শরতের একগুচ্ছ ছড়া
ঋতুরাণী শরৎ হাসে
শরৎ এলো পাড়ে গাঁয়ে
সম্পর্কিত খবর
রাণীর বেশে
সেই খুশিতে প্রকৃতিটা
উঠলো হেসে।শিশিরকণা ঝরে পড়ে
দূর্বাঘাসে
সূর্য এসে ঝিলিক মারে
শুভ্র কাশে।স্নিগ্ধ সবুজ হাতছানি দেয়
আমন ধানে
ক্লান্ত হলে কৃষক ফিরে
ঘরের টানেবিলেরজলে শাপলা শালুক
পদ্ম ফোটে
গাছ থেকে রোজ শিউলি বেলির
সুবাস ছোটে।সাদামেঘের উড়োউড়ি
নীলাকাশে
সারাবেলা তুলোর মতো
দৌড়ে ভাসে।গোধূলিতে লালের মেলা
লাল ভরিয়ে
ঋতুরাণী শরৎ হাসে
রূপ ছড়িয়ে।বর্ষা শেষে এলো দেশে
বর্ষা শেষে এলো দেশে
ঋতুরানী শরৎ
নীলাকাশে বেড়ায় ভেসে
সাদা মেঘের পরত।মেঘেরভেলা সারাবেলা
ইচ্ছেমতো ঘোরে
উদাস হাওয়া করলে ধাওয়া
ছুটে খুবই জোরে।আকাশ গাঁয়ে ডানে বায়ে
তুলোর মতো উড়ে
বৃষ্টি পড়ে একটু করে
মেঘলা আকাশ ফুঁড়ে।শরতের ফুল
শরতকালে ফুল ফুটে রোজ খুবই প্রকৃতিকে বানায় রূপের ছবি।
ফুলেরা সব ছড়ায় মিষ্টি ঘ্রাণ মিষ্টি ঘ্রাণে জুড়ায় চপল প্রাণ।
জুঁই কামিনী মালতি টগর আরো শিউলি বেলি সুবাস ছাড়ে গাঢ়ও।
নদীর চরে কাশফুলেরা হাসে বিলে-ঝিলে শাপলা পদ্ম ভাসে।
শরতের প্রকৃতি
শরতের প্রকৃতিটা
দেখতেও বেশ
বাতাসের গায়ে দেখি
শান্তি অশেষ।সকালের সোনা রোদ
করে ঝিলমিল
নদী তীরে কাশফুল
হাসে খিলখিল।আমনের ধান ক্ষেতে
সবুজের সাজ
ঢেউ তুলে এঁকে যায়
রূপ কারুকাজ।ক্লান্ত দুপুরে দেখি
আকাশের গায়
ধবধবে সাদা মেঘ
সাঁতরে বেড়ায়।গোধূলিতে নীড়ে ফিরা
পাখিদের ঝাঁক
আঁধারের আগমনে
করে হাঁকডাক।-একে