হায়রে সোনালী ব্যাংক!
সোনালী ব্যাংক, টাঙ্গাইল ভিক্টোরিয়া রোড শাখায় একটি একাউন্টে কিছু টাকা জমা দিতে হয়। সেজন্য আজ রবিবার দুপুরে গিয়েছিলাম পল্টন মোড়ে ব্যাংকটির রমনা কর্পোরেট শাখায়। দুপুর ০১টা ০৭ মিনিট; কাউন্টারের সবক'টি চেয়ারই শূন্য।
ভেতরের দিকে কয়েকজন কর্মকর্তা যেন অতি ব্যস্ত! বেশ ক'বার চেষ্টার পর একজনের মনযোগ আকর্ষণ সম্ভব হলেও অত্যন্ত বিরক্তি সহকারে তিনি সেই শূন্য কাউন্টারেই যেতে বললেন। ‘ওখানে তো কেউ নেই, কার কাছে যাবো?’
সম্পর্কিত খবর
এমন প্রশ্নে তার উত্তেজিত জবাব, ‘সবাই নামাজে।‘ এখন তো সবে ০১টা ০৭….‘কথা শেষ না হতেই ধমকের সুরে বললেন, জানেন না, সোয়া একটায় জামাত!’ এ সময় পাশে অপেক্ষমাণ আরেক গ্রাহকের তিক্ত অভিজ্ঞতালব্ধ মন্তব্য, “নামাজ শেষে লাঞ্চ, সব মিলিয়ে সাহেবদের দেখা পেতে পেতে বাজবে ৩টা!” তখনই ঠিক আগের কর্মদিবস অর্থাৎ বৃহস্পতিবারে একটি বেসরকারি ব্যাংকের কুমিল্লা শাখায় টাকা পাঠানোর কথা মনে পড়ে গেলো।
ওই ব্যাংটির ধানমন্ডি শাখায় প্রবেশের পর থেকে কুমিল্লার সংশ্লিষ্ট শাখায় টাকা পৌঁছানোর কনফার্মেশন পাওয়া পর্যন্ত, গোটা প্রক্রিয়াটি সম্পন্ন হতে সময় লেগেছে মোট ৯ মিনিট। অতএব এ অবস্থায় সোনালী ব্যাংকে লেনদেন না করার তাৎক্ষণিক সিদ্ধান্ত নেয়াই শ্রেয় মনে করলাম। যদিও আমার মতো ক্ষুদ্র একজন গ্রাহক থাকা না থাকায় ব্যাংটির কিছু যায় আসে না।
কারণ ইতোমধ্যেই হাজার হাজার কোটি টাকা লুটপাটে রাষ্ট্রায়ত্ব ব্যাংকটি দেউলিয়াপ্রায়। এ নিয়ে শত সমালোচনা ভর্ৎসনা আর ধিক্কারেও গন্ডারের চামড়া পরিহিত কর্মকর্তাদের লজ্জা বা বোধোদয় হয়নি, আর হবেও না। তাই মানে নিজেই কেটে পড়া উত্তম ভেবে চলে আসলাম; টাকা পাঠাবো বিকাশে।
লেখকঃ সাংবাদিক
লেখকের ফেসবুক থেকে নেয়া