• শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১
  • ||
শিরোনাম

'শিক্ষাখাতে ভর্তুকি ব্যয় নয়, এটা সন্তানদের জন্য বিনিয়োগ'

প্রকাশ:  ২১ জুলাই ২০১৮, ২৩:০০
নিজস্ব প্রতিবেদক

রাজধানীর ধানমন্ডি আইডিয়াল কলেজের একাদশ শ্রেণির শিক্ষার্থীদের বরণ অনুষ্ঠানে ব্যারিস্টার শেখ ফজলে নূর তাপস নবীনদের স্বাগতম জানিয়ে বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান স্বপ্ন দেখেছেন যে, বাংলাদেশ একটি স্বাধীন রাষ্ট্র হবে। বাংলাদেশ নামে একটি দেশ হবে। বাঙ্গালি জাতির একটি নিজস্ব ভূমি হবে, পতাকা হবে, জাতীয় সঙ্গীত হবে এবং বাঙ্গালিরা নিজেরদের ভবিষ্যত নিজেরা গড়বে। জাতির পিতার এই স্বপ্ন বাস্তবায়ন হয়েছিল ১৯৭১ সালের ২৬ মার্চ।

শনিবার দুপুরে রাজধানীর নবীনবরণ ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে ঢাকা-১০ আসনের এমপি ব্যারিস্টার ফজলে নূর তাপস আরো বলেন, ২০০৮ সালে শেখ হাসিনা জেল থেকে ছাড়া পাওয়ার পর আমাদের নতুন দিক-নির্দেশনা দিলেন, বললেন ‘দিন বদলের সনদ’। তখন অনেকে ব্যঙ্গ হাসি হেসেছিলেন। বলেছিল এটা আবার কী? সেটা ছিল ডিজিটাল বাংলাদেশে রূপান্তিত করা, সেই ছিল স্বাধীনতার সুফল ঘরে ঘরে পৌঁছে গেছে। আমরা সেটা নয় বছরের মধ্যে পৌঁছে দেওয়া শুরু করেছি। আজকে কেউ লাইনে দাঁড়িয়ে টাকা পাঠায় না। ঘরে বসে মোবাইলের মাধ্যমে টাকা আদান প্রদান করে।

সম্পর্কিত খবর

    তিনি বলেন, ডিজিটাল বাংলাদেশের প্রধান শর্ত হলো শিক্ষা। একটি জাতিকে সঠিক ভাবে মেধা দিয়ে শিক্ষা দিতে না পারলে সেটা জ্ঞানী শিক্ষা হবে না। শিক্ষা খাতে আমরা যে ভতুর্কি দিচ্ছি সেটাকে আমি ব্যয় বলব না। সেটা আমার সন্তানের প্রতি বিনিয়োগ। আমার এই বিনিয়োগ সন্তানেরা একদিন পূরণ করবে। আমার সন্তাানেরা সু-নাগরিক হয়ে, সোনার মানুষ হয়ে তারা সেই বিনিয়োগ ফেরত দিবে। তাই পহেলা জানুয়ারি নতুন বই পৌছে দেওয়া হচ্ছে। এছাড়া ২৬ হাজার সরকারি বেসরকারি বিদ্যালয়, মাদ্রাসা, কারিগরি শিক্ষা প্রতিষ্ঠাানে নতুন ভবন, একাডেমিক ভবন, শ্রেণিকক্ষ, আইটি ভবন ও আইটি শিক্ষার ব্যবস্থা করা হয়েছে।

    দেশের সাম্প্রদায়িক শক্তির বিষ দাঁত রয়ে গেছে। তারাও প্রস্তুতি নিয়ে আছে সুযোগ পেলেই বিষ দাঁত দিয়ে কামড় দিতে। যুদ্ধের সময় দেশের বিপক্ষে যারা কাজ করেছিল তাদেরকে এক সময় রাজাকার বলা যেত না। মুক্তিযোদ্ধারা পর্যন্ত তাদের রাজাকার বলতে সাহস পেতেন না। আমরা ধাপে ধাপে যুদ্ধ অপরাধীদের বিচার করতে পেরেছি।

    কলেজের গর্ভনিং বডির সভাপতি সৈয়দ রেজাউর রহমান এ্যাডভোকেটের সভাপতিত্বে আরো বক্তব্য রাখেন কলেজের অধ্যক্ষ প্রফেসর জসিম উদ্দীন আহম্মেদ, উপাধ্যক্ষ মুজিবুর রহমান, ঢাকা সিটি করপোরেশনের ১৮ নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর জসিম উদ্দিন আহমেদ, ১৬ নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর হোসেন হায়দার হিরু প্রমুখ।

    পরে কলেজের শিক্ষার্থী ও জাতীয় পর্যায়ের শিল্পীদের পরিবেশনায় মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের মাধ্যমে জাঁকজমকপূর্ণ অনুষ্ঠানটির সমাপ্তি ঘোষণা করা হয়।

    • সর্বশেষ
    • সর্বাধিক পঠিত
    close