টেকনাফের ইয়াবা রাজনীতি, নাম প্রকাশ করলেই বিপদ
[ নিজেকে পূর্বপশ্চিমের নিয়মিত পাঠক উল্লেখ করে টেকনাফ থেকে একজন একটি মেইল পাঠিয়েছেন। শুরুতেই তিনি লিখেছেন, ইয়াবা ব্যবসা ও টেকনাফের রাজনীতি নিয়ে মাঠ পর্যায়ের তথ্য নিয়ে লেখাটা পাঠালাম। লেখাটা প্রকাশ করতে পারেন, তবে নাম প্রকাশ করলে আমি বিপদে পড়ে যেতে পারি। তাই অনুরোধ, অনুগ্রহ করে নামটা গোপন রেখে একজন পাঠকের লেখা হিসেবে প্রকাশ করবেন। পূর্বপশ্চিমের পাঠক হিসেবে অনুরোধটা গুরুত্বের সঙ্গে লেখকের পরিচয় চেপে রাখলাম।]
সম্পর্কিত খবর
এইবার যে অপারেশন শুরু হইছিল তাতে শুক্কুর,সাইফুল করিম সহ এমপির চার ভাই হিটলিস্টে ছিল। তারা মারা পরত শিওর। তাই তারা চাইছিল এই অপারেশন যেকোনভাবে বন্ধ করতে। এই অপারেশন বন্ধ করার একটাই উপায় ছিল সেটা হল "প্রশ্নবিদ্ধ" করা। শুক্কুর আর সাইফুল করিম বদির মাধ্যমে সেটাই করল।
একরামকে মারার পিছনে আরো একটা কারণ হল, পার্সোনালি বদি ছিল একরামের বন্ধু। এরা একই সার্কেলের। কিন্তু পলিটিকালি এরা সাপে নেউলে। বদির সব অপকর্মের প্রকাশ্যে প্রতিবাদ করত একরামুল।
বদির ক্যারেক্টার সম্পর্কে আরো একটু আইডিয়া দিই, বছর তিনেক আগে বদির বিরুদ্ধে প্রশাসন হার্ডলাইনে চলে গেছিল। তখন তার কুকর্মের পার্টনার ছিল জাহেদ হোসেন জাকু। জাকু তখন একটা মামলায় জেল এ ছিল। জেল থেকে বের করে সেদিন ই ক্রসফায়ার করায়, সবাই জানে সেটা বদিই করিয়েছিলো। একরামকে মারার আগেরদিন এমপি বদির বেয়াই আখতার কামাল নামের যাকে মারা হইছে সে প্রকৃত ইয়াবা ব্যবসায়ী ছিল। কিন্তু তাকে র্যাব মারেনি। র্যাব চাইছিল তাকে তোলে নিয়ে বদির বিজনেস কুকাম সম্পর্কে তথ্য নিতে। এই নিউজ বদির কানে গেলে সে পুলিশের মাধ্যমে আগেই তাকে তোলে নিয়ে ক্রসফায়ার দিয়ে দেয়। এমনকি সে ক্রসফায়ার টা পুলিশ ও দেয়নি। অন্য কাউকে দিয়ে মারাইছে।
আমার দুঃখ একটা জায়গায়, এত এত ইয়াবা ব্যবসায়ী থাকতে একজন নিরপরাধ কে ইয়াবা গডফাদার বানিয়ে হত্যা করা হল,আবার সেটাকে জায়েজ ও করা হল!