• শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৭ বৈশাখ ১৪৩১
  • ||

এক লাখ টাকা চুক্তিতে খুন হন কুয়েত আ.লীগ নেতা

প্রকাশ:  ১৭ সেপ্টেম্বর ২০১৮, ১৯:১৬
মৌলভীবাজার প্রতিনিধি

সিলেট নগরীর জিন্দাবাজারে খুন হওয়া মৌলভীবাজারের রাজনগর উপজেলার বাসিন্দা কুয়েত প্রবাসী আওয়ামী লীগ নেতা আব্দুল আহাদ হত্যার রহস্য উম্মোচন করেছে পুলিশ। হত্যায় জড়িত থাকার অভিযোগে আটক মহানগর ছাত্রদল নেতা মুরাদ হোসেন রানা রোববার ১৬৪ ধারায় সিলেট মহানগর হাকিম আদালত-২ এ স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দিতে উঠে এসছে চাঞ্চল্যকর তথ্য দেন।

তবে তদন্তের স্বার্থে এ হত্যাকাণ্ডের মূল হোতাদের নাম প্রকাশ করা হয়নি।

নিজ দলের মধ্যে রাজনৈতিক গ্রুপিংয়ের কারণে প্রবাসী এই আওয়ামী লীগ নেতাকে খুন করাতে এক লাখ টাকার বিনিময়ে ছাত্রদল নেতা মুরাদের সঙ্গে চুক্তি করেন হত্যাকাণ্ডের মূলহোতা ওই নেতা।

গত ৩১ আগস্ট রাতে নগরীর জিন্দাবাজারে আওয়ামী লীগ কুয়েত শাখার সাংগঠনিক সম্পাদক আব্দুল আহাদকে ছুরিকাঘাত করে হত্যা করে দুর্বৃত্তরা। মৌলভীবাজারের রাজনগর উপজেলার করিমপুর মেদিনী মহল গ্রামের নুর মিয়ার ছেলে আব্দুল আহাদ সিলেট বিভাগীয় লেখক ফোরাম কুয়েত শাখার সাধারণ সম্পাদকেরও দায়িত্বে ছিলেন।

আদালতে মাসুদ রানার জবানবন্দি প্রদানের তথ্য জানিয়ে এই মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা এসআই অনুপ কুমার চৌধুরী বলেন, ‘আদালতে মাসুদ রানা জানিয়েছে এক লাখ টাকার বিনিময়ে তার সহযোগীদের নিয়ে আব্দুল আহাদকে হত্যার মিশনে অংশ নিয়ে ছিলেন তিনি। ঘটনার দিন রাত ৯টায় নগরের চৌহাট্টা এলাকায় মুরাদ তার সহযোগীদের নিয়ে আহাদকে হত্যার পরিকল্পনা করেন। এরপর তারা জিন্দাবাজারে আহাদকে ছুরিকাঘাত ও কুপিয়ে খুন করে পালিয়ে যায়। এছাড়া হত্যাকাণ্ড তারা ছয়জন অংশ নেয়।

এসআই অনুপ কুমার চৌধুরী জানান, ‘মোবাইল ফোনের কললিস্টের সূত্র ধরে গত ১০ সেপ্টেম্বর মাসুদ রানাকে সিলেট নগরীর ঘাসিটুলার তার বন্ধুর বাসা থেকে গ্রেফতার করা হয়। তার গ্রামের বাড়ি গোলাপগঞ্জ উপজেলার ঢাকা দক্ষিণ রায়গড় গ্রামে।

তিনি জানান, ১১ সেপ্টেম্বর আদালত তাকে পাঁচ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করে। রিমান্ড শেষে রোববার সে আদালতে আব্দুল আহাদ হত্যাকাণ্ডের বিষয়ে স্বীকারোক্তি দিয়েছে। মুরাদ হোসেন রানা সিলেট ছাত্রদলের সাবেক সহ সাংগঠনিক সম্পাদক নাবিন রাজা চৌধুরী গ্রপের নেতা। তার গ্রামের বাড়ি গোলাপগঞ্জ উপজেলার ঢাকা দক্ষিণ রায়গড় গ্রামে।

ওএফ

আ.লীগ নেতা,খুন
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত
close