• বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১
  • ||

সংবাদ প্রকাশের পর টাকা ফেরত দিলেন সেই কর্মকর্তা

প্রকাশ:  ০৫ জুলাই ২০১৮, ১৭:৪১ | আপডেট : ০৫ জুলাই ২০১৮, ২২:০২
রাজশাহী প্রতিনিধি

অনলাইন নিউজ পোর্টাল পূর্বপশ্চিমবিডি.নিউজে খবর প্রকাশের পর প্রশিক্ষণার্থীদের টাকা ফেরত দিলেন গোদাগাড়ী উপজেলা মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তা মাহবুবা সুলতানা।

বৃহস্পতিবার (৬ জুলাই) দুপুরে নিজ অফিস কক্ষে এই টাকা ফেরত দেওয়া হয়। গোদাগাড়ী উপজেলায় মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তা অধিদপ্তর হতে তিন মাসব্যাপি উপজেলার দরিদ্র মহিলাদের জন্য দর্জি ও বিউটিফিকেশন প্রশিক্ষণ গ্রহণ করে ৪০ জন মহিলা।

গত ১ জুলাই প্রশিক্ষণ শেষে প্রশিক্ষণার্থীদের জন্য সরকার প্রদত্ত প্রশিক্ষণ ভাতা ৫০ দিনের উপস্থিত দেখিয়ে ভাতা প্রদান করে। এদের মধ্যে প্রশিক্ষণার্থীরা নিয়মিত উপস্থিত থাকলেও ক্লাসে ১০ মিনিট হতে আধাঘন্টা দেরি করে আসলে তাদরকে সম্পন্ন অনুপস্থিত দেখিয়ে অধিকাংশ শিক্ষার্থীদের টাকা ১শ’ টাকা হতে দেড় হাজার টাকা পর্যন্ত কেটে নেয়।

সেই সাথে মহিলা বিষয়ক কর্মকতার অসদাচারণ ও কর্থা বর্তা ছিলো অশালীন। প্রশিক্ষণার্থীরা ১ জুলাই টাকা কেটে নেওয়ার জন্য তীব্র প্রতিবাদ করলে ওই কর্মকর্তা আরো বেপরোয়া হয়ে অশালিন আচরণ করে।

এসবের বিরুদ্ধে পর দিন ২ জুলাই প্রশিক্ষণার্থীরা প্রতিবাদ জানিয়ে গোদাগাড়ী উপজেলা নির্বাহী অফিসারের নিকট লিখিত অভিযোগ করেন। লিখিত অভিযোগের প্রেক্ষিতে বাংলাদেশের প্রথম সারির অনলাইন সংবাদ মাধ্যম পূর্বপশ্চিমবিডি.নিউজে গুরুত্বসহকারে প্রকাশ করে।

নিউজ প্রকাশের পর এলাকায় ব্যাপক সমালোচিত হয় সেই সাথে দুর্নীতিবাজ ওই মহিলা কর্মকর্তার বিচারের দাবি সোসাল মিডিয়াতে ভাসতে থাকে। নিউজটি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ শিমুল আকতারেরও দৃ্ষ্টি গোচর হয়। শুধু তাই নয় ওই মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তার স্বামী বর্তমানে নাটোর জেলার গুরুদাসপুরে উপজেলা নির্বাহী অফিসারের দায়িত্বে নিয়োজিত মোঃ মনির হোসেনেরও দৃষ্টি গোচর হয়ে পূর্বপশ্চিমের রাজশাহী প্রতিনিধিকে ফোন কারে বিষয়টি জানতে চান।

পরে উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোঃ শিমুল আকতার সঠিক তদন্ত করেন।

বৃহস্পতিবার (৫ জুলাই-২০১৮ ) সকালে সাংবাদিকরা উপজেলা নির্বাহী অফিসারের নিকট মহিলা বিষয়ক কর্মকাতা প্রশিক্ষণার্থীদের টাকা কেটে নেওয়া বিষয়ে কি ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে জানতে চাইলে তিনি সাথে সাথেই উপজেলা মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তাকে প্রশিক্ষণার্থীদের টাকা ফেরত দেওয়ার নির্দেশ দেয়। পরে সকল প্রশিক্ষণার্থীরা উপজেলা নির্বাহী অফিসারের সাথে দেখা করে অভিযোগ প্রত্যাহার করে ।

টাকা ফেরত পাওয়া প্রশিক্ষণার্থীরা জানান, উপজেলা নির্বাহী অফিসাররে দ্রুত পদক্ষেপে আমরা টাকা ফেরত পেয়েছি এবং আমরা খুবই খুশি হয়েছে। এমন ধরনের কোন কর্মকাণ্ড আর যাতে না ঘটে সেদিকে খেয়াল রাখতে উপজেলা নির্বাহী অফিসারের শুভ দৃষ্টি কামনা করেন।

প্রশিক্ষণার্থীদের কেটে নেওয়া টাকা ফেরত উপজেলা মহিলা বিষয়ক অফিসের একাধিক কর্মকর্তা-কর্মচারী বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

ওএফ

রাজশাহী,টাকা
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত
close