• শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১
  • ||
শিরোনাম

ভারতে নিপাহ ভাইরাসে মৃত্যু ৯

প্রকাশ:  ২১ মে ২০১৮, ১৫:২৩
আন্তর্জাতিক ডেস্ক
ফাইল ছবি

ভারতের দক্ষিণাঞ্চলীয় রাজ্য কেরালায় নিপাহ ভাইরাসে এখন পর্যন্ত ৯ জনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে। এদিকে মহামারী আকার ধারণ করার আশঙ্কায় এই ভাইরাস মোকাবেলায় কেরালায় বিশেষজ্ঞদের একটি টিম পাঠিয়েছে ভারতের কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়। সূত্র: খবর হিন্দুস্তান টাইমস

কেরালা রাজ্যের স্বাস্থ্য সচিব রাজিব সদানন্দ বলেছেন, আমরা নয়জনের মৃত্যুর খবর নিশ্চিত করতে পেরেছি। যাদের মধ্যে তিনজনের মৃত্যু হয়েছে নিপাহ ভাইরাসের সংক্রমণে। আমরা পুনের ন্যাশনাল ভিরোলজি ইন্সটিটিউটে অন্যদের নমুনা পাঠিয়েছি। তবে আমরা টেস্টের ফলাফল পাওয়ার পরই আমরা মৃত্যুর কারণ নিশ্চিতভাবে জানাতে পারবো।

এর আগে রোববার রাতে রাজ্যের স্বাস্থ্য পরিচালক আর এল সারিথা জানিয়েছিলেন, পুনের ন্যাশনাল ভিরোলজি ইন্সটিটিউট নিশ্চিত করেছে, ওই ব্যক্তিরা সবাই নিপাহ ভাইরাসে মারা গেছেন।

মূলত বাদুড়, শূকর ও অন্যান্য প্রাণির মাধ্যমে ছড়ানো নিপাহ ভাইরাসের অস্তিত্ব এই প্রথম কেরালায় পাওয়া গেলো। এই ভাইরাসের কোনো প্রতিষেধক বা ওষুধ নেই। কেবল সহায়ক ওষুধ এবং উপশমকারী সেবার মাধ্যমে চিকিৎসা চালাতে হয়।

এদিকে কেরালার একজন জ্যেষ্ঠ স্বাস্থ্য কর্মকর্তা বলছেন, নিপাহ ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে অন্তত ১২ জন বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন এবং আরও ২০ জনকে পর্যবেক্ষণে রাখা হয়েছে। আক্রান্ত ব্যক্তিদের আশপাশে বসবাসকারী পরিবারগুলোকে নিরাপদ স্থানে সরিয়ে নেয়া হয়েছে। একইসঙ্গে গৃহপালিত পশুকে পর্যবেক্ষণে রাখা হয়েছে।

অন্যদিকে রাজ্যের স্বাস্থ্য বিভাগ সরকারি ও বেসরকারি হাসপাতালে নিপাহ ভাইরাসে আক্রান্তদের জন্য আইসোলেশন ওয়ার্ড তৈরির সিদ্ধান্ত নিয়েছে। দুইজন নিপাহ ভাইরাস আক্রান্ত ব্যক্তির সেবা করা লিনি নামের এক নার্স নিজেই আক্রান্ত হয়ে আজ সোমবার মারা যান। এরপরই কর্তৃপক্ষ এ ধরনের সিদ্ধান্ত নিলো।

বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা জানাচ্ছে, এর আগে ভারতে প্রথমবারের মতো নিপাহ ভাইরাসে সংক্রমণ ঘটে বাংলাদেশের সীমান্ত লাগোয়া পশ্চিমবঙ্গে। ২০০১ ও ২০০৭ সালে ঘটা ওই সংক্রমণের ঘটনায় মস্তিষ্কপ্রদাহে ৫০ জনের মৃত্যু হয়।

উল্লেখ্য, ২০০১ সালে বাংলাদেশের মেহেরপুর জেলায় প্রথম নিপাহ ভাইরাস শনাক্ত করা হয়।

ওএফ

ভারত,নিপাহ,ভাইরাস,মৃত্যু ৯
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত
close