• মঙ্গলবার, ২৩ এপ্রিল ২০২৪, ১০ বৈশাখ ১৪৩১
  • ||

মুক্তিযোদ্ধা ফারুক হত্যা মামলা

এমপি রানার উপস্থিতিতে চতুর্থ দফায় স্বাক্ষ্যগ্রহণ সম্পন্ন

প্রকাশ:  ১৮ এপ্রিল ২০১৮, ১৯:৫১ | আপডেট : ১৮ এপ্রিল ২০১৮, ২১:০১
টাঙ্গাইল প্রতিনিধি

টাঙ্গাইলে আওয়ামী লীগ নেতা ও মুক্তিযোদ্ধা ফারুক আহমেদ হত্যা মামলার স্বাক্ষ্যগ্রহণ চতুর্থ বারের মতো অনুষ্ঠিত হয়েছে।

বুধবার দুপুরে টাঙ্গাইলের প্রথম অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ আবুল মনসুর মিয়ার আদালতে এ মামলার সাক্ষ্যগ্রহণ অনুষ্ঠিত হয়।

সম্পর্কিত খবর

    আদালত সূত্রে জানা যায়, মামলার অন্যতম আসামী এমপি আমানুর রহমান খান রানার উপস্থিতিতে বুধবার বেলা ১২টার দিকে টাঙ্গাইল প্রথম অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ আদালেরত বিচারক আবুল মনসুর মিয়া এজলাসে উঠেন। পরে চতুর্থ দফায় ফারুক আহমেদ হত্যা মামলার স্বাক্ষ্যগ্রহণ ও বাদির জেরা শুরু হয়। আদালতে মামলার বাদি ও নিহতের স্ত্রী নাহার আহমদের জেরা অনুষ্ঠিত হয়। পরে আদালত বাদির আংশিক জেরা গ্রহণের পর আগামী ৯ মে এই মামলার পরবর্তী দিন ধার্য করেন।

    গত ১১ ফেব্রুয়ারি থেকে চাঞ্চল্যকর এ মামলার স্বাক্ষ্যগ্রহণ শুরু হয়েছে। এছাড়া বাকি আরও দুই স্বাক্ষী নিহতের ছেলে আহমেদ মজিদ সুমন ও মেয়ে ফারজানা আহমেদ মিথুনের হাজিরা আদালতে দাখিল করা হয়।

    কারাগার থেকে এ মামলার প্রধান আসামী এমপি রানাসহ টাঙ্গাইল কারাগারে থাকা আরো তিন আসামি মোহাম্মদ আলী, আনিছুর রহমান রাজা ও সমিরকে আদালতে হাজির করা হয়। এছাড়া জামিনে থাকা আসামি নাসির উদ্দিন নুরু, মাসুদুর রহমান মাসুদ ও ফরিদ আহম্মেদ আদালতে হাজিরা দেন।

    দীর্ঘ ২২ মাস পলাতক থাকার পর এমপি রানা গত ২০১৬ সালের ১৮ সেপ্টেম্বর এই আদালতেই আত্মসমর্পন করে জামিন আবেদন করেন। আদালত জামিন নামঞ্জুর করে তাকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন। বর্তমানে তিনি গাজীপুরের কাশিমপুর কারাগার-১ আছেন। বেশ কয়েক দফা উচ্চ আদালত ও নিম্ন আদালতে আবেদন করেও জামিন পাননি তিনি।

    উল্লেখ্য, ২০১৩ সালের ১৮ জানুয়ারি রাতে টাঙ্গাইল জেলা আওয়ামী লীগের প্রভাবশালী নেতা ও মুক্তিযোদ্ধা ফারুক আহমদকে গুলিবিদ্ধ অবস্থায় তার কলেজপাড়া এলাকার বাসার কাছ থেকে উদ্ধার করা হয়। টাঙ্গাইল জেনারেল হাসপাতালে নেয়ার পর ডাক্তার তাকে মৃত ঘোষণা করেন। ঘটনার তিনদিন পর তার স্ত্রী নাহার আহমেদ বাদি হয়ে টাঙ্গাইল মডেল থানায় মামলা দায়ের করেন। প্রথমে মামলাটি টাঙ্গাইল মডেল থানা পুলিশ তদন্ত করলেও পরবর্তীতে জেলা গোয়েন্দা পুলিশ মামলাটি তদন্ত করে এবং ২০১৬ সালের ৩ ফেব্রুয়ারি এমপি রানা ও তার তিনভাইসহ মোট ১৪ জনের বিরুদ্ধে আদালতে চার্জশিট দাখিল করে।

    • সর্বশেষ
    • সর্বাধিক পঠিত
    close