• বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১
  • ||

‘সেই প্রশ্নের জবাব বিএনপি আজও দেয়নি’

প্রকাশ:  ১৭ সেপ্টেম্বর ২০১৮, ১৪:৫৯ | আপডেট : ১৭ সেপ্টেম্বর ২০১৮, ১৫:০৩
নিজস্ব প্রতিবেদক

আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, আমি বারবার একই প্রশ্ন করছি বিএনপির নেতৃত্বের কাছে- বঙ্গবন্ধু হত্যার সঙ্গে কারা জড়িত, সেই খুনিদের বিচারের পথ বন্ধ করতে কেন ইনডেমনিটি অধ্যাদেশ জারি করা হয়েছিল, কেন এই ইনডেমনিটি অধ্যাদেশকে বাংলাদেশের লাখো শহীদের রক্তের আখরে রচিত সংবিধান পরিবর্তন করে পঞ্চম সংশোধনীতে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছিল? হত্যাকারীদের বিচারের পথ রুদ্ধ করতে। এই প্রশ্নের জবাব বিএনপি আজও দেয়নি। আমি আবারও সেই প্রশ্নের জবাব চাচ্ছি।

সোমবার (১৭ সেপ্টেম্বর) সকালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের টিএসসি মিলনায়তনে নূর চৌধুরীকে ফিরিয়ে আনার দাবিতে কানাডার প্রধানমন্ত্রী বরাবর অনলাইন স্বাক্ষর সংগ্রহ কর্মসূচির উদ্বোধনীতে তিনি এ কথা বলেন।

সামাজিক সাংস্কৃতিক সংগঠন গৌরব ৭১, কানাডা আওয়ামী লীগ অল ওভারসিস বাংলাদেশি এবং মুভমেন্ট ফর ডিপারটেশন অব কিলার নুর চৌধুরী টু বাংলাদেশ যৌথভাবে এ উদ্যোগ নিয়েছে।

আইপিটিশন নামক ওয়েবসাইটের https://www.ipetitions.com/petition/petition-for-deportation-of-killer-nur-chowdhury লিঙ্কে অনলাইনে পিটিশন দাখিল করা যাবে বলে জানানো হয় ওই অনুষ্ঠানে।

বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের পলাতক দুই খুনি রাশেদ চৌধুরী ও নূর চৌধুরীকে দেশে ফিরিয়ে আনতে সরকার উদ্যোগ নিয়েছে জানিয়ে ওবায়দুল কাদের বলেন, যুক্তরাষ্ট্রে আছেন রাশেদ চৌধুরী। তাকে ফিরিয়ে আনার জন্য যুক্তরাষ্ট্র সরকারের সঙ্গে আলাপ-আলোচনা অব্যাহত রয়েছে। যুক্তরাষ্ট্র সরকার আমাদের সহযোগিতা করছে। তাকে ফিরিয়ে আনতে ওখানে একটি মামলা করা হয়েছে সরকারের পক্ষ থেকে।

নূর চৌধুরীকে ফিরিয়ে আনার ব্যাপারে সেতুমন্ত্রী বলেন, কানাডার একটা আইন আছে। তাদের আইনটা হচ্ছে, কাউকে মৃত্যুদণ্ড দেওয়ার বিধান সে দেশের আইনে নেই। যে কারণে এই আইনটিকে শিথিল করে নূর চৌধুরীকে দেশে ফিরিয়ে আনার ব্যাপারে, কানাডায় একটা মামলাও বাংলাদেশ সরকার করেছে এবং সেখানে আলাপ-আলোচনা আমাদের সরকারের সঙ্গে অব্যাহত রয়েছে।

১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট বাংলাদেশের স্বাধীনতা সংগ্রামের নেতা ও তৎকালীন রাষ্ট্রপতি শেখ মুজিবকে সপরিবারে হত্যা করে সেনাবাহিনীর একদল কর্মকর্তা ও সৈনিক। দুই মেয়ে শেখ হাসিনা ও শেখ রেহানা সে সময় দেশের বাইরে থাকায় প্রাণে বেঁচে যান। দীর্ঘদিন বিচার বন্ধের পর শুরু আইনি প্রক্রিয়ায় মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত ১২ জনের মধ্যে পাঁচজনের ফাঁসি কার্যকর হয়েছে ২০১০ সালে। বাকিদের একজন মারা গেছেন এবং ছয়জন পলাতক আছেন।

তারা হলেন- আব্দুর রশিদ, শরিফুল হক ডালিম, এম রাশেদ চৌধুরী, এসএইচএমবি নূর চৌধুরী, আব্দুল মাজেদ ও রিসালদার মোসলেম উদ্দিন। তাদের বিরুদ্ধে ২০০৯ সালে ইন্টারপোলের মাধ্যমে রেড নোটিশ জারি করা আছে। এদের মধ্যে নূর চৌধুরী কানাডায় এবং এম রাশেদ চৌধুরী যুক্তরাষ্ট্রে রয়েছেন বলে নিশ্চিত হয়েছে ইন্টারপোলের বাংলাদেশ শাখা ন্যাশনাল সেন্ট্রাল ব্যুরো (এনসিবি)।

/অ-ভি

ওবায়দুল কাদের,সেতুমন্ত্রী,আওয়ামী লীগ,বিএনপি
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত
close