• শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১
  • ||
শিরোনাম

ভালো মানুষ হতে হলে ভালো মন দরকার

প্রকাশ:  ৩০ অক্টোবর ২০১৮, ২১:৩৯
অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ আসাদুজ্জামান চৌধুরী

মন দিয়ে মানুষের ভিতরটাকে দেখা যায় | মনের মানুষ নাকি মানুষের মন এটা নিয়ে তর্ক বিতর্ক থাকতে পারে | তবে সবক্ষেত্রেই মনের লাগামটা নিজের হাতে রাখতে হবে | মন নিয়ে গোটা বিশ্বে যত গবেষণা চলছে তা আর অন্য বিষয় দেখা যাচ্ছেনা | অনেক সময় বলা হয়ে থাকে ভালো মনের মানুষ আর মন্দ মনের মানুষ। ভালো মন ভালো মানসিকতা তৈরি করে আর মন্দ মন মন্দ মানসিকতার জন্ম দেয়। ভালো মানুষ হতে হলে একটা ভালো মন থাকতে হয় | একজন ভালো মন ও মানসিকতার মানুষ হিসেবে আবদুল্লাহ আবু সায়ীদ আমাদের সবার কাছে সমাদৃত। একটি ভালো মন আছে বলে তিনি নিজেকে বিশ্বসাহিত্য কেন্দ্রের মাধ্যমে ত্রিশ বছর ধরে সম্পৃক্ত করে বাংলাদেশে আলোকিত মানুষ তৈরির কাজে নিয়োজিত রেখেছেন। আলোকিত মানুষ তৈরি মানে ভালো মন ও মানসিকতার মানুষ তৈরি করে তাদের মধ্যে দেশপ্রেম ও মানবিক মূল্যবোধ সৃষ্টি করা। আর এটা যদি করা সম্ভব হয় তবে দেশের কাজে ও উন্নয়নে নিজেকে সম্পৃক্ত রেখে দেশকে ইতিবাচকভাবে বদলানো সম্ভব। তবে এ ক্ষেত্রে বৈষম্যহীনভাবে মানুষকে কাজ করার সুযোগ সৃষ্টি করে দিতে হবে। ভারতের সংবিধানপ্রণেতা বিআর আম্বেদকরকে নিচু জনগোষ্ঠীর লোক হিসেবে বিবেচনা করে তার শৈশবের শিক্ষার ক্ষেত্রে বৈষম্য সৃষ্টি করা হয়েছিল। নীচু জাতের বলে তাকে শ্রেণীকক্ষের বাইরের বারান্দায় বসে ক্লাস করতে হতো যাতে উঁচু জাতের মানুষরা অপবিত্র না হয়। এ ধরনের মানসিকতা কখনও কল্যাণকর হতে পারে না।

কিন্তু বিআর আম্বেদকর নিজে ইতিবাচক মনোভাব ধারণ করতেন বলে সব ধরনের বৈষম্য ও বাধাকে অতিক্রম করে দেশ গঠনে নিজেকে সম্পৃক্ত করতে পেরেছিলেন। ২০১২ সালে হিস্ট্রি টিভি ১৮ আয়োজিত একটি বিশেষ অনুষ্ঠানে ভারতীয়দের ভোটের দ্বারা তিনি শ্রেষ্ঠ ভারতীয় নির্বাচিত হন। এখন তিনি সবার কাছে একজন গ্রহণযোগ্য ব্যক্তিত্ব। তবে সবাই যে বিআর আম্বেদকর হবে সেটা ভাবা ঠিক নয়। তাই যেখানেই বৈষম্য সেখানেই মানসিকতা পরিবর্তনের প্রয়োজন রয়েছে। যেমন- আমাদের দেশে শ্রেণীবৈষম্যের বিষয়টি এখনও বিদ্যমান আছে। এ ধারণা থেকে আমরা বলি নিন্মবিত্ত, মধ্যবিত্ত আর উচ্চবিত্ত। এই শ্রেণী বিভাজন শোষণের মনোভাব থেকে এসেছে কিনা তা ভেবে দেখা দরকার। এ ধরনের শ্রেণীবিন্যাস একটি সমাজে বিদ্যমান থাকলে কখনোই মানসিকতা পরিবর্তনে সহায়ক হয় না। একসময় বর্ণবৈষম্যের দেশ দক্ষিণ আফ্রিকায় বৈষম্য ও বঞ্চনার শিকার হয়েছে কৃষ্ণাঙ্গরা। শ্বেতাঙ্গদের আধিপত্যে কালোরা নাগরিক অধিকার থেকে বঞ্চিত হয়েছে। দেশটিতে যারা বর্ণবাদ নিয়ে ভাবছে না- তারা প্রত্যেকেই বলবে, শ্বেতাঙ্গরা এখনও শীর্ষে। তাদের দ্বারা অর্থনীতি এখনও পরিচালিত হচ্ছে। রাজনীতি ও গণমাধ্যমে তুলনামূলকভাবে তাদেরই প্রভাব বেশি। ভালো ভালো ঘরবাড়িতে ও বেশিরভাগ ভালো চাকরির সুবিধা এখনও তারা পাচ্ছে। আপাতদৃষ্টিতে এসবই সত্য বলে মনে হলেও এটাই একমাত্র চিত্র নয়। এর ঠিক উল্টো পিঠে রয়েছে শ্বেতাঙ্গদের দারিদ্র্যের চিত্র, যা থেকে একটি বিষয় পরিষ্কার তা হল- অবস্থানের দিক দিয়ে দিনে দিনে তাদের অবনতি ঘটছে।

সম্পর্কিত খবর

    এসব দেখে অনেক রাষ্ট্রবিজ্ঞানীর প্রশ্ন হচ্ছে, দক্ষিণ আফ্রিকায় প্রকৃত অর্থে শ্বেতাঙ্গদের কোনো ভবিষ্যৎ আছে কিনা। ম্যান্ডেলা নায়কেলার মতে, শ্বেতাঙ্গদের আজকের এ অবস্থার মূলে রয়েছে কৃষ্ণাঙ্গদের প্রতি তাদের ব্যাপক স্বার্থপরতা ও বর্বর আচরণের কুফল। এটিও গ্রহণযোগ্য কোনো মতামত নয়। মানুষ হিসেবে সবার অধিকার সমুন্নত না রাখা গেলে মানসিকতার ভারসাম্য বজায় রাখা যায় না এটি আমাদের মনে রাখতে হবে। আমাদের সমাজে একদিকে যেমন শ্রেণীবৈষম্য বিদ্যমান তেমনি লিঙ্গবৈষম্যও বিদ্যমান। বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর (বিবিএস) ২০১৭ সালের ১ জানুয়ারির সর্বশেষ হিসাব অনুযায়ী, দেশে এখন মোট পুরুষের সংখ্যা ৮ কোটি ১০ লাখ এবং নারীর সংখ্যা ৮ কোটি সাড়ে ৭ লাখ। জনগোষ্ঠীর অর্ধেক নারীর মধ্যে ইতিবাচক মানসিকতা গড়ে তুলতে পারলে তা দেশের অর্থনীতির চাকাকে আরও সচল করবে। তবে নারীর ক্ষমতায়নে আমরা সক্ষম হলেও নারীর নিরাপত্তা বিধানের ক্ষেত্রে এখনও অনেকাংশে আমরা সফল হতে পারিনি। এ ধরনের বৈষম্যগুলো কিভাবে পরিকল্পনা ও রাষ্ট্রীয় নীতির মাধ্যমে কমিয়ে এনে দেশ গঠনে ইতিবাচক মানসিকতা গড়ে তোলা যায় সেটিই এখন বড় চ্যালেঞ্জ। দেশ গঠনে আমাদের প্রচলিত শিক্ষাব্যবস্থা মানুষের মধ্যে মোটিভেশনের জায়গাটি তৈরি করে মানসিকতা পরিবর্তনে ভূমিকা রাখতে পারছে কিনা সেটিও ভেবে দেখা দরকার। দেশপ্রেম সংক্রান্ত কোনো বাস্তব ঘটনা বা গল্পসংবলিত কোনো বই পাঠ্যসূচিতে এখনও অন্তর্ভুক্ত করা যায়নি। অনুপ্রেরণা, জীবনাচরণ ও উপদেশমূলক কোনো বই পাঠ্যসূচিতে নেই। দেশের সংস্কৃতি, ইতিহাস আর স্বাধীনতা সংক্রান্ত বই পাঠ্যসূচিতে অন্তর্ভুক্ত করা হবে বলেও এখনও তা পুরোপুরি বাস্তবতায় রূপ নেয়নি। প্রশ্নপত্র ফাঁসের যে বিষয়গুলো আসছে তা থেকে উত্তরণের সমন্বিত পরিকল্পনা ও তার বাস্তবায়নের উদ্যোগ তেমন একটা লক্ষ করা যাচ্ছে না। বিষয়টি নিছক গুজব নাকি সত্য-মিথ্যে, এটি যাচাই করার জন্য একটি শক্তিশালী বিশেষজ্ঞ কমিটি এখনও সেভাবে গঠন করা যায়নি। আর প্রশ্নপত্র ফাঁসের বিষয়টি কিভাবে বন্ধ করা যায় তার একটি সুনির্দিষ্ট নীতিমালা এবং শিক্ষাবিদ, পরিকল্পনাবিদ ও শিক্ষা গবেষকদের সমন্বয়ে একটি কার্যকরী গ্রুপ তৈরি করা যেতে পারে। সেখানে আইটি বিশেষজ্ঞরাও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে পারেন।

    একটি বিষয় এখানে উল্লেখ করা যেতে পারে তা হল, সরকারি বড় বড় পরীক্ষায় ও উচ্চশিক্ষার ক্ষেত্রে ওপেন বুক সিস্টেম পদ্ধতি চালু করা যেতে পারে; যেটি উন্নত রাষ্ট্রগুলোয় প্রচলিত আছে। আর প্রাইমারি শিক্ষা সম্পূর্ণভাবে পরীক্ষামুক্ত রেখে শিশুদের মানসিক বিকাশ শিক্ষার মাধ্যমে করা সম্ভব। সুইডেন, ফিনল্যান্ড আর জাপানে পরীক্ষা ছাড়াই শিক্ষাদান করা হয়ে থাকে। আর তাদের শিক্ষা পদ্ধতি বিশ্বস্বীকৃত। প্রকৃতপক্ষে জীবন সম্পৃক্ত কর্মমুখী আনন্দপূর্ণ উদ্ভাবনী শিক্ষার মাধ্যমেই মানুষের মধ্যে ইতিবাচক মানসিকতা তৈরি করা সম্ভব। আর এটি করা গেলে দেশ গঠনে মানুষের মধ্যে দায়বদ্ধতা তৈরি হবে। টোফেল, জিআরই, ও-লেভেল, এ-লেভেলের পরীক্ষাগুলো একই সঙ্গে বিভিন্ন দেশে অনুষ্ঠিত হলেও সেগুলোর প্রশ্নপত্র ফাঁস হওয়ার কথা শোনা যায়নি। তারা যে পদ্ধতি অনুসরণ করছে সেটি বিবেচনা করা যেতে পারে। প্রশ্নপত্র ফাঁস রোধে প্রযুক্তির ব্যবহার অনস্বীকার্য। প্রশ্নপত্রগুলো শুধু একটি ডেডিকেটেড অনলাইন পোর্টালে পাওয়া যাবে এবং তাদের ডাউনলোড করার জন্য, সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে ওয়েবক্যাম স্ক্যান করা হবে। শুধু যাদের অনুমোদিত ফটো আইডি থাকবে তারাই প্রশ্নপত্রগুলো ডাউনলোড এবং মুদ্রণ করতে পারবে। এ ছাড়া পরীক্ষা কেন্দ্রগুলোয় সিসিটিভি ক্যামেরার ইন্সটলেশনের ব্যবস্থা থাকতে হবে। এ ছাড়া সাধারণভাবে অপরাধীদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ, পরীক্ষার কাগজপত্রের ওপর বৃহত্তর নজরদারি, সচেতনতা বৃদ্ধি, প্রযুক্তির ব্যবহার ও অনলাইন পরীক্ষা- এই পদক্ষেপগুলো নেয়া যেতে পারে। তবে সবচেয়ে বেশি দরকার মানসিকতার পরিবর্তন।

    আমাদের বিশ্ববিদ্যালয় ও কলেজে পাঠরত শিক্ষার্থীদের রাষ্ট্রের অর্থনৈতিক উন্নয়নে কিভাবে সম্পৃক্ত করা যায় তার কোনো বাস্তবসম্মত নীতিমালা বা পরিকল্পনা এখন পর্যন্ত নেই, যা অনেক উন্নত রাষ্ট্রে প্রচলিত আছে। ফলে বাংলাদেশে ১০ থেকে ২৪ বছর বয়সী তরুণ-তরুণী, যারা মোট জনসংখ্যার ৩০ শতাংশ, তারা অর্থনীতির সঙ্গে যুক্ত হতে পারছে না। যেটা মানবসম্পদ অপচয় বলা যেতে পারে। এই তরুণ শিক্ষার্থীদের লেখাপড়ার সঙ্গে সঙ্গে কিভাবে আইটি পার্ক, আউটসোর্সিং ও অন্যান্য ই-মার্কেটিংয়ের সঙ্গে যুক্ত করা যায় সেই বিষয়টি ভাবা যেতে পারে। এর সঙ্গে এ ধরনের কাজ পাঠ্যসূচি ও লেখাপড়ার একটি অংশ হতে পারে কিনা তা ভেবে দেখা দরকার। তবে লক্ষ রাখতে হবে এই কাজগুলো তার শিক্ষা অর্জনকে যেন ব্যাহত না করে। যদি শিক্ষার্থীদের এভাবে তৈরি করা যায় তবে শিক্ষার্থীরা নিজেদের শিক্ষা খরচ, পরিবারের খরচ এবং সর্বোপরি দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নে ভূমিকা রাখতে পারবে। এর ফলে শিক্ষা ক্ষেত্রে সন্ত্রাস, জঙ্গিবাদ, টেন্ডার, চাঁদাবাজি ও মাদকের ব্যবহার কমে আসবে এবং শিক্ষার্থীদের মধ্যে দেশের প্রতি দায়বদ্ধতা তৈরি হবে। ভারতের তরুণতম প্রধানমন্ত্রী রাজীব গান্ধী স্কুলের পঠনপাঠন শেষ করে ভর্তি হন ক্যামব্রিজের ট্রিনিটি কলেজে। অল্পদিনের মধ্যেই তিনি চলে যান লন্ডনে ইম্পেরিয়াল কলেজে পড়াশোনা করতে। মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং নিয়েই তিনি পড়াশোনা করেন। পরীক্ষার জন্য কেবল পড়াশোনা- এই নীতিতে তিনি বিশ্বাস করতেন না। ফলে ফল বিক্রি করে তিনি তার লেখাপড়া ও আনুষঙ্গিক খরচ চালাতেন। পদ্মা সেতু আমরা নিজেরা করতে পারি- প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার এই আত্মবিশ্বাস রাষ্ট্রের নাগরিকদের মধ্যে ইতিবাচক মনোভাব তৈরি করেছে। ইনোভেশন হাব, আইটি পার্ক, হাইটেক পার্ক, ডিজিটাল বাংলাদেশ, বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট, সমুদ্রসীমা জয়, ভিশন ২০২১ ও ২০৪১-সহ আধুনিক বাংলাদেশ গড়ার ক্ষেত্রে প্রধানমন্ত্রীর পদক্ষেপগুলো মানুষের মধ্যে ইতিবাচক মনোভাব গড়ে তুলেছে। এ ধরনের ইতিবাচক নেতৃত্ব রাষ্ট্রের নাগরিকদের ইতিবাচক মানসিকতা সৃষ্টিতে ভূমিকা রাখছে। যেমন এ বিষয়টি আমরা মালয়েশিয়া ও সিঙ্গাপুরের ক্ষেত্রে লক্ষ করেছি।

    আরেকটি বিষয় হল, ২০২০ সালের মধ্যে আইটি সেক্টরে ২০ লাখ মানুষের কর্মসংস্থান সৃষ্টি, ২০২০ সালের মধ্যে দারিদ্র্য বিমোচন, মাথাপিছু আয় বৃদ্ধি, জিডিপির হার বৃদ্ধি, মালয়েশিয়া আর অস্ট্রেলিয়াকে ২০৩০ সালের মধ্যে বাংলাদেশ অর্থনৈতিক দিক দিয়ে অতিক্রম করবে- সরকারের এ উদ্যোগগুলো মানুষের মধ্যে আশার সঞ্চার করছে, যা ইতিবাচক মানসিকতার পরিচায়ক। তবে দুর্নীতি দমন, মানবাধিকার সংরক্ষণ ও আইনশৃঙ্খলা নিয়ন্ত্রণের মাধ্যমে মানুষের মধ্যে আস্থার জায়গাটি তৈরি করতে হবে। তরুণদের উদ্দেশ্যে ভারতের সাবেক রাষ্ট্রপতি এ পি জে আবদুল কালামের প্রণোদনামূলক বক্তব্যটি ছিল এরকম- ‘আমি তোমাদের জিজ্ঞেস করতে চাই, তোমরা নিজেদের কীভাবে স্মরণীয় করে রাখতে চাও? তোমাদের উচিত, নিজেদের বিশ্লেষণ করে জীবনকে প্রকাশ করা। একটি কাগজে লিখেও রাখতে পারো। সেই কাগজটাই হয়তো মানব ইতিহাসে গুরুত্বপূর্ণ একটি অধ্যায় হয়ে থাকবে। তোমাদের জাতির ইতিহাসেও হয়তো ওই একটি পাতা স্মরণীয় হয়ে থাকবে, সেটা হতে পারে কোনো উদ্ভাবনের জন্য, কোনো কিছু নতুন করে পরিবর্তনের জন্য, আবিষ্কারের জন্য, সমাজে পরিবর্তন আনার জন্য, দারিদ্র্য নির্মূলে অবদান রাখার জন্য, অন্যায়ের বিরুদ্ধে লড়াই করার জন্য, স্বাস্থ্যসেবায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখার জন্য। আমি নিশ্চিত, তোমরা অবশ্যই অভিনব কিছু করবে। সেগুলো হবে, ধরাবাধা গতানুগতিক ধারা থেকে ভিন্ন। সুতরাং কী হবে সেই অভিনব অবদানগুলো?’

    সেই অভিনব অবদানগুলো বের করে দেশ গড়ার ইতিবাচক মনোভাব নিয়ে সবাইকে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করতে হবে। তবেই উন্নত রাষ্ট্রের লক্ষ্য অর্জনের পথে আমরা অগ্রসর হতে পারব।

    লেখকঃ শিক্ষাবিদ, কলামিস্ট, লেখক ও রাজনৈতিক বিশ্লেষক ।

    • সর্বশেষ
    • সর্বাধিক পঠিত
    close