• বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১
  • ||

সৌদি যুবরাজের চোখ বিনোদন খাতে

প্রকাশ:  ২৪ মে ২০১৮, ১০:৩২
আন্তর্জাতিক ডেস্ক

তেলভিত্তিক অর্থনীতি থেকে নির্ভরশীলতা কমাতে সৌদি আরব এখন নজর দিচ্ছে বিনোদন খাতের দিকে। আন্তর্জাতিক বাজারে তেলের দাম কমে যাওয়ায় অর্থনীতি চাঙ্গা রাখতেই দেশটি পর্যটন ও বিনোদন দিকে ঝুঁকছে বলে জানা যায়। তুরস্কের সংবাদ মাধ্যম আনাদলুর এক বিশেষ প্রতিবেদনে এমনটিই ওঠে আসে।

গত গ্রীষ্মে যুবরাজ মোহাম্মদ বিন সালমান সৌদি ক্ষমতার উত্তরাধিকারী হিসেবে অধিষ্ঠ হওয়ার পর থেকে তেলভিত্তিক অর্থনীতির বিকল্প পথের দিকে ঝুঁকতে শুরু করে দেশটি।

সম্পর্কিত খবর

    ২০১৬ সালে প্রতিষ্ঠিত সউদি এন্টারটেনমেন্ট এজেন্সির পৃষ্ঠপোষকতায় এ বছর ফেব্রুয়ারিতে প্রথমবারের মত অপেরা ও জ্যাজ ফেস্টিভ্যাল অনুষ্ঠিত হয় দেশটিতে। একই মাসে অনুষ্ঠিত হয় সৌদি কমিকস ফেস্টিভ্যাল। আন্তর্জাতিক সব কমিক চরিত্রের সমাগম ঘটে এ ফেস্টিভ্যালে। এসব আয়োজনকে ঘিরে বিপুল সমাগম হয় সৌদি নারী-পুরুষদের।

    সৌদি ইকোনমিক অ্যাসোসিয়েশন'র এক সদস্য আব্দুল্লাহ মেগলুস বুধবার আনাদলুকে বলেন, স্থানীয় সংস্কৃতি, পর্যটন ও অর্থ সংস্থান খাতকে চাঙ্গা রাখতে সম্প্রতি একটি সিনেমা হলও খোলা হয়েছে।

    তিনি বলেন, দীর্ঘ সময় ধরে নানাভাবে অর্থনীতিকে চাঙ্গা রাখতে সহায়ক হবে এ সিনেমা হল।

    সিনেমা নির্মাণ ও প্রদর্শনের ওপর কয়েক যুগ ধরে চলমান নিষেধাজ্ঞাও তুলে নেয় সৌদি আরব। এপ্রিলে শরীয়া অনুশাসনের দেশটিতে প্রথমবারের মত সিনেমা হল চালু করা হয়। সৌদি সরকার জানায়, আগামী পাঁচ বছরে ৪০টিরও বেশি সিনেমা থিয়েটার চালু করা হবে। এর ধারাবাহিকতায় এবারের কান চলচ্চিত্র উৎসবে অংশগ্রহণ করে সৌদি আরব।

    এ ছাড়া ২৯ এপ্রিল পশ্চিম রিয়াদে আনুষ্ঠানিকভাবে কিদিয়া প্রজেক্টের কাজ শুরু করে সৌদি সরকার। বিশ্বের অন্যতম বৃহত্তর বিনোদন কমপ্লেক্সটির কাজ শেষ হবে ২০২২ সালে।

    ৩৩৪ বর্গ কিলোমিটার ভূমির ওপর নির্মিত এ বিনোদন পার্কটি হবে এ অঞ্চলের সবচেয়ে বেশি ব্যয়বহুল। ফ্লোরিডার ডিজনী ওয়ার্ল্ডের চেয়েও ২.৫ গুণ বড় এ পার্কে থাকছে বিভিন্ন ক্রীড়া, বিনোদন ও সাংস্কৃতিক আয়োজন।

    ২০৩০ সালে চালু হতে যাওয়া এ বিনোদন পার্কে বছরে ১৭ মিলিয়ন লোক সমাগম হবে বলে আশা করছেন পরিকল্পনাকারীরা।

    বিনোদন খাতে দেশের বাইরে খরচ হওয়া সৌদি নাগরিকদের বিলিয়ন বিলিয়ন ডলার এ বিনোদন পার্কের কল্যাণে এখানেই খরচ হবে বলে তারা জানাচ্ছেন।

    এ ছাড়াও আঞ্চলিক পর্যটন ব্যবস্থা গড়ে তোলার লক্ষ্যে প্রায় ৬০ হাজার নতুন কর্মসংস্থানেরও সৃষ্টি হবে জানা গেছে।

    বিনোদন ও পর্যটন খাতের দিকে সৌদি নাগরিকদের আকৃষ্ট করতে ইতোমধ্যেই নানা উদ্যোগ নিয়েছে সরকার। সম্প্রতি অনুষ্ঠিত হয়ে গেল আন্তর্জাতিক রেসলিং প্রতিযোগিতা। সিনেমা হলে প্রদর্শিত হল হলিউডের সিনেমাও। অনুষ্ঠিত হয়েছে নারীদের সাইক্লিং প্রতিযোগিতাও। এছাড়া ভিশন-২০৩০ কে সামনে রেখে নারীদের ক্ষমতায়নেও মনোযোগী হয়েছে দেশটি। এ বছর প্রথমবারের মতো পালিত হয়েছে নারী দিবসও।

    /এসএম

    • সর্বশেষ
    • সর্বাধিক পঠিত
    close