এবার কেউ ফোনও করেনি, কিছু বলছেও না: প্রধানমন্ত্রী
বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার সাজা নিয়ে আন্তর্জাতিক মহল থেকে সরকারের ওপর কোনো চাপ নেই বলে জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
সোমবার গণভবনে ইতালি সফর পরবর্তী সংবাদ সম্মেলনে এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন। ইতালির রোমে অনুষ্ঠিত আন্তর্জাতিক কৃষি উন্নয়ন তহবিলের (ইফাদ) পরিচালনা পর্ষদের ৪১তম বৈঠকে অংশগ্রহণ শেষে দেশে ফিরে এই সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়।
সম্পর্কিত খবর
যুদ্ধাপরাধীদের বিচারের সময় নানা জায়গা থেকে ফোনসহ চাপ এসেছে। এখন চাপ আছে কিনা- এমন প্রশ্নের জবাবে প্রধানমন্ত্রী বলেন, এবার কেউ ফোনও করেনি। যাদের সঙ্গে দেখা হচ্ছে কেউ কিছু বলছেও না। এটা ঠিক, দুর্নীতিতে সাজা হলে কেউ কিছু বলে না।
এসময় তিনি বলেন, আদালত সাজা দিয়েছে, আমরা তো দেইনি। এ কারণে যদি তারা নির্বাচনে না আসেন, আমাদের কিছু করার নেই। আমাদের করার কী আছে!
তিনি বলেন, সময়মতো নির্বাচন হবে। যারা গণতন্ত্রে বিশ্বাস করে এবং যাদের জনগণের ভোটের উপর আস্থা আছে, তারা নির্বাচনে আসবে। এখানে বহুদলীয় গণতন্ত্র। কোন দল নির্বাচনে করবে, না করবে- এটা তাদের সিদ্ধান্ত।
বিএনপিকে উদ্দেশ করে শেখ হাসিনা বলেন, দুর্নীতিতে সাজাপ্রাপ্ত তাকে (খালেদা জিয়া) ছাড়া নির্বাচনে যাবে না। মামলা তো আমি দেই নাই। এটা আদালত দিয়েছে। মামলা করেছে তত্ত্বাবধায়ক সরকার। ওই সরকারও তাদের ছিল। তাদের নিজেদের লোক।
তিনি বলেন, এই মামলা ১০ বছর চলেছে। সেখানে ৮০ বারের বেশি রিট করা হয়েছে এবং সময় নেয়া হয়েছে। জজের প্রতি তিনবার অনাস্থাও দিয়েছে। জজও পরিবর্তন হয়েছে। এতকিছুর পরও তিনি ৪৩ দিন কোর্টে উপস্থিত ছিলেন। তারপর তার সাজা হয়েছে।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, উনার (খালেদা জিয়ার) প্রথম আইনজীবী রফিকুল হক সাহেব কিন্তু বলেছেন- টাকাটা দিয়ে দেন। তখন কিন্তু আর মামলাটা থাকতো না। টাকাটা দেননি। এতিমের টাকা খেলে শাস্তি আল্লাহও দেন, আদালতও দেন। আমাদের কিছু করার নেই। কিছু করার আছে?
সংবাদ সম্মেলনে অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত, কৃষিমন্ত্রী মতিয়া চৌধুরী, সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের ও তথ্যমন্ত্রী হাসানুল হক ইনু উপস্থিত ছিলেন।
এর আগে ইতালি ও ভ্যাটিকান সিটিতে চার দিনের সরকারি সফর শেষে ১৭ জানুয়ারি শনিবার রাতে দেশে ফিরেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
সংবাদ সম্মেলনে কৃষিমন্ত্রী বেগম মতিয়া চৌধুরী, তথ্যমন্ত্রী হাসানুল হক ইনু, পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ এইচ এম মাহমুদ আলী, অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত ছাড়াও বিভিন্ন মিডিয়ার সিনিয়র সাংবাদিক, বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী, সংসদ সদস্য, আওয়ামী লীগের বিভিন্ন পর্যায়ের নেতা ও প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের শীর্ষ কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।