• শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৭ বৈশাখ ১৪৩১
  • ||
শিরোনাম

‘স্বৈরাচার হিসেবে প্রধানমন্ত্রীর বিশ্বজোড়া নামডাক হয়েছে’

প্রকাশ:  ২৫ সেপ্টেম্বর ২০১৮, ১৩:৫২
নিজস্ব প্রতিবেদক

বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম-মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী বলেছেন, ক্ষমতাসীন হওয়ার পরে কিম্ভূতকিমাকার একনায়কতন্ত্র কায়েম করার জন্যই প্রধানমন্ত্রী বেহুঁশ হয়ে পড়েছেন। গণতন্ত্র ও নির্বাচন প্রক্রিয়া সন্ত্রাসের বেড়াজাল দিয়ে ঘিরে রাখতেই স্বৈরাচার হিসেবে প্রধানমন্ত্রীর বিশ্বজোড়া নামডাক হয়েছে। তার মুখে রাজনৈতিক প্রতিপক্ষের বিরুদ্ধে বিষোদগার হাস্যকর।

মঙ্গলবার (২৫ সেপ্টেম্বর) বেলা সাড়ে ১১টায় রাজধনীর নয়াপল্টনে দলীয় কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন।

জাতীয় ঐক্য প্রক্রিয়া, ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রে প্রধানমন্ত্রীর দেয়া বক্তব্যের সমালোচনা করে তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ক্ষমতা হারানোর ভয়ে কান্ডজ্ঞানশুন্য হয়ে পড়েছেন। তিনি তার সামনে, পেছনে, ডানে-বায়ে যারা তাকে ঘিরে আছে, তাদের দিকে তাকান না, শুধু তার রাজনৈতিক প্রতিপক্ষদের কুৎসা রটাতেই ব্যস্ত থাকছেন।

দেশের অর্থনৈতিক ব্যবস্থা ধ্বংস করে দেওয়া হয়েছে দাবি করে প্রধানমন্ত্রীর কাছে একগাদা প্রশ্নও রাখেন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম-মহাসচিব।

তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রীর নিকট জাতি জানতে চায়- বিগত দশ বছরে ব্যাংক, বীমা লুটের টাকা গেল কোথায়? শেয়ার বাজার লুটের টাকা গেল কোথায়? ব্যাংকে আমানতকৃত টাকা চেক দিয়ে মানুষ না পেয়ে ফেরত আসে কেন? বাংলাদেশ ব্যাংকের রিজার্ভ চুরি করেছে কে? এখনও কেন রিজার্ভ চুরির তদন্ত রিপোর্ট প্রকাশ করা হয়নি? আর্থিক খাত ধ্বংস করলো কে?

‘কানাডাতে বেগম পল্লী ও মালয়েশিয়ায় সেকেন্ড হোম তৈরী করেছে কারা? গত দশ বছরে বিদেশে লাখ লাখ কোটি টাকা পাচার করেছে কারা? প্রায় প্রতিদিন গড়ে ৪/৫ জন নিরীহ মানুষ বিচার বহির্ভূত হত্যাকান্ডের শিকার হচ্ছে কার নির্দেশে? কালো কাঁচ ঢাকা মাইক্রোবাসগুলো কাদের?’

প্রধানমন্ত্রী তার ভাষণে সত্য ধামাচাপা দিতে পারবেন না মন্তব্য করে বিএনপি নেতা আরও বলেন, জনগণ এটিকে নিরেট চাপাবাজী বলেই গণ্য করে। আসল জারিজুরি ফাঁস হওয়ার ভয়েই তিনি ক্ষমতা ছাড়ছেন না। সেজন্য দম্ভবলে সকলের মুখ বন্ধ রাখতেই ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন জাতীয় সংসদে পাশ করেছেন।

রিজভী বলেন, অন্যায়ভাবে বিএনপি নেত্রীকে গ্রেফতার করা হলো। তারপর কর্তৃপক্ষের অবহেলা, হয়রানি, পরিত্যক্ত কারাগারের অস্বাস্থ্যকর স্যাঁতসেতে বদ্ধ পরিবেশের মধ্যে তাকে দিনযাপন করতে হচ্ছে, এটি চরম নির্যাতন। এই নির্যাতন সহ্য করতে গিয়ে তার পূর্বের অসুস্থতা গুরুতর রূপ ধারণ করেছে। সরকার তাকে সুচিকিৎসা হতে বঞ্চিত করেছে।

‘খালেদা জিয়াকে বিশেষায়িত হাসপাতালের সুবিধা ও ব্যক্তিগত বিশেষজ্ঞ ডাক্তারদের দ্বারা নিয়মিত স্বাস্থ্য পরীক্ষা থেকেও বঞ্চিত করা হচ্ছে। দল ও পরিবার থেকে বারবার ব্যক্তিগত চিকিৎসকদের সমন্বয়ে মেডিকেল বোর্ড গঠনের দাবিকেও অগ্রাহ্য করা হয়েছে।’

বিএনপি নেতা আরও বলেন, সরকারীদলের সমর্থক এবং আওয়ামী রাজনীতিতে সক্রিয় বিএসএমএমইউর চিকিৎসকদের দিয়ে গঠিত মেডিকেল বোর্ডও বিএনপি নেত্রীর স্বাস্থ্য পরীক্ষা করার পরে স্ববিরোধী কথা বলেছেন। একদিকে তারা বলেছেন, বেগম খালেদা জিয়ার অসুস্থতা গুরুতর নয়, আবার বলেছেন, তার আথ্রাইটিসের ব্যথা, ফ্রোজেন শোল্ডার, হাত নড়াচড়া করতে পারেন না। এরপরও তিনি অসুস্থ নন। অসুস্থ না হলে মেডিকেল বোর্ড কেন খালেদা জিয়াকে হাসপাতালে ভর্তির পরামর্শ দিলেন?

/অ-ভি

রুহুল কবির রিজভী,বিএনপি,সরকার,প্রধানমন্ত্রী,শেখ হাসিনা
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত
close