ইবিতে চলছে রমরমা গাঁজা চাষ
সম্প্রতি সারাদেশ ব্যাপী মাদকের বিরুদ্ধে বর্তমান সরকারের কঠোর অবস্থান যাওয়ার পরও ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ে অবাধে চলছে গাঁজা চাষ। সম্প্রতি বিশ্ববিদ্যালয়ের আবাসিক হল, লেক, পুকুরপার সহ বিভিন্ন জায়গায় প্রায় ১৫টির ও বেশি গাঁজা গাছ দেখা গেছে।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, বহিরাগত ও বিশ্ববিদ্যালয়ের গাঁজা সেবনকারী শিক্ষার্থীদের তত্ত্বাবধানে গড়ে উঠেছে গাঁজা চাষ। বিভিন্ন সময় গাজা সেবনকারীরা গাঁজার পাতা কিনে আনার সময় গাঁজার ফলও কিনে নিয়ে এসে হল ও আশেপাশের এলাকায় ফেলে রাখে। যারফলে এসব ফল থেকেই গাঁজা গাছ উৎপন্ন হয়।
সম্পর্কিত খবর
নাম প্রকাশ্যে অনিচ্ছুক জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান হলের এক আবাসিক শিক্ষার্থী বলেন, ‘গাঁজা ব্যবসায়ীদের কাছ থেকে গাঁজার পাতা কেনার সময় কোনো কোনো সময় পাতার সাথে গাঁজার ফলও চলে আসে। ওই ফল গুলো ফেলে রাখলেই নতুন করে গাঁজার হয়। কোনো ধরনের পরিচর্যা ছাড়াই একটা গাঁজার গাছ ১২-১৫ ফুট লম্বা হয়।’
তবে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের পক্ষ থেকে বিভিন্ন সময় আগাছা পরিষ্কার অভিযানে নামলেও কৌশলে বাঁচিয়ে রাখা হয় জন্মানো এসব গাঁজা গুলোকে। সম্প্রতি বিশ্ববিদ্যালয়ের জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান হল এলাকায় আগাছা দমন চলে। আগাছা দমন করার পর হলের আন্তর্জাতিক ব্লকের ৩য় ও ৪র্থ ব্লকের সামনে চোখে পরে ৪-৫ ফুট লম্বা দুটি গাঁজার গাছ।
পরবর্তীতে ক্যাম্পাস ঘুরে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান হল সংলগ্ন পুকুর পাড়, শহীদ জিয়াউর রহমান হলের দক্ষিণ ব্লক ও রান্না ঘরের পাশে, লালন শাহ ও জিয়া হলের মধ্যবর্তী জায়গায় ও মফিজ লেকে দেখা গেছে এসব গাঁজার গাছ।
এদিকে ক্যাম্পাসের অভ্যন্তরে গাঁজা চাষ হলেও প্রশাসনের কার্যত কোন পদক্ষেপ নিতে দেখা যায়নি। গাঁজা চাষের বিষয়টি জানানো হলেও গাছ গুলো গাঁজা গাছ নয় বলে জানানো হয় প্রশাসনের পক্ষ থেকে।
এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক ড. মাহবুবর রহমান বলেন, "বিষয়টি শোনার পর পরই আমি গাছ গুলো পর্যবেক্ষণ করি। এগুলো আসলে গাঁজার গাছ নয়। গাঁজা গাছের মতোই দেখতে ভাঙ জাতীয় গাছ।"
তবে ওই গাছের পাতা সংগ্রহ করে গোয়েন্দা সংস্থার সদস্যদের দেখানো হলে তারা পর্যবেক্ষণ করে সেগুলোকেও গাঁজা গাছ বলে নিশ্চিত করেছেন।
ওএফ