• বৃহস্পতিবার, ১৮ এপ্রিল ২০২৪, ৫ বৈশাখ ১৪৩১
  • ||
শিরোনাম

গাইবান্ধার-৫ আসনে নৌকার প্রার্থী ৫০, এক আসনেই ২০

প্রকাশ:  ১৬ নভেম্বর ২০১৮, ১৩:১৫ | আপডেট : ১৬ নভেম্বর ২০১৮, ১৩:২০
গাইবান্ধা প্রতিনিধি

আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনে গাইবান্ধার ৫টি সংসদীয় আসনে ক্ষমতাসীন দল আ.লীগ থেকে মনোনয়ন ফরম সংগ্রহ ও জমার হিড়িক পড়েছে। মনোনয়ন বিক্রির শুরু থেকে মঙ্গলবার (১৩ নভেম্বর) বিকেল পর্যন্ত পাঁচটি আসনে অন্তত ৫০ জন প্রার্থী মনোনয়ন ফরম কিনেছেন। এরমধ্যে অধিকাংশ প্রার্থী তাদের মনোনয়ন ফরম জমাও দিয়েছেন বলে দলের নেতাকর্মী ও সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে।

পাঁচটি আসনের মধ্যে মনোনয়ন কেনার রের্কড সৃষ্টি হয়েছে গাইবান্ধা-৩ আসনে। এ আসন থেকে মনোনয়ন কিনেছেন ২০ জন প্রার্থী। এছাড়া গাইবান্ধা-১ আসন থেকে ৪, গাইবান্ধা-২ আসন থেকে ৮ ৮, গাইবান্ধা-৪ আসনে ৯ ও গাইবান্ধা-৫ আসন থেকেও ৯ মনোনয়ন কিনেছেন।

সম্পর্কিত খবর

    গাইবান্ধার জেলার ৮২ ইউনিয়ন, সাত উপজেলা ও তিনটি পৌরসভা মিলে গঠিত পাঁচটি সংসদীয় আসন। প্রত্যেক আসনে মনোনয়ন প্রতিযোগিতায় আছেন বর্তমান এমপি, সাবেক এমপি, কেন্দ্রীয় কমিটির নেতা, উপজেলা ও তৃণমূল পর্যায়ের নেতা। এছাড়া সাবেক জনপ্রতিনিধি, চিকিৎসক, প্রকৌশলী, আইনজীবী, শিক্ষক, ব্যবসায়ী, প্রবাসী ছাড়াও শিল্পপতিরা মনোনয়ন প্রতিযোগিতায় নেমেছেন। তবে প্রত্যেক আসনে মনোনয়ন প্রতিযোগিতায় এগিয়ে আছেন বর্তমান এমপি ও সাবেক এমপি। জোটগত ভাবে প্রার্থী নির্বাচন না হলে বর্তমান ও সাবেক এমপিসহ প্রবীণ নেতাদের সঙ্গে নবীণ ও তরুণ প্রার্থীদের মনোনয়ন নিয়ে স্নায়ুযুদ্ধ হবে বলে মনে করেন দলের নেতাকর্মীসহ সাধারণ মানুষ।

    অতিতের চেয়ে মনোনয়ন সংগ্রহে রের্কড হয়েছে গাইবান্ধার পাঁচটি আসনে। প্রতিটি আসনে বর্তমান এমপি থাকার পরেও গণহারে দলীয় মনোনয়ন কেনায় ব্যাপক আলোচনা-সমালোচনা শুরু হয়েছে স্থানীয় নেতাকর্মীদের মধ্যে। এছাড়া অযোগ্য, দল থেকে বিচ্ছিন্ন, পদধারী ও প্রভাবশালী প্রার্থীরা গোপন সমঝোতায় একাধিক ডামি প্রার্থীর কারণে ক্ষোভ আর অসন্তোষ সৃষ্টি হয়েছে নেতাকর্মীদের মধ্যে। তবে মনোনয়ন কেননার হিড়িকে সবচেয়ে বিব্রতকর পরিস্থিতির মুখে পড়েছেন যোগ্য, ত্যাগী ও নিবেদিত মনোনয়ন প্রত্যাশীরা।

    এদিকে, গণহারে মনোনয়ন কেনার হিড়িকের খবরে শহর ও গ্রামের হাট-বাজার, হোটেল, চায়ের দোকানসহ জনসমাগম স্থানে চলছে নানা আলোচনা-সমালোচনা। সেই সাথে প্রার্থীদের যোগ্যতা ও অযোগ্যতা নিয়ে তর্ক-বির্তক চলছে ভোটার ও সাধারণ মানুষের মধ্যে।

    গাইবান্ধা-১ সুন্দরগঞ্জ উপজেলার ১৫ ইউনিয়ন ও একটি পৌরসভা নিয়ে গঠিত গাইবান্ধা-১ আসন। জামায়াত-শিবির অধ্যুষিত ও নানা দিক থেকে আলোচিত এ আসনে মনোনয়ন নিয়েছেন চার জন প্রার্থী। তারা হলেন, সাবেক সংসদ সদস্য মঞ্জুরুল ইসলাম লিটনের বড় বোন ও সুন্দরগঞ্জ উপজেলা আ.লীগের সিনিয়র যুগ্ন আহবায়ক আফরুজা বারী, সাবেক এমপি গোলাম মোস্তফার ছেলে উপজেলা আ'লীগের যুগ্ন আহবায়ক মেহেদী মাসুদ, যুগ্ম আহবায়ক আশরাফুল আলম রঞ্জু ও জেলা আ.লীগের সহ-সভাপতি সৈয়দা মাসুদা খাজা। এরআগে, আফরুজা বারী উপ-নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বি করে জাতীয় পার্টির প্রার্থীর কাছে হেরে যান।

    এছাড়া এ আসনে দুইজন স্বতন্ত্র প্রার্থী রয়েছেন। তারা হলেন, জেলা পরিষদের সদস্য ও স্থানীয় সমাজ সেবক এমদাদুল হক নাদিম ও উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও উপজেলা জামায়াতের অন্যতম নেতা অধ্যাপক মাজেদুর রহমান। তবে এ আসনটি বরাবের জাতীয় পার্টির দখলে ছিলে। অষ্টম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আসনটি হাতছাড়া হয়। পরবর্তীতে চলতি বছরের মার্চে অনুষ্ঠিত উপ-নির্বাচনে এ আসনে এমপি নির্বাচিত হন জাতীয় পার্টির ব্যারিস্টার শামীম হায়দার পাটোয়ারী।

    জোটগত ভাবে প্রার্থী নির্বাচিত হলে আবারও আসনটিতে বিজয়ী হবে জাতীয় পার্টি। তবে বিএনপি থেকে এ আসনে উপজেলা বিএনপির সভাপতি ও সাবেক চেয়ারম্যান মাজহারুল ইসলাম এবং সাংগঠনিক সম্পাদক মাহমুদ হাসান প্রামাণিক মনোনয়ন কিনেছেন। তবে সুষ্ঠ ও শান্তিপূর্ণভাবে নির্বাচন হলে এ আসনটিতে বিএনপি ও জামায়াতের প্রার্থী ফ্যাক্ট হয়ে দাঁড়াবে।

    গাইবান্ধা-২ সদর উপজেলার ১৩ ইউনিয়ন ও একটি পৌরসভা নিয়ে গঠিত গাইবান্ধা-২ আসন। জেলা শহরের কারণে এ আসনটি অনেক গুরুত্বপূর্ণ। এ আসনে মনোনয়ন নিয়েছেন আট জন। এরমধ্যে বর্তমান সংসদ সদস্য ও জাতীয় সংসদের হুইপ মাহাবুব আরা বেগম গিনি, জেলা আ.লীগের সভাপতি ও জেলা পরিষদের সাবেক প্রশাসক এ্যাড. সৈয়দ শামস-উল আলম হিরু, সাধারণ সম্পাদক আবু বক্কর সিদ্দিক।

    এছাড়া উল্লেখ্য যোগ্য প্রার্থীদের মধ্যে রয়েছেন, জেলা আ.লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক শামছুর রহমান টুটুল, সদর উপজেলা আ.লীগের সাধারণ সম্পাদক ও ঘাগোয়া ইউপি চেয়ারম্যান আমিনুর জামান রিংকু ও সদর উপজেলা আ.লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক ও জেলা আ.লীগের কার্যানির্বাহী কমিটির সদস্য শাহ্ সারোয়ার কবীর ও ব্যারিষ্টার মাসুদ আকতার পলাশ। জোটগতভাবে আসনটি জাতীয় পার্টিকে ছেড়ে দেয়ার গুঞ্জণ শোনা যাচ্ছে। সাবেক এমপি জেলা জাপার সভাপতি আবদুর রশিদ সরকার জাতীয় পার্টির ঘোষিত একক প্রার্থী। জোটগতভাবে মনোনয়ন পেলে তিনি বিপুল ভোটে জয়ী হবে। তবে এ আসনে বিএনপির অবস্থানও ভালো। বিএনপির একাধিক মনোনয়ন প্রার্থী থাকলেও প্রার্থী বাছাইয়ের উপর আসনটি নির্ভর করবে।

    গাইবান্ধা-৩

    মনোনয়ন সংগ্রহের রের্কডে গাইবান্ধা-৩ আসন। সাদুল্যাপুর-পলাশবাড়ী দুই উপজেলার ২০ ইউনিয়ন নিয়ে গঠিত এ আসনটি জাতীয় পার্টির দুর্গ হিসেবে পরিচিত। টানা ছয়বার এ আসন জাতীয় পার্টির দখলে ছিলো। নবম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আ.লীগের ডা. ইউনুস আলী সরকার এমপি নির্বাচিত হন। দুই উপজেলার ২০ জন প্রার্থী দলের মনোনয়ন কিনেছেন। এরমধ্যে বর্তমান এমপি ও সাদুল্যাপুর উপজেলা আ’লীগের সভাপতি ডা. মো. ইউনুস আলী সরকার, সংরক্ষিত এমপি উম্মে কুলসুম স্মৃতি, পলাশবাড়ী উপজেলা আ’লীগের সভাপতি আবু বক্কর প্রধান, সহ-সভাপতি ও সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান একেএম মোকছেদ চৌধুরী বিদ্যুৎ, সাদুল্যাপুর উপজেলা আ.লীগের সাধারণ সম্পাদক আলহাজ মো. শাহারিয়া খাঁন বিপ্লব ও বিগ্রেডিয়ার জেনারেল (অব:) মাহমুদুল হক।

    এছাড়া উল্লেখ্যযোগ্য প্রার্থীদের মধ্যে পলাশবাড়ী উপজেলা আ.লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক গোলাম সারোয়ার বিপ্লব, সাংগঠনিক সম্পাদক ও মহদীপুর ইউপি চেয়ারম্যান তৌহিদুল ইসলাম মণ্ডল, জেলা আ.লীগের ত্রাণ ও দুর্যোগ বিষয়ক সম্পাদক মতিয়ার রহমান ও জেলা আ.লীগের উপদেষ্টা সদস্য, গাইবান্ধা আইন কলেজের অধ্যক্ষ ও ৯০ দশকের রাজপথের অন্যতম নেতা এ্যাডভোকেট নুরুল ইসলাম প্রধান।

    গাইবান্ধা-৩ আসনে ২০ জন প্রার্থী মনোনয়ন ফরম সংগ্রহের বিষয়টি নিশ্চিত করে জেলা আ.লীগের উপদেষ্টা সদস্য এ্যাডভোকেট নুরুল ইসলাম প্রধান বলেন, ‘এ আসনে দলের মনোনয়ন সংগ্রহকারী ২০ প্রার্থীর মধ্যে অনেকের পরিচয় জানেন না তিনি। দল ও দলের নেতাকর্মী কিংবা দুই উপজেলার মানুষের সাথেও তাদের সম্পর্ক নেই। অথচ নির্বাচনকে ঘিরে নিজেদের স্বার্থ উদ্ধারে আজ আ’লীগের পদধারী হয়ে মনোনয়ন নিয়েছেন তারা। তিনিসহ মনোনয়ন প্রার্থীর মধ্যে ৬-৭ জন যোগ্য ও দলের জন্য নিবেদিত। বাকী প্রার্থীর অনেকেই রয়েছেন ডামি হিসাবে’।

    সাদুল্যাপুর উপজেলা আ.লীগের সহ-সভাপতি শামছুজোহা প্রামাণিক রাঙ্গা বলেন, ‘দলীয় পরিমণ্ডলে নুন্যতম গ্রহণযোগ্যতা নেই, দল ও রাজপথে কোন অবদান না থাকলেও নেশা আর হুজুগে মনোনয়ন কিনেছেন অনেকে। তাদের মধ্যে বিএনপি ও জামায়াত-শিবির সংশ্লিষ্ট আছে এমন দুই-তিনজন মনোনয়ন নিয়েছেন।

    এছাড়া গোপন সমঝোতায় যোগ্যতা আর শক্তিশালী হেভিওয়েট প্রার্থীর বিপরীতে কয়েকজন রয়েছে ডামি প্রার্থী। আবার কয়েকজন আছেন নিজেদেকে টাইমলাইনে আনার চেষ্টায়। এ অবস্থায় ক্ষোভ ও অসন্তোস বাড়ছে নেতাকর্মীদের মধ্যে। গণহারে প্রার্থীরা মনোনয়ন নিয়েছে কিন্তু তৃণমুলের মতামত উপেক্ষা কিংবা কোনভাবে গ্রহণযোগ্যতা নেই এমন প্রার্থীর মনোনয়ন চুড়ান্ত হলে বিজয়ের পরিবর্রতে পরাজয় এবং ধ্বস ছাড়াও অস্থিত হারাবে আ.লীগের।

    এছাড়া এ আসনে জাতীয় পার্টি ও সমাজতান্ত্রিক দল জাসদের ঘোষিত একক প্রার্থী রয়েছেন। তারা হলেন জাপার ব্যারিস্টার দিলারা খন্দকার শিল্পী ও জাসদের এসএম খাদেমুল ইসলাম খুদি। জোটগতভাবে এ আসনে প্রার্থী নির্বাচনে জটের সৃষ্টি হয়েছে। এ কারণে আ.লীগ এ আসনটি জাপা বা জাসদকে ছেড়ে দিবে বলেও গুঞ্জন চলছে নেতাকর্মীসহ সাধারণ মানুষের মধ্যে।

    এছাড়া এ আসনে বিএনপির প্রার্থীও রয়েছেন একাধিক। বিএনপির চারজন মনোয়নয়ন প্রত্যাশীর জেলা বিএনপির সভাপতি ডা. মইনুল হাসান সাদিক ও ঢাবির সাবেক ছাত্র নেতা ড. মিজানুর রহমান মাসুম প্রার্থী হলেও ভোটারে মাঠের ফলাফল তাদের পক্ষেই থাকতে পারে বলে মনে করেন দুই উপজেলার ভোটার ও সাধারণ মানুষ।

    গাইবান্ধা-৪

    গাইবান্ধা-৪ (গোবিন্দগঞ্জ) আসনটি ১৭টি ইউনিয়ন ও একটি পৌরসভা নিয়ে গঠিত। এ আসনে মনোনয়ন সংগ্রহ করেছেন নয়জন প্রার্থী। তাদের মধ্যে বর্তমান সংসদ সদস্য ও স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটির সদস্য এবং গোবিন্দগঞ্জ উপজেলা আ.লীগের সভাপতি অধ্যক্ষ আবুল কালাম আজাদ, সাবেক এমপি প্রকৌশলী মনোয়ার হোসেন চৌধুরী, গোবিন্দগঞ্জ উপজেলা আ.লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও মহিমাগঞ্জ ইউপি চেয়ারম্যান আবদুল লতিফ প্রধান ও কেন্দ্রীয় স্বেচ্ছাসেবক লীগের পাট ও বস্ত্র বিষয়ক সম্পাদক নাজমুল ইসলাম লিটন, উপজেলা আ'লীগের সিনিয়র সহ-সভাপতি প্রধাণ আতাউর রহমান বাবলু ও সহ-সভাপতি ফেরদাউস আলম রাজু অন্যতম।

    এ আসনে মনোনয়ন প্রত্যাশীদের মধ্যে বর্তমান এমপি আবুল কালাম আজাদের বিকল্প নেই জানিয়ে প্রবীণ আ.লীগ নেতা জেলা আ.লীগের তথ্য ও গবেষণা বিষয়ক সম্পাদক মোহাম্মদ হোসেন ফকু বলেন, 'গাইবান্ধা-৪ আসন আ'লীগের ঘাঁটি। উন্নয়ন কর্মকাণ্ড অব্যহত ও নৌকার ঘাঁটি ধরে রাখতে একমাত্র আবুল কালাম আজাদেই যোগ্য। দল তাকেই মনোনয়ন দিবে, তিনি আবারও বিপুল ভোটে বিজয়ী হবেন। দলের নেতাকর্মী আর সাধারণ মানুষ তার পাশে আছেন'।

    গাইবান্ধা-৫

    ব্রক্ষপুত্র-যমুনা নদী বেষ্টিত গাইবান্ধা-৫ আসন গঠিত সাঘাটা-ফুলছড়ি উপজেলা নিয়ে। দুই উপজেলার ১৭ ইউনিয়ন নিয়ে এই আসনটিও জাতীয় পার্টির দখলে ছিলো। বর্তমানে এ আসনের এমপি জাতীয় সংসদের ডেপুটি স্পীকার এ্যাড. ফজলে রাব্বী মিয়া। তিনি টানা দুবার নির্বাচিত সংসদ সদস্য।

    এর আগে, তিনি জাতীয় পার্টি থেকে দুইবার এমপি নির্বাচিত হয়েছিলেন। পরে জাতীয় পার্টি থেকে আ.লীগে যোগ দেন তিনি। এ পর্যন্ত এ আসনে নয়জন প্রার্থী মনোনয়ন নিয়েছেন।

    তারা হলেন, বর্তমান এমপি জাতীয় সংসদের ডেপুটি স্পীকার এ্যাড. ফজলে রাব্বী মিয়া, বাংলাদেশ ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি মাহামুদ হাসান রিপন, ফুলছড়ি উপজেলা আ'লীগের সভাপতি জিএম সেলিম পারভেজ, সাধারণ সম্পাদক এ্যাড. নুরুল আমিন, সাঘাটা উপজেলা আ.লীগের সভাপতি ওয়ারেস আলী প্রধাণ, সাধারণ সম্পাদক শামছুল আরেফিন টিটু, মাহাবুবুর রহমান লিটল, আ.লীগের সমর্থক, কণ্ঠশিল্পী সুশিল কুমার সরকার ও বর্তমান এমপির ফজলে রাব্বীর মেয়ে এ্যাড. রিতা।

    এ আসনে তরুণ, উদীয়মান ও যোগ্য হিসেবে মাহমুদ হাসান রিপনকে প্রার্থী ঘোষণা করেছে তৃণমুলের নেতাকর্মীরা। দুই উপজেলার সাধারণ মানুষের মধ্যে মাহামুদ হাসান রিপনের জনপ্রিয়তা শীর্ষে রয়েছে। এছাড়া বিএনপির একাধিক ও জাপার দুইজন মনোনয়ন নিয়েছেন এ আসনে। তবে জোটগত ভাবে আসনটিতে জাপা থেকে বেগম রওশন এরশাদ নির্বাচন করতে পারে বলেও শোনা যাচ্ছে।

    মনোনয়ন কেনার হিড়িক অতিতের সব রেকর্ড ভঙ্গ করেছে বলে গাইবান্ধা জেলা আ.লীগের সভাপতি এ্যাড. সৈয়দ শামছ্ উল আলম হিরু বলেন, ‘প্রতিটি আসনে মনোনয়ন কেনা প্রার্থীদের যোগ্যতা, দল ও দলের নেতাকর্মীদের সাথে সম্পর্ক এবং তাদের কি অবদান আর জনপ্রীয়তাই কি আছে তা যাচাই-বাছাই করবে দলের সভাপতি শেখ হাসিনাসহ শীর্ষ নেতারা। তবে কোন ভাবেই অযোগ্য ও দলের সাথে সম্পর্ক নেই এবং জন বিচ্ছিন্নদের মনোনয়ন পাওয়ার সুযোগ নেই। তবে দলের সিন্ধান্ত মেনে নিয়ে নৌকার পক্ষে কাজ করে প্রার্থীদের বিজয়ী করতে মাঠে থাকবে হবে নেতাকর্মীদের। অন্যথায় বিদ্রোহী প্রার্থী ও মনোনয়ন না পাওয়ায় বিশৃঙ্খলা, কোন্দল সৃষ্টিকারীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে দলীয় ভাবেই'।

    ওএফ

    • সর্বশেষ
    • সর্বাধিক পঠিত
    close