• শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১
  • ||
শিরোনাম

জুতা পায়ে শহীদ মিনারে জবি শিক্ষার্থীরা

প্রকাশ:  ২০ ফেব্রুয়ারি ২০১৮, ১৬:১৩ | আপডেট : ২০ ফেব্রুয়ারি ২০১৮, ১৬:৫৮
জবি প্রতিনিধি

বিশ্বের বুকে মাতৃভাষা প্রতিষ্ঠার দাবিতে জীবন দেওয়ার নজির এক মাত্র বাঙ্গালী জাতির।বাংলাভাষা প্রতিষ্ঠার এ দাবিতে রক্তের বিনিময়ে অর্জিত ২১ ফেব্রুয়ারি যা আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস হিসেবে প্রতিষ্ঠিত। আর সেই সাথে বিশ্বের বুকে স্থান করে নিয়েছে ভাষা ও ভাষা শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধার প্রতীক শহীদ মিনার।তবুও প্রতিনিয়ত চলেছে শহীদ মিনার অবমাননা। কোথাও কোথাও আড়ালে ঢাকা পড়েছে বাঙ্গালী জাতির এমন গর্বের প্রতীক শহীদ মিনার।

এমনই ভাবে শহীদ মিনার অবমাননার ঘটনা জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ে (জবি) প্রতিদিনই চোখে পড়ার মত। এর কারণ হিসেবে কারো কাছে জবি শহীদ মিনারের বিকৃত আকৃতি দায়ি আবার কারো কাছে গাছের ছাঁয়ায় আড়াল হয়ে থাকাও মুল কারণ।

সম্পর্কিত খবর

    কয়েকদিনে সরেজমিনে দেখা যায়, বিভিন্ন বিভাগের গুচ্ছ গুচ্ছ হয়ে শিক্ষার্থীরা জুতা পায়ে শহীদ মিনারে বসে আড্ডা দিচ্ছেন। আবার কেউ কেউ এটাকে শহীদ মিনার নয় বরং অবসরে বসে থাকার জন্য জবির ভেতরে একটি স্থাপত্য মনে করছেন।

    জবির ১২তম ব্যাচের কয়েকজন শিক্ষার্থীকে জুতা পায়ে আড্ডা দেওয়ার সময় তাদের কাছে এর কারণ জানতে চাইলে তারা বলেন, আমরা জানতামই না যে এটা কোন শহীদ মিনার।তাছাড়া সবাই দেখতাম জুতা পড়েই উপরে উঠে বসে থাকতো। আমরাও ভেবেছি এখানে বসে থাকা যায়।

    বহিরাগত একজন মধ্যবয়সী নারীকে শহীদ মিনারের উপরে জুতা পায়ে বসে থাকার সময় তার কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমি বুঝতে পারিনি এটা একটা শহীদ মিনার।কারণ গাছের নিচে সুন্দর ভাবে এমন স্থাপত্য যে শহীদ মিনার হতে পারে তা আমার জানা ছিল না।

    গবেষকরা বলছেন, বিশ্বের কোন ঐতিহাসিক বা স্থাপত্য নিদর্শন গাছের নিচে থাকার কথা নয়। এসব স্থাপত্য হবে খোলা আকাশের নিচে, সম্পূর্ণ ফাঁকা কোন জায়গায় থাকা বাঞ্ছনীয়।

    তবে সাধারণ শিক্ষার্থীদের দাবি, শহীদ মিনারটিকে গাছের আড়াল থেকে মুক্ত করে আনতে প্রশাসনকে যথাযথ ব্যবস্থা নিতে হবে। তা নাহলে একটি বিশ্ববিদ্যালয়ে নিয়মিত শহীদ মিনার অবমাননা মেনে নেওয়া যায় না। এছাড়া ক্যাম্পাসে শহীদ মিনারটির ঠিক সামনেই একটি আমগাছ এমন ভাবে মাথা চারা দিয়ে উঠেছে, ক্যাম্পাসের বাহিরের কেউ বুঝতেই পারবে না যে এখানে কোন শহীদ মিনার আছে।

    শহীদ মিনার নিয়ে এমন অবস্থার কথা জানতে চাইলে জবি উপাচার্য অধ্যাপক ড. মীজানুর রহমান সাংবাদিকদের বলেন, আমি যেটা জানি, কোন স্থাপত্য নিদর্শনের সামনে এভাবে কোন বড় আকারের গাছ থাকতে পারে না। এগুলো সংস্কার করা প্রয়োজন।

    শহীদ মিনারটি স্থানান্তর করার বিষয়ে তিনি বলেন, আপাতত এখানে আর কোন শহীদ মিনার করা সম্ভব না। আমাদের কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার হবে কেরানীগঞ্জের নতুন ক্যাম্পাসে।

    • সর্বশেষ
    • সর্বাধিক পঠিত
    close