বিয়ে করলেন চোখ হারানো সেই সিদ্দিকুর
গত বছর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধিভুক্ত সাত কলেজের পরীক্ষা নেয়ার দাবিতে শিক্ষার্থীদের আন্দোলনের সময় রাজধানীর শাহবাগে পুলিশের টিয়ারশেলে চোখ হারানো সরকারি তিতুমীর কলেজের শিক্ষার্থী সিদ্দিকুর রহমান বিয়ে করেছেন।
সোমবার (১৫ অক্টোবর) সন্ধ্যায় গ্রামের বাড়ি ময়মনসিংহে দুই পরিবারের সম্মতিতেই আনুষ্ঠানিকভাবে বিয়ে সম্পন্ন হয়। কনে সুমাইয়ার বাড়ি ময়মনসিংহ জেলার ফুলপুর উপজেলার তিলাটিয়া গ্রামের বাসিন্দা। সম্পর্কে তারা খালাতো ভাই-বোন।
সম্পর্কিত খবর
বিয়ের ব্যাপারে সিদ্দিকুর রহমান জানান, পরিবারের পক্ষ থেকেই কনে ঠিক করা হয়। আমি এ ব্যাপারে কিছুই জানতাম না। রোববার রাতে অফিস থেকে ছুটি নিয়ে জরুরিভাবে বাড়ি আসতে বলে। ৪ দিনের ছুটি নিয়ে ওইদিন রাতেই বাড়ি চলে আসি। এসে বিয়ের বিষয়টি জানতে পারি।
তিনি জানান, সোমবার বিকেলে উভয় পরিবারের সম্মতিতে বিয়ে হয়। বিয়ের পরদিন বউকে আমাদের বাড়িতে তুলে এনেছি। আপাতত সে ময়মনসিংহে আমাদের নিজ বাড়িতে থাকবে। পরে ঢাকায় ফ্ল্যাট ভাড়া নিয়ে বউকে নিয়ে আসবো। কিছুদিনের মধ্যে ঢাকায় বিয়ের অনুষ্ঠান করা হবে।
সিদ্দিকুর আরও বলেন, উভয় পরিবার রাজি থাকায় বিয়েতে আপত্তি করিনি। তবে বিয়ের পরও নিজের পড়ালেখা চালিয়ে যাব।
সিদ্দিকুরের মা ছোলেমা খাতুন বলেন, ছেলের ভবিষ্যতের কথা বিবেচনা করেই আমার বড় বোনের মেয়ে সুমাইয়াকেই আমার পুত্রবধূ হিসেবে এনেছি। সুমাইয়া একটি কওমি মাদরাসার শিক্ষার্থী। তার বাবা রহিম উদ্দিন কাজী স্থানীয় একটি মসজিদের ইমাম।
উল্লেখ্য, গত বছরের ১ অক্টোবর থেকে সরকারি প্রতিষ্ঠান এসেনশিয়াল ড্রাগস কোম্পানি লিমিটেডে টেলিফোন অপারেটর পদে চাকরি করছেন সিদ্দিকুর রহমান। চোখ হারানোর পর সরকারের পক্ষ থেকেই তাকে এই চাকরি দেয়া হয়েছে।
-এসএমএ