• বুধবার, ২৪ এপ্রিল ২০২৪, ১১ বৈশাখ ১৪৩১
  • ||

পুরাতন ঢাকার ১০ টাকার বিরিয়ানি নিয়ে কেন এত হইচই?

প্রকাশ:  ০৪ ফেব্রুয়ারি ২০১৮, ২২:৫৭
অনলাইন ডেস্ক

সোশ্যাল মিডিয়জুড়ে চলছে ১০ টাকার বিরিয়ানি নিয়ে আলোচন-সমালোচনা। কিন্তু হুট করে এই ১০ টাকার বিরিয়ানি আলোচনায় এলো কেন? ফেসবুকে বেশকয়েকটি ফুড গ্রুপ রয়েছে।

যেখানে প্রথমে এই বিরিয়ানি নিয়ে রিভিউ দিয়েছিলেন। এরপর থেকে এই বিরিয়ানির মান নিয়ে প্রশ্ন ওঠে। শুরু হয় হয় সোশ্যাল মিডিয়া ঝড়। আলোচনা-সমালোচনা ও ক্রমাগত ট্রল।

সম্পর্কিত খবর

    ১০ টাকার বিরিয়ানি কোথায় পাওয়া যায়?

    অবিশ্বাস্য হলেও সত্য এই ঢাকা শহরেই মাত্র ১০ টাকায় বিরিয়ানি পাওয়া যায়। পুরাতন ঢাকার বনগ্রাম নামক একটি স্থানে মাত্র ১০ টাকায় বিরিয়ানি বিক্রি হয়। এই বনগ্রাম ঠাটারিপাড়ার কাছে। অর্থাৎ রাজধানী মার্কেটের নিকটেই। লালের হোটেল নামে পরিচিত একটি হোটেলে এই বিরিয়ানি বিক্রি হয়।

    লাল নামের এক ব্যক্তি রয়েছে তার ভাই তানভীর নিজস্ব উদ্যোগে ১০ টাকার বিরিয়ানি বিক্রি শুরু করেন।

    কেন ১০ টাকায় এই বিরিয়ানি?

    ১০ টাকার বিরিয়ানির মান নিয়ে যদিও প্রশ্ন আছে তারপরেও মাত্র ১০ টাকায় কীভাবে এই বিরিয়ানি বিক্রি হচ্ছে সেটা নিয়ে যেন কৌতুহলের কোনো শেষ নেই। অন্তত গত কয়েকদিন সোশ্যাল মিডিয়ায় এই ১০ টাকার বিরিয়ানি নিয়ে ব্যাপক আলোচনা চলছে। প্রচুর সমালোচনাও হচ্ছে। তবে পুরান ঢাকার অধিবাসীরা অবশ্য এর 'সমুচিত' জবাব দেয়ার চেষ্টাও করছেন।

    ১০ টাকার বিরিয়ানি মূলত তানভীরের একটি উদ্যোগ, কোনো ব্যবসা নয়। অন্তত এমনটাই জানা গেছে। শুধু ১০ টাকা নয়, কারো যদি ১০ টাকা দেয়ার সামর্থও না থাকে তাহলেও তানভীর তার হাতে বিরিয়ানি তুলে দেন। কোনো শিশুর হাত থেকে যদি বিরিয়ানির প্লেট পড়ে যায় তাহলে তানভীর তার হাতে নতুন প্লেটে বিরিয়ানি তুলে দেন। ব্যাবসায়ীক কোনো উদ্দেশ্য নেই, শুধু পুরান ঢাকার ঐতিহ্য ধরে রাখার জন্যই তিনি এই কাজ করে যাচ্ছেন বলে জানা যায়।

    সোশ্যাল মিডিয়া কী বলছে?

    মূলত আলোচনা সমালোচনার শুরুটাই সোশ্যাল মিডিয়ায়। তাই এর জবাবটাও সোশ্যাল মিডিয়া তৈরি করে দিচ্ছে। অনেকেই বিরক্ত হয়েছেন এহেন কাণ্ডে, 'অহেতুক' একটি উদ্যোগকে ভাইরাল করার জন্য।

    সাবরিনা সাবা বলছেন, বকের মাংস না কাকের মাংস, হাত দিয়ে দিতেছে না, জায়গা চুল্কায়ে দিতেছে, এগুলা এখানে লিখার কোনও মানে নাই। অন্য রেস্টুরেন্ট গুলাতে তোমাকে রান্নাঘরে ঢুকায়ে রান্না করে না। যেখানে প্লেটে কাচা মরিচ দিয়ে বলবে ওটাই ১০ টাকা। আর খাবার জিনিসের আবার গরিব বড়লোক হয় জানতাম না। খাওয়ায় পর সব তো এক জায়গায় ই ছাড়।

    শাকিল নামের একজন লিখেছেন, কয়েক দিন যাবত লক্ষ্য করছি,১০ টাকার বিরিয়ানি নিয়া অনেকে অনেক কথা বলছে,কেউ কেউ আবার ট্রল বানায়াইয়া হাসির ঝুলি হিসেবে ছড়াইয়া দিচ্ছে। একবার চিন্তা করছেন যে,এই ১০ টাকার বিরিয়ানি কত গরিব,দুখী অসহায় মানুষদের জন্য কতটা প্রয়োজন? না করেন নাই। আর তাই যদি করতেন তাইলে ১০ টাকার বিরিয়ানি নিয়া এই রকম ট্রল বানাইতেন না।

    দীপা নামের একজন লিখেছেন, আমি জানি এটা কোথায়। এমনকী এই লোকটাকেও আমি চিনি। পিচ্চিকাল থেকে এই বিরিয়ানি আমি খেয়ে আসছি।

    এই ১০ টাকার বিরিয়ানি গুলো মূলত খেটে খাওয়া পথ শিশু কিংবা অভাবীদের জন্য। আপনার যেখানে এক বেলা বিরিয়ানি খেতে ৬০০ টাকা চলে যায় সেখানে তাদের এই ৬০০ টাকায় পুরো মাসের খাবার খায়।

    সূত্র- কালের কণ্ঠ

    • সর্বশেষ
    • সর্বাধিক পঠিত
    close