বসাহিত্য কেন্দের সমন্বয়কারী হিসেবে একটানা ছয় বছর স্যারের সঙ্গে বহু ঘণ্টা কাটিয়েছি এক নিমগ্ন স্বপ্নে, কর্মমুখর আনন্দে। স্যারের কর্মকুশলতা, অন্যের হৃদয় জাগানোর ক্ষমতা অসীম।

    স্যার কখনো হতাশার কথা বলেন না। অন্ধ আশাবাদ স্যারের স্বভাবজাত প্রতীতি, যা তিনি অন্যের মধ্যে সহসাই সঞ্চারিত করতে পারেন।

    অসম্ভব গুণগ্রাহী একজন মানুষ স্যার। কারও মধ্যে সামান্যতম গুণ দেখলে তাকে বিকশিত করতে স্যারের তুলনা নেই। আমার কাছে সবসময় মনে হয় সংগঠক, প্রশাসক, সামাজিক উদ্যোক্তা, টিভি অনুষ্ঠান নির্মাতা এসব ছাপিয়ে স্যারের শিক্ষকসত্তাই প্রবল ও সবল।

    সে কারণেই স্যার ‘নিষ্ফলা মাঠের কৃষক’, ‘সংগঠন ও বাঙালি’-নামের দুটি অসাধারণ হৃদয়স্পর্শী-চিন্তাশীল, বেদনাজাগ্রত বই লিখতে পেরেছেন। একমাত্র শিক্ষকদের মধ্যে দিয়েই দীপান্বিত ও জ্যোতির্ময় জীবনের সন্ধান পায় শিক্ষার্থীরা। সায়ীদ স্যার আমাদের সেই মহিমান্বিত, ভালোবাসার শিক্ষক। ক্লাসরুমের বাইরের শিক্ষার্থী হিসেবে স্যারের কাছে আমারও তাই ঋণের শেষ নেই।

    ২৫ জুলাই স্যারের জন্মদিনে তাই জানাই কৃতজ্ঞতা, ভালোবাসা। অগণন মানুষের হৃদয়ের আলোক শিখা হয়ে স্যার জেগে থাকুন আমৃত্যু, সেই শুভকামনা রইল স্যারের জন্মদিনে। -সূত্র: মানবজমিন

    -একে

    অধ্যাপক আবদুল্লাহ আবু সায়ীদ
    • সর্বশেষ
    • সর্বাধিক পঠিত
    close