ঐক্যফ্রন্টের সমাবেশস্থলে আ’লীগের শোডাউন

রাজশাহীর ঐতিহাসিক মাদরাসা মাঠে জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের সমাবেশ শুরু হয়েছে। শুক্রবার (৯ নভেম্বর) দুপুর ২টায় পবিত্র কোরআন তিলাওয়াতের মাধ্যমে সমাবেশ শুরু হয়।

এতে উপস্থিত আছেন- বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরসহ জোটের শীর্ষ নেতারা। তবে শারীরিক অসুস্থতার কারণে জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের সমাবেশে যোগ দিচ্ছেন না বিশিষ্ট সংবিধানপ্রণেতা ও গণফোরাম সভাপতি ড. কামাল হোসেন।

সমাবেশ শুরুর পরপরই সমাবেশস্থলের সামনে দলীয় নেতাকর্মীদের নিয়ে শোডাউন করেছে স্থানীয় আওয়ামী লীগ। নগরীর দরগাপাড়া থেকে মিছিলটি বের করা হয়। এটি মাদরাসা ময়দানের সামনের সড়ক হয়ে ফায়ার সার্ভিস মোড় ঘুরে দলীয় কার্যালয়ে গিয়ে শেষ হয়।

নেতৃত্ব দেন মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি ও সিটি মেয়র এএইচএম খায়রুজ্জামান লিটন। মিছিলে নগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ডাবলু সরকারসহ বিভিন্ন স্তরের নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।

দুপুর থেকে শান্তি-শৃঙ্খলা রক্ষায় মহানগরের সাহেব বাজার জিরো পয়েন্টে অবস্থান নেয় আওয়ামী লীগ ও তার বিভিন্ন অঙ্গ সংগঠনের নেতাকর্মীরা। দুপুর ১টা পর্যন্ত সেখানে অবস্থান নিয়ে থাকেন আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা। পরে দলীয় নেতাকর্মী সঙ্গে নিয়ে দরগা মসজিদে জুমার নামাজ আদায় করেন মেয়র খায়রুজ্জামান লিটন।

এ সময় সেখানে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে মেয়র বলেন, ঐক্যফ্রন্ট জনসভা বা সমাবেশ করতেই পারেন। এগুলোতে আমাদের কোনো বাধা নেই। তবে বিশ্বস্ত সূত্রে আমরা জানতে পেরেছি, তাদের কতিপয় নেতা পরিকল্পনা করছেন, তারা এখান থেকে এমন একটা কিছু করতে চান, যার মাধ্যমে আন্দোলন বেগমান করতে পারেন, নির্বাচন পেছাতে পারেন। তারা বিশৃঙ্খলা বা অরাজকতার মাধ্যমে শান্তির শহর রাজশাহীকে অশান্ত করবে এটা আমরা হতে দিতে পারি না। এটি প্রতিরোধ করার জন্যই আমরা অবস্থান নিয়েছি। ঐক্যফ্রন্টের জনসভার আগে, মধ্যবর্তী অথবা ফেরত যাওয়ার সময় কেউ যদি বিশৃঙ্খল পরিবেশ সৃষ্টি করে সঙ্গে সঙ্গে আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকে খবর দিতে হবে।

আওয়ামী লীগ নেতা লিটন বলেন, জনগণের জান-মাল রক্ষা করার দায়িত্ব অবশ্যই আমাদেরও আছে। আমরা সেটি পালন করতে চাই। আমরা আগ বাড়িয়ে কিছু করতে চাই না। তবে কেউ বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করলে প্রতিরোধ করা হবে।

তিনি আরও বলেন, আমাদের নেতাকর্মীরা সন্ধ্যা পর্যন্ত নিজ নিজ এলাকায় সতর্ক অবস্থানে থাকবেন। কোথাও কোনো অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটতে দেয়া হবে না।

/অ-ভি