• বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১
  • ||

প্রেমিককে বেঁধে রেখে প্রেমিকাকে গণধর্ষণের অভিযোগ

প্রকাশ:  ২০ জুন ২০১৮, ২০:২০
নড়াইল প্রতিনিধি

নড়াইল সদর উপজেলার হবখালী ইউনিয়নের সুবুদ্ধিডাঙ্গা গ্রামে প্রেমিককে বেঁধে রেখে প্রেমিকাকে গণধর্ষণের অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ ঘটনায় বুধবার (২০ জুন) দুপুরে তিনজনের নামে সদর থানায় মামলা দায়ের হয়েছে। ধর্ষিতার ডাক্তারী পরীক্ষা দুপুরে নড়াইল সদর হাসপাতালে সম্পন্ন হয়েছে।

আসামিরা হলো: হবখালী ইউনিয়নের সুবুদ্ধিডাঙ্গা গ্রামের আজাদ মিনার ছেলে রফিকুল মিনা (৩০), হালিম মিনার ছেলে শাহজালাল মিনা (২৩) এবং আজগর মিনার ছেলে মাসুম মিনা (২৫)। এর আগে মঙ্গলবার রাতে নড়াইল সদরের ডাঙ্গাসিঙ্গীয়া গ্রামের ভূক্তভোগী মেয়েটিকে গণধর্ষণ করা হয়েছে।

মামলার বিবরণে ও এলাকাবাসী সূত্রে জানা যায়, মঙ্গলবার রাতে তার প্রেমিককে সঙ্গে নিয়ে যশোর থেকে নড়াইলের গ্রামের বাড়িতে যাচ্ছিলো অষ্টম শ্রেণীর ওই শিক্ষার্থী। পথিমধ্যে নড়াইলের হবখালী আদর্শ কলেজ এলাকায় অটোবাইক থেকে নেমে যায় তারা। রাত ৯টার দিকে সুবুদ্ধিডাঙ্গা এলাকার মাসুমের দোকানের কাছে পৌঁছালে ৮-৯ জন লোক তাদের (প্রেমিক-প্রেমিকা) পথরোধ করে।

স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যানের কাছে নেয়ার কথা বলে তাদের হবখালী বাজারের দিকে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করে এলাকার কয়েকজন যুবক। এক পর্যায়ে অভিযুক্ত রফিকুল মিনা, শাহজালাল মিনা ও মাসুম মিনা হবখালী কলেজ এলাকায় প্রেমিককে গাছে বেঁধে রেখে পাটক্ষেতে নিয়ে প্রেমিকা গণধর্ষণ করে এবং বুক, মুখ ও হাতের বিভিন্ন অংশে জখম করে। গণধর্ষণের পর আসামিরা হুমকি দেয়-বিষয়টি কাউকে জানালে তারা ইন্টারনেটে ছেড়ে দেবে। প্রায় তিন ঘণ্টা ধরে গণধর্ষণের পর মেয়েটি অসুস্থ হলে পড়লে অভিযুক্ত যুবকেরা তাকে (মেয়েটি) ক্ষেতের মধ্যে ফেলে রেখে চলে যায়। রাত ১২টার দিকে প্রেমিকসহ স্থানীয় তিনজন ভূক্তভোগী মেয়েটিকে উদ্ধার করে সুবুদ্ধিডাঙ্গা গ্রামে শাকিলের বাড়িতে নিয়ে যান।

পরে পুলিশ এসে প্রেমিক-প্রেমিকা উদ্ধার করে নড়াইল সদর থানায় নিয়ে আসে। ভূক্তভোগী মেয়েটি নড়াইলের লোহাগড়া উপজেলার ব্রাক্ষণীনগর গ্রামে নানাবাড়িতে থেকে অষ্টম শ্রেণীতে পড়ালেখা করছে।

এ ব্যাপারে হিউম্যান ডিফেন্ডারর্স ফোরাম (এইচআরডিএফ) নড়াইল জেলা শাখার সাধারণ সম্পাদক কাজী হাফিজুর রহমান বলেন, ‘ধর্ষিতার শিকার এই কিশোরীর বাবা মা অন্যত্র বিয়ে করায় মেয়েটি নিরাপত্তাহীনতায় ভূগবে। নিরাপত্তার ব্যবস্থার পাশাপাশি এৎাহারভূক্ত আসামীদের গ্রেফতার ও সুষ্ঠ^ বিচারের দাবি জানাচ্ছি। আমাদের সমাজে প্রতিনিয়িত এই ধর্ষণের ঘঁনা ঘটছে। প্রতিকারের জায়গায় আসতে হলে আইনশৃংখলা বাহিনীর সজাগ দৃষ্টির পাশাপাশি পারিকারিক ও সামাজিকভাবে সচেতনতা সৃষ্টি করা প্রয়োজন’।

নড়াইল সদর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) আনোয়ার হোসেন বলেন, ‘ ধর্ষিতার অভিযোগের ভিত্তিতে তিনজনের নাম উল্লেখ সহ অপ্সাতনামা আরো ৫-৬ জনকে আসামী করে মামলা হয়েছে। বুধবার দুপুরে নড়াইল সদর হাসপাতালে মেয়েটির ডাক্তারি পরীক্ষা সম্পন্ন হয়েছে। আসামিদের গ্রেফতারের জোর চেষ্টা চলছে।

ওএফ

গণধর্ষণ
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত
close