• বুধবার, ২৪ এপ্রিল ২০২৪, ১১ বৈশাখ ১৪৩১
  • ||

নারীদের ড্রাইভিং লাইসেন্স দেওয়া শুরু করেছে সৌদি আরব

প্রকাশ:  ০৫ জুন ২০১৮, ১১:৪২
আর্ন্তজাতিক ডেস্ক

নারীদের গাড়ি চালানোর জন্য ড্রাইভিং লাইসেন্স দেওয়া শুরু করেছে সৌদি আরব। দেশটির রাষ্ট্রীয় সংবাদমাধ্যম জানিয়েছে, সোমবার রাজধানী রিয়াদে ট্রাফিক অধিদপ্তর দশজন নারীকে লাইসেন্স দিয়েছে। খবর মিডল ইস্ট আই-এর

এর আগে সৌদি আরবের নারীরা যুক্তরাজ্য, কানাডা ও লেবাননসহ অন্য দেশের লাইসেন্স নিতেন। দেশেও তাদের সংক্ষিপ্ত গাড়ি চালানোর পরীক্ষা দিতে হতো। সোমবার বিদেশি ড্রাইভিং লাইসেন্সধারীদের দেশীয় লাইসেন্স দেওয়া হয়।

সম্পর্কিত খবর

    ২৪ জুন থেকে নারীদের গাড়ি চালানোর ওপর থেকে নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার করতে যাচ্ছে সৌদি আরব। সেপ্টেম্বরে এক রাজ ডিক্রিতে এই ঘোষণা দিয়েছেন বাদশাহ সালমান।

    এর আগে দেশটির ট্রাফিক ডিপার্টমেন্টের পরিচালক মোহাম্মদ আল বাসামি নিশ্চিত করেছেন নারীদের গাড়ি চালানোর জন্য প্রয়োজনীয় সব পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। তিনি জানান, নারীদের গাড়ি চালানো শেখানোর জন্য ছয়টি শহরে পাঁচটি স্কুলকে অনুমতি দেওয়া হয়েছে। অনেক আবেদন অনুমতির অপেক্ষায় রয়েছে।

    আল বাসামি আরও জানান, নারীদের জন্য ড্রাইভিং স্কুল এরই মধ্যে চালু হয়েছে। ট্রাফিক ডিপার্টমেন্টের প্রশাসনিক ও সড়কের বিভিন্ন পদে দায়িত্ব পালনের জন্য অনেক নারীকে প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়েছে। সৌদি কর্মকর্তা জানান, যেসব নারীর বিদেশি ড্রাইভিং লাইসেন্স রয়েছে তারা সেটাকে সৌদি আরবের লাইসেন্সে রূপান্তর করতে পারবেন।

    নারীদের গাড়ি চালানোর অনুমতিসহ কর্মক্ষেত্রে নারীদের অংশগ্রহণ বাড়াতে সৌদি সরকার উচ্চাকাঙ্ক্ষী পরিকল্পনা ঘোষণা করলেও এখনও দেশটিতে নারীদের জন্য অন্যতম বড় বড় কয়েকটি নিষেধাজ্ঞা রয়েছে। দেশটির ৩২ বছর বয়সী যুবরাজ সালমানকে ওই পরিকল্পনার নেপথ্য ব্যক্তি বলে মনে করা হয়। ২০৩০ সাল নাগাদ তেল নির্ভরতা কমিয়ে দেশের অর্থনীতি বহুমুখী করতে এই উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে বলে ধারণা করা হয়।

    এখনও সৌদি আরবে নারীদের পুরুষ অভিভাবকত্ব ব্যবস্থা প্রচলিত। আইন অনুযায়ী নারীদের পড়াশুনা, ভ্রমণ বা অন্য কোনও কাজের জন্য বাবা, স্বামী বা ভাইয়ের অনুমতির দরকার পড়ে। সৌদি অ্যাকটিভিস্টদের দাবি নারী অধিকারের লড়াইয়ের জন্য এই অভিভাবকত্ব একটি বড় ইস্যু। ২০১১ সাল থেকে প্রায় ৩০ জন অ্যাকটিভিস্ট ও বিদ্রোহীর বিরুদ্ধে রায় দিয়েছে সৌদি আদালত। এইচআরডব্লিউ এর মতে এদের অনেককেই ১৫ বছর পর্যন্ত কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে।

    এই কয়েকদিন আগেও যুবরাজের সংস্কার নিয়ে সংশয়ী বেশ কয়েকজন নারী অধিকারকর্মীকে আটক করা হয়। তবে রবিবার তাদের কয়েকজনকে সাময়িক মুক্তি দেওয়া হয়। কর্তৃপক্ষের দাবি, আটক অধিকারকর্মীরা স্বীকার করেছেন, তারা দেশের ভাবমূর্তি নষ্ট করতে বিদেশিদের সঙ্গে যোগাযোগ করেছেন।

    /এসএইচ

    • সর্বশেষ
    • সর্বাধিক পঠিত
    close