‘দুর্দিন বলে ডা. কামালকে ভাড়া করেছে বিএনপি’
বিএনপির এখন দুর্দিন চলছে বলে মন্তব্য করেছেন বাণিজ্যমন্ত্রী তোফায়েল আহমেদ। বলেছেন, তাদের কোনো নেতা নেই। তাদের বড় নেতা বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া দুর্নীতি মামলার আসামি হয়ে জেলে। আর তার ছেলে হত্যা মামলার আসামি।
তিনি বলেন, শুধু তাই না খালেদার ছেলের এর আগেও বাংলাদেশের অর্থ বিদেশে পাচারের কারণে জেল হয়েছে। তাকে বানিয়েছে দলের চেয়ারম্যান। আর যখন দেখলো খালেদার পুত্রকে দেশ-বিদেশের মানুষ পছন্দ করে না, তখন ডা. কামাল হোসেনকে ভাড়া করেছে। যে কামাল হোসেন নিজে কখনো সরাসরি ভোটে বিজয়ী হয়নি।
সম্পর্কিত খবর
রোববার (২১ অক্টোবর) দুপুরে ভোলা সদরের বাপ্তা ইউনিয়নে কেন্দ্র কমিটি গঠন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে বাণিজ্যমন্ত্রী এসব কথা বলেন।
তোফায়েল আহমেদ বলেন, মাসুদা ভাট্টি একজন সৎ ও প্রখ্যাত সাংবাদিক। তাকে নিয়ে ব্যারিস্টার মইনুল হোসেন যে উক্তি করেছেন তা দুঃখজনক। বরং রাজনৈতিকভাবে ‘চরিত্রহীন’ ব্যারিস্টার মইনুল হোসেন। কারণ তিনি বঙ্গবন্ধুর হত্যাকারী খন্দকার মোশতাকের দলের নেতা হয়েছিলেন। তিনি জামায়াতের অঙ্গ সংগঠন ছাত্র শিবিরের এক অনুষ্ঠানে শিবিরের গুণকীর্তন করেছেন। এখন আবার ২১ আগস্ট হত্যাকারীদের সঙ্গে হাত মিলিয়েছেন।
তিনি আরও বলেন, আজ তার বক্তব্যের বিরুদ্ধে সারাদেশের নারী সমাজ ঘৃণা পোষণ করেছেন। দেশের ৫৫ জন সম্পাদক জ্যেষ্ঠ সাংবাদিক মইনুল হোসেনকে প্রকাশ্যে ক্ষমা চাওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন।
বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, এই মঈনুল হোসেন ২০০৫ সালের ৩০ ডিসেম্বর শিবিরের প্রতিনিধি সম্মেলনে বলেছেন, শিবির নাকি একটা নাম করা দল। সে তাদের পক্ষে আছে। অথচ এই শিবির ১৯৭১ সালে মা-বোনদের ইজ্জত লুট করেছে, একাত্তরের মুত্তিযোদ্ধাদের হত্যা করেছে।
জাতীয় জোট (জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট) যে সাত দফা দিয়েছে, তার সবগুলো সংবিধান পরিপন্থি উল্লেখ করে তোফায়েল আহমেদ বলেন, এর কোনোটাই গ্রহণযোগ্য নয়।
উত্তর-পূর্ব বাপ্তা ও টবগী মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে কেন্দ্র কমিটি গঠন অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন- আনোয়ারা তোফায়েল, জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আবদুল মমিন টুলু, সহ-সভাপতি হামিদুল হক বাহালুল যুগ্ম সম্পাদক জহিরুল ইসলাম নকিব, এনামুল হক আরজু, সাংগঠনিক সম্পাদক মইনুল হোসেন বিপ্লব, সদর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মোশারেফ হোসেন, মুক্তিযোদ্ধা সংসদের সাবেক কমান্ডার দোস্ত মাহমুদ, উপজেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মো. আজিজুল ইসলাম বাপ্তা ইউপি চেয়ারম্যান ইয়ানুর রহমান বিপ্লব প্রমুখ।
/এসএম
