• শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১
  • ||
শিরোনাম

খালেদা জিয়ার কারাবাস পরবর্তী বিএনপি’র রাজনীতির পর্যালোচনা

প্রকাশ:  ১৮ ফেব্রুয়ারি ২০১৮, ১০:৫৭
মনজুর রশীদ

বিগত ৮ ফেব্রুয়ারি বিএনপির চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার দুর্নীতি মামলার সাজা প্রাপ্তির পর থেকে তাকে ও তার দল বিএনপিকে নিয়ে আবোল-তাবোল বা অনাকাঙ্ক্ষিত কোনও বক্তব্য না রাখতে দলের নেতাদের প্রতি মৌখিক নির্দেশনা পাঠিয়েছেন আওয়ামী লীগের সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।সাজা পরবর্তীকালে বিভিন্ন গণমাধ্যম এই খবরটি এভাবেই প্রচারিত হয়েছে। আরো জানা যায় তিনি আওয়ামী লীগের নেতাদের জানিয়েছেন, খালেদা জিয়া জেলে থাকা অবস্থায় এই ইস্যুতে বিএনপি জনগণের সহানুভূতি পেতে পারে, এমন কোনো বক্তব্য বা আচরণ করা যাবে না। এমনকি নেতাদের উচ্ছ্বাস প্রকাশকরা বা উস্কানিমূলক বক্তব্যও পরিহার করতে নির্দেশ পাঠিয়েছেন দলীয় সভাপতি।

কিন্তু এই নির্দেশনার পরও ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের শীর্ষস্থানীয় নেতারা বিশেষত দলের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুবুল আলম হানিফ, প্রচার সম্পাদক হাছান মাহমুদসহ অন্যান্য সিনিয়র নেতারা যে ভাষায় খালেদা জিয়া তথা বিএনপিকে প্রতিদিন আক্রমণ করে কথা বলছেন, প্রতিনিয়ত উস্কানিমূলক বক্তব্য দিয়ে তাদেরকে তুচ্ছতাচ্ছিল্য মেরুদণ্ডহীন দল হিসাবে আখ্যায়িত করে যাচ্ছেন, আন্দোলনের মাঠে নামার যোগ্যতা নিয়ে প্রশ্ন তুলছেন ও নানা চ্যালেঞ্জ ছুঁড়ে দিয়ে কথা বলছেন - তা সাধারণ জনগণ কিভাবে গ্রহণ করছে তারা সেটা যাচাই করে দেখছেন কিনা তা একটি বড় প্রশ্ন।

সম্পর্কিত খবর

    অন্যদিকে যেখানে প্রায় ১২ বছরেরও বেশী সময় ধরে ক্ষমতার বাইরে থাকা দলটিকে নিয়ে প্রায় প্রতিদিন যে কোন অনুষ্ঠানে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী থেকে শুরু করে অন্যান্য মন্ত্রী, নেতা, সাংসদ যেভাবে সেই শাসনামলের দুর্নীতি, জামাত প্রীতি ও অন্যান্য কর্মকান্ডের একইরকমের সমালোচনার পুরানো রেকর্ড বারবার বাজিয়েযাচ্ছেন, খালেদা জিয়ার জিয়া অরফানেজ ট্রাষ্ট মামলার সাজার রায়ের আগে থেকেই অতিকথনের মাধ্যমে সাধারণ জনগণকে এ রায়ের পরিণতি সম্পর্কে আগাম ধারণা দিয়ে বক্তব্য রাখার কোন ঝুঁকি বিশ্লেষণ করেছিলেন কিনা তা বোধগম্য নয়।বিশেষ করে দেশের সবচেয়ে অভিজ্ঞ রাজনৈতিক দলটির নেতাদের ভালো করেই জানার কথা রায় পরবর্তী সময়ে প্রধান বিরোধী শক্তি বিএনপি সবার কাছে এমন ধারণাই প্রতিষ্ঠিত করবে যে এইটি ক্ষমতাসীনদের হস্তক্ষেপে একটি সাজানো রায়।

    জনমনে কিন্তু এমন ধারণার প্রতিফলন শুরু থেকেই দেখা যাচ্ছে, যেটিকে বিএনপি নেতারা এখন সব আলোচনায় তুলে ধরছেন। বিগত দুই টার্ম ক্ষমতায় থেকে বর্তমান আওয়ামীলীগ সরকার দেশের ব্যাপক উন্নয়ন কর্মকান্ডে যুক্ত থাকলেও সেই কাজগুলোর কৃতিত্বসমূহকে জনগণের সামনে সেভাবে তুলে ধরার দিকে সফলতার পরিচয় দিতে পারেনি। বিপরীতে এসব কৃতিত্বের প্রচারণাকালেও তাদের আলোচনায় বারংবার আক্রোশের কেন্দ্রবিন্দু হয়ে উঠে এসেছে বেগম খালেদা জিয়া, তার পুত্র তারেক জিয়া তথা বিএনপি। এমনিতেই সেই এক এগারো সরকার আসার পর থেকেইদলটির নাজুক অবস্থা, সেখানে গায়ে পড়ে ঝগড়া করার এমন প্রবণতা আওয়ামী লীগের প্রকৃতশুভাকাঙ্ক্ষীদের কাছে প্রত্যাশিত নয়। অনেকের ধারণা, বিএনপিকে ঘিরে সরকার ও সরকারি দলের এত আলোচনা সমালোচনা বরং বিএনপিকেই প্রতিদিন দৃশ্যমান রাখতে সহায়তা করেছে। এমনকি নানাদোষে দুষ্ট এই দলটির প্রতি সাধারণ মানুষের সহানুভূতি আদায়েও অবদান রাখছে।

    যেখানে দীর্ঘদিন ধরেই বাজারের চড়া মূল্যে জনগণের নাভিশ্বাস অবস্থা, হাজার হাজার কোটি টাকা দুর্নীতির কথা প্রতিদিন শোনা যাচ্ছে, ব্যাপক অর্থ পাচারের খবরে গণ মাধ্যম সরব, মানুষের নিত্য প্রয়োজনীয় সেবা পেতে বেগ পেতে হচ্ছে, গ্যাসপানি ও বিদ্যুতের সেবা নিয়ে জনগণের বিস্তর অভিযোগ, কর্মক্ষেত্র তৈরি না হওয়ায় যুবসমাজ বেকারত্ব নিয়ে প্রচন্ড ক্ষুব্ধ, টাকা ছাড়া কোন কাজ হয়না বলে জনমনে বদ্ধমূল ধারণা, বছরের পর বছর ধরে যে কোন পরীক্ষায় প্রশ্নপত্র ফাঁস যেখানে শিক্ষার বারোটা বাজাচ্ছে, সরকারিকরণের দাবীতে বিভিন্ন পেশাজীবীদের লাগাতার আন্দোলন অব্যাহত আছে্, আকস্মিকভাবে রোহিঙ্গা সংকটের ভার যেখানে আমাদের উপর চেপে বসেছে এবং সরকারকেই তা মোকাবেলা করতে হচ্ছে - এমন পরিস্থিতিতেও উস্কানিমূলক কথা বলা ও বিরোধী শিবিরকে ঘায়েল করতে তাদেরকে রাস্তায় নামার জন্য বারংবার উত্তেজনাকর বক্তব্য দেখে মনে হয় সরকারি দল আওয়ামী লীগ পুলিশ ও প্রশাসনযন্ত্রের উপর ভরসা করে অতিমাত্রায় আত্মবিশ্বাসী হয়ে উঠেছে। এতো আত্মবিশ্বাস ও দাম্ভিকতা যে ভালো লক্ষণ নয়, তা শিশুশিক্ষাতেও পাঠ দেয়া হয়।

    অন্যদিকে বিএনপি নেতারা বারবার বলে আসছেন আওয়ামী লীগের উস্কানি ফাঁদে পা দেবে না তারা। বিগত দিনের জ্বালাও পোড়াও আন্দোলনের তিক্ত ও ব্যর্থ অভিজ্ঞতা থেকে তারা মনে করছেন হরতাল, অবরোধ, জ্বালাও-পোড়াও সহ বিভিন্ন কঠোর কর্মসূচি দিয়ে সাধারণ মানুষের দুর্ভোগ বাড়িয়ে জনসমর্থন হারানোর পথে আর পা বাড়াবেনা দলটি।এসবের সম্ভাব্য পরিণতি আঁচ করতে পেরে বিএনপি চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়া সাজা ভোগের আগে থেকেই নেতাকর্মীদের শান্তিপূর্ণ আন্দোলন কর্মসূচি পালনের আহবান জানিয়ে আসছেন। বাঙ্গালীরকোমল মন সাজা প্রাপ্তির পর থেকে বিএনপি চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়ার প্রতি সহানুভূতিশীলতা বাড়িয়ে দেবে - সেই উপলব্ধিকে পুঁজি করে শান্তিপূর্ণ প্রতিবাদ কর্মসূচি আর আইনী লড়াই এর দিকে মনোনিবেশ করেছে দলটি। ভবিষ্যতের নানা আশঙ্কার কথা ভেবে রেখে সরকারের শেষ সময়ে জোরদার আন্দোলনের জন্য শক্তি সঞ্চয় রাখতেই এপথ ধরেছে দলটি। এছাড়াও আন্দোলনে নেমে অস্থিতিশীল সহিংস পরিস্থিতি সৃষ্টি করে যুক্তরাষ্ট্র, ভারতসহপ্রভাবশালী দেশ ও দাতাগোষ্ঠীর বিরাগভাজন হতে চাইছে না তারা কোনোভাবেই।

    বিএনপি'র রাজনৈতিকএপ্রোচ দেখে মনে হচ্ছে, খালেদা জিয়াকে জেলমুক্ত করার আইনি লড়াই এর পাশাপাশি সরকারের সঙ্গে সমঝোতা করার জন্য শেষ সময় পর্যন্ত তারা চেষ্টা চালিয়ে যাবে। এতে দলের মাঠকর্মীদের মধ্যে কিছুটা হতাশা দেখা দেয়ার আশঙ্কা থাকলেও এই ধৈর্য পরীক্ষার ইতিবাচক ফল বিএনপিরই ঘরে উঠবে বলে তাদের বিশ্বাস। এজন্য নেতাকর্মীদের উজ্জীবিত রাখতে খালেদা জিয়ার মুক্তি ও নির্দলীয় সরকারের দাবিতে বিক্ষোভ, সমাবেশ, অনশন, মানববন্ধনসহ সাদামাটা কর্মসূচি তারা অব্যাহত রেখেছে। এক্ষেত্রে কোনভাবেই তারা আওয়ামী লীগের উস্কানি ফাঁদে পা দেবে না এ কথা বলে আসছে বারবার।

    যদিও বিএনপিকে উত্তেজিত করতে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীসহ একাধিক মন্ত্রী এবং আওয়ামী লীগের শীর্ষ পর্যায়ের বেশ কয়েকজন নেতা নানা ধরনের উস্কানিমূলক বক্তব্য প্রতিনিয়ত দিয়েই যাচ্ছেন। কিন্তু বিএনপি নেতারা বুঝতে পেরেছেন এখন মাঠে নামলে শুধু হামলা মামলা আর নির্যাতনের শিকার হতে হবে। কাজেই নির্বাচনের আগে ঐদিকে পা দেয়ার পক্ষে নয় দলটি। যদিও আওয়ামী লীগের বিশ্বাস এই টানাপোড়নে বিশেষ করে নির্বাচনকে ঘিরে বিএনপি'র ভাঙন অনিবার্য পরণতি। তারা মনে করে খালেদা জিয়া ও তারেক জিয়ার অবর্তমানে এই দলটি চালিয়ে নেয়ার মত শক্তি ও সামর্থ্য নেই বিএনপি'র। কাজেই বিএনপি যতই খালেদা জিয়াবিহীন বা নিরপেক্ষ সরকারের অধীন ছাড়া নির্বাচনে আসবেনা বলে হুমকি ধামকি দিক না কেন এই সুযোগে বিএনপিতে ভাঙন ধরিয়ে একটি পক্ষকে তারা নির্বাচনে আনতে পারবে বলে আওয়ামী লীগের দৃঢ় বিশ্বাস। বিএনপিও সক্ষমতাসীন দলের এই অভিপ্রায় সম্পর্কে সচেতন। বিষয়টি মাথায় রেখে সেকারণে একাধিকবার বৈঠকে বসেছে দলটির দায়িত্বপ্রাপ্ত সিনিয়র নেতারা। পত্রিকা মারফত জানা যাচ্ছে আন্দোলনের সাথে সাথে নির্বাচনের প্রস্তুতির বিষয়টিকে গুরুত্বের সঙ্গে নিয়েছে বিএনপি ও তাদের শরীক ২০ দলীয় জোট। এজন্য আন্দোলনের চেয়ে সমঝোতার মাধ্যমে যাতে সমস্যার সমাধান করা যায় সে বিষয়টিকে এখনো সবচেয়ে বেশি গুরুত্ব দিয়ে এগুচ্ছে বিএনপি।তাই তারা নিজেদের অভ্যন্তরীণ কোন্দলকে আড়াল করে একসাথে বসে বিভিন্ন কর্মসূচিতে অংশগ্রহণ করছে। সমমনা রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে আলোচনার পাশাপাশি বিভিন্ন পেশাজীবী, সাংবাদিক, কুটনীতিক ও নাগরিক সমাজের প্রতিনিধিদের সাথে মত বিনিময় করছে। এছাড়া ২০ দলীয় জোটের বাইরে থাকা রাজনৈতিক দলগুলোকে নিয়ে নির্দলীয় সরকারের দাবিতে বৃহৎ জাতীয় ঐক্য গড়ে তোলার চেষ্টা এখনও অব্যাহত রেখেছে।

    ইতিমধ্যে বিএনপি'র জোটের বাইরে থাকা আলোচিত ছোট দলগুলোর নেতাদের বক্তব্য দেখেও মনে হচ্ছে তারা বিএনপি'র এবারের রাজনৈতিক এপ্রোচকে ইতিবাচক হিসাবে দেখছে। বিশেষ করে অধ্যাপক বদরুদ্দোজা চৌধুরীর নেতৃত্বাধীন বিকল্পধারা, ড. কামাল হোসেনের নেতৃত্বাধীন গণফোরাম, বঙ্গবীর কাদের সিদ্দিকীর নেতৃত্বাধীন কৃষক শ্রমিক জনতা লীগ, আ স ম আবদুর রবের নেতৃত্বাধীন জেএসডি ও মাহমুদুর রহমান মান্নার নাগরিক ঐক্য বিএনপি'র জাতীয় ঐক্য গড়ে তোলার দোসর হতে পারে বলে অনেক বিশিষ্ট ব্যক্তির অভিমত। সব মিলিয়ে বলা যায় খালেদা জিয়াবিহীন বিএনপিকে নিয়ে সম্ভাব্যসংকট ও তা মোকাবেলার কথা সরকারি দল আগে থেকে যেভাবেভেবে রেখেছিলো সেই চিন্তা বাস্তবায়নও অতটা সহজ হবেনা বলে অবস্থাদৃষ্টে মনে হচ্ছে।

    সাম্প্রতিককালের বিএনপি-আওয়ামী লীগ দাবা খেলায় প্রথম চালটির কথা বিবেচনাতেই ছিলো না আওয়ামী লীগ ও আমাদের চৌকষ পুলিশ বাহিনীর। ৮ ফেব্রুয়ারির রায় ঘোষণার দিন পুলিশের নবনিযুক্ত আইজি মহোদয় দায়িত্ব নিয়েই একপ্রকার অলিখিত কার্ফু জারি করলেনপুরো ঢাকা শহরে। পরিবহণ মালিকগণও বলতে গেলে ঢাকা ও ঢাকার বাইরে বন্ধ করে দিলো গণপরিবহণ চলাচল।উপরন্তু, পুলিশি হুঙ্কারে আতংক ছড়িয়ে পড়লো ঢাকাসহ সারাদেশে। সকল স্কুল, কলেজ, বাজার সব বন্ধ হয়ে গেল। ঢাকার ফাঁকা রাস্তায় কেবলই শুধু পুলিশ, র্যা ব, বিজিবি’র টহল আর আওয়ামী লীগ ও সহযোগী দলগুলোর বিচরণ, সেইসাথে সাংবাদিকদের সংবাদ সংগ্রহের জন্য দৌড় ঝাঁপ।

    সবাই ধারণা করেছিলো বিএনপি চেয়ারপারসন তার নিজস্ব নিরাপত্তা দলের (সিএসএফ)বেষ্টনী নিয়ে একাই আদলতে যাবেন।আটক আতঙ্কেদলের নেতা- কর্মীরা কেউই এবার তারপথসঙ্গী হবেনা। প্রতিবারের মত এবারও তিনি আসবেন মগবাজার ফ্লাইওভারের উপর দিয়ে।সেভাবেই সকল পুলিশি পরিকল্পনা সাজানো হলো। বেগম জিয়া ফ্লাইওভারে না উঠে নীচের রাস্তায় তার গাড়িবহর ঢুকিয়ে দিলেন, আর মগবাজার মোড়ে পৌঁছার সাথে সাথেই গর্ত ফুড়ে বেড়িয়ে এল হাজার হাজার বিএনপির নেতা-কর্মীর ঢল। মাত্র কয়েক মিনিটের মধ্যেই এত হাজার হাজার মানুষের সমাগম হতে পারে তা পুলিশ বা আওয়ামী লীগেরধারণাতেই ছিল না।

    এরপর খালেদা জিয়ার বিচার ও কারান্তরীণ হওয়ার পর থেকে প্রতিদিনই বিএনপি কোন না কোন কর্মসূচি পালন করে যাচ্ছে। হাজার হাজার নেতাকর্মী কারাগারে বন্দী থাকার পরও দীর্ঘকাল পর বিএনপি’র নেতাকর্মীরা মামলার ঝুঁকি নিয়েও বিভিন্ন কর্মসূচিতে অংশ নেয়ার সাহস দেখাচ্ছে। ফলে দমন না ছাড় এই দ্বিধায় এখন সরকার ও আওয়ামী লীগ। সরকারি দলের উপলব্ধি যদি বিএনপি’র কর্মসূচিতে আগের মত বাঁধা দেয়া হয়, তবে দলটির প্রতি মানুষের সহানুভূতি বাড়বে, আবার কর্মসূচি করতে দিলে তারা সংগঠিত হতে থাকবে। আবার বিগত নির্বাচনের মত বিরোধী দল ও জন অংশগ্রহণবিহীন নির্বাচন করে ক্ষমতায় আসাতেও অনেক ঝুঁকি রয়েছে। ফলে সব মিলিয়ে খালেদা জিয়ার সাজা লাভ ও কারাবরণ বিএনপি’র জন্য আশীর্বাদ না অভিশাপ তা সময়ই বলে দেবে।

    লেখকঃ সমাজ গবেষক ও সামাজিক বিশ্লেষক।

    • সর্বশেষ
    • সর্বাধিক পঠিত
    close