প্রবাসীর স্ত্রীর ঘরে চেয়ারম্যান, অতঃপর...
কুমিল্লার মুরাদনগরে এক সৌদি প্রবাসীর স্ত্রীর ঘর থেকে রামচন্দ্রপুর দক্ষিণ ইউপি চেয়ারম্যান আব্দুল লতিফ সরকারকে আটক করে পুলিশে দিয়েছে জনতা। এ ব্যাপারে সহযোগিতা করেছেন স্বয়ং চেয়ারম্যানের স্ত্রী।
সোমবার রাতে তাদের আটক করা হয়। মঙ্গলবার দুপুরে পুলিশ তাদের আদালতে হাজির করলে বিচারক জামিনের আদেশ দেন।
সম্পর্কিত খবর
পুলিশ ও স্থানীয়রা জানান, স্ত্রী ও কলেজ পড়ুয়া মেয়ে থাকার পরও যশমন্তপুর গ্রামের সৌদি প্রবাসী সবুজ মিয়ার স্ত্রী সাবিনা আক্তারের (২৫) সঙ্গে অনৈতিক সম্পর্কে জড়িয়ে পড়েন চেয়ারম্যান। তারা প্রায়ই কৈজুরি এলাকায় চেয়ারম্যানের বাড়িতে সময় কাটাতেন। সোমবার সন্ধ্যায় স্ত্রী রাজিয়া আক্তার বিউটিসহ এলাকাবাসী চেয়ারম্যানের ওই বাড়িটি ঘিরে পুলিশকে খবর দেন। খবর পেয়ে রাত সাড়ে ৮টার দিকে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে উত্তেজিত জনতার কবল থেকে উদ্ধারের পর ইউপি চেয়ারম্যান আব্দুল লতিফ সরকার ও প্রবাসীর স্ত্রী সাবিনা আক্তারকে থানায় নিয়ে আসে। রাতেই এসআই মোজাম্মেল হোসেন বাদী হয়ে তাদের বিরুদ্ধে একটি নন এফআইআর মামলা করেন। মঙ্গলবার দুপুরে পুলিশ তাদের কুমিল্লার ৮নং আমলী আদালতে সোপর্দ করলে সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট গোলাম মাহবুব খান তাদের জামিন মঞ্জুর করেন।
মুরাদনগর থানার ওসি (তদন্ত) ইয়াছিন গাজী বলেন, ইউপি চেয়ারম্যান এক প্রবাসীর স্ত্রীর সঙ্গে একটি বাড়িতে থাকা অবস্থায় এলাকাবাসী বাড়িটি ঘেরাও করে পুলিশকে খবর দেয়। পরে পুলিশ ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে উত্তেজিত জনতার কবল থেকে তাদেরকে উদ্ধার করে থানায় আনে। পরে জিজ্ঞাসাবাদে তারা নিজেদেরকে স্বামী-স্ত্রী পরিচয় দিলেও কোন প্রকার কাগজপত্র দেখাতে পারেননি। ফলে বাধ্য হয়ে নন এফআইআর মামলা দিয়ে তাদের আদালতে সোপর্দ করা হয়।
এদিকে, অভিযুক্ত ইউপি চেয়ারম্যান আব্দুল লতিফ সরকার দাবি করেন, তিনি ষড়যন্ত্রের শিকার। রাজনৈতিক প্রতিপক্ষরা পরিকল্পিত ভাবে তাকে ফাঁসিয়ে দিয়েছে। -একে