• বুধবার, ২৪ এপ্রিল ২০২৪, ১১ বৈশাখ ১৪৩১
  • ||

যা পাবেন ফোর জি-তে

প্রকাশ:  ১৯ ফেব্রুয়ারি ২০১৮, ১৬:১৫
পূর্বপশ্চিম ডেস্ক

বহুল কাঙ্ক্ষিত ফোর জি টেলিযোগাযোগ সেবা বাংলাদেশে চালু হচ্ছে সোমবার। সন্ধ্যায় মোবাইল অপারেটরগুলো ফোর জি’র লাইসেন্স বুঝে পাবে। এরপরই চালু করবে ফোর জি সেবা। কিন্তু, এই সেবা কতজন পাবেন, তা নিয়ে এখনই জল্পনা-কল্পনা শুরু হয়ে গেছে। এই আলোচনার কেন্দ্রে উঠে এসেছে কী থাকবে ফোর জিতে?

মোবাইল ফোন অপারেটরগুলো বলছে, এই সেবা শুরুর মানে হল ‘ইন্টারনেট এক্সপ্রেসওয়েতে’ উঠে যাওয়া। ধীর গতির ভোগান্তি থেকে মুক্তি পেয়ে ইন্টারনেটে গ্রাহকরা ছুটবেন চওড়া রাস্তায়।

সম্পর্কিত খবর

    উচ্চ গতির কারণে ইন্টারনেট ব্যবহারে সময় বাঁচবে, ইন্টারনেটভিত্তিক সেবাগুলো পাওয়া যাবে বাধাহীনভাবে। প্রচলিত অনেক সেবাই হয়ে যাবে ইন্টারনেটভিত্তিক।

    তবে মূল্য সহনীয় পর্যায়ে রাখা না হলে ফোর জি চালুর কোনো সফলতাই আসবে না বলে মনে করেন সংশ্লিষ্টরা।

    >> থ্রিজি সুবিধায় ইন্টারনেট ডাউনলোড বা আপলোডে যে সময় লাগত, ফোর জিতে সে সময় নেমে আসবে প্রায় অর্ধেকে।

    >> প্রযুক্তি নিরপেক্ষতার কারণে যে কোনো ব্র্যান্ডেই অপারেটররা ফোর জি সেবা দিতে পারবে। প্রযুক্তি নিরপেক্ষতা তরঙ্গের কার্যক্ষমতা দেড় থেকে দুই গুণ বাড়িয়ে দেয়। এতে শুধু ইন্টারনেটই নয়, ভয়েসকলেও অগ্রগতি হবে।

    >> ফোর জি সেবা ব্যবহারের বড় চ্যালেঞ্জ হবে এটি ব্যবহারের উপযোগী হ্যান্ডসেট। দেশে ৩০% মানুষের হাতে স্মার্টফোন রয়েছে, যার মধ্যে ১০% থ্র্রি-জি ব্যবহারের উপযোগী। ফোর জি হ্যান্ডসেটের চাহিদা তৈরিতে সরকারের সহায়তার প্রয়োজন পড়বে।

    >> ফোর জি গতি পেলে প্রান্তিক মানুষ নানা কাজ করতে পারবে, ফলে তাদের শহরমুখী হতে হবে না। অনলাইনভিত্তিক সেবা বেড়ে যাবে এবং ই-কর্মাসের প্রসার ঘটবে।

    >> ফোর জি চালু হলে প্রত্যন্ত অঞ্চল থেকেও আউটসোর্সিংয়ের কাজ করার সুযোগ তৈরি হবে; বাড়বে কাজের ক্ষেত্র।

    >> ফোর জি গতিতে দেশে এফ কমার্সভিত্তিক ২০ হাজার পেইজ বা গ্রুপের প্রসার আরও বাড়বে।

    গ্রাহকদের থ্রি জির অভিজ্ঞতা খুবই খারাপ বলে সব সময় অভিযোগ উঠেছে। যে পরিমাণ গ্রাহক থ্রি জিতে হওয়ার কথা ছিল, তার চেয়ে বেশি সংযোগ হওয়ায় গ্রাহকরা সন্তুষ্ট নয়। ঢাকার বাইরে এ পরিস্থিতি আরও খারাপ। এজন্য অপারেটররা পর্যাপ্ত তরঙ্গ ও প্রযুক্তি নিরপেক্ষতা না থাকাকে কারণ হিসেবে বলে আসছিল।

    নিয়ন্ত্রক সংস্থা বিটিআরসির হিসাবে, থ্রি জি চালুর পর দেশে মোবাইল ইন্টারনেট সংযোগে ডেটার ব্যবহার ছিল ১০০ এমবির কম। বর্তমানে তা প্রায় ৭০০ এমবি। ফোর জি চালু হলে এর ব্যবহার কয়েকগুণ বাড়বে বলে ধারণা করা হচ্ছে।

    দেশে বর্তমানে মোবাইল ফোনের গ্রাহকদের মধ্যে ৭০ শতাংশই ফিচার ফোন ব্যবহার করে। আর বাকি ৩০ শতাংশের হাতে যে স্মার্টফোন রয়েছে তার মধ্যে মাত্র ১০ শতাংশ থ্রি জি উপযোগী।

    দেশের সবচেয়ে বড় অপারেটর গ্রামীণফোনের সিইও মাইকেল ফোলি মঙ্গলবার এক অনুষ্ঠানে জানিয়েছেন, তাদের ইন্টারনেট ব্যবহারকারী গ্রাহকের ১৪ শতাংশের হাতে ফোর জি উপযোগী হ্যান্ডসেট রয়েছে।

    • সর্বশেষ
    • সর্বাধিক পঠিত
    close