আর নির্বাচন বয়কট নয়: ড. কামাল
জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের শীর্ষ নেতা ও গণফোরাম সভাপতি ড. কামাল হোসেন বলেছেন, একবার নির্বাচন বয়কট করে জাতিকে খেসারত দিতে হয়েছে। আর কোনও নির্বাচন বয়কট নয়। সরকার যতই দশ নাম্বারি করুক না কেন, সব ষড়যন্ত্র প্রতিহত করে ঐক্যবদ্ধ হতে হবে।
শনিবার (১৭ নভেম্বর) সুপ্রিমকোর্ট প্রাঙ্গনে জাতীয় আইনজীবী ঐক্যফ্রন্টের মহাসমাবেশে তিনি এ মন্তব্য করেন। সমাবেশের প্রধান বক্তা ছিলেন বিএনপির মহাসচিব ও জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের মুখপাত্র মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
সম্পর্কিত খবর
গণফোরাম সভাপতি বলেন, এ সরকারের লাজলজ্জা বলতে কিছু নেই। যদি থাকতে তাহলে বিনা ভোটে এতদিন ক্ষমতায় থাকতে পারতো না।
তিনি বলেন, তিনি বলেন, সরকারকে ভাওতাবাজির জন্য গোল্ডমেডেল দেয়া উচিত। ২০১৪ সালের নির্বাচনের পর সুপ্রিম কোর্টে এ নিয়ে একটা মামলা হয়েছিল। তখন কোর্ট আমাকে অ্যামিকাস কিউরি হিসেবে ডেকেছিলেন। কোর্ট আমার কাছে জানতে চেয়েছিলেন ওই নির্বাচন নিয়ে। তখন বলেছিলাম, এক কথায় বললে তো বলা যায়, এটা কোনো নির্বাচন না। কিন্তু, তারা যখন বলছে পরিস্থিতির কারণে নির্বাচন করেছে, দ্রুত আরেকটি নির্বাচন করবে। তাই সুযোগ দেয়া উচিত।
প্রবীণ এই আইনজীবী বলেন, দ্রুত নির্বাচন মানে কি ৫ বছর? এটা কি বাংলা অভিধানে নতুন করে যুক্ত হওয়া শব্দ। অল্প মানে ৫ বছর। ভাওতাবাজির সীমা থাকা উচিত। ভাওতাবাজিতে তাদের গোল্ড মেডেল দেয়া উচিত। আমরা এখন ভাওতাবাজি থেকে মুক্তি পেতে চাই।
এ সময় ড. কামাল হোসেন খালেদা জিয়ার মুক্তি দাবি করেন এবং তাকে অন্যায়ভাবে আটক করে রাখা হয়েছে বলেও অভিযোগ করেন।
তিনি বলেন, সারা দেশে হাজার হাজার নেতাকর্মীকে গ্রেফতার করা হচ্ছে। আমরা প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করলাম, অন্যায় গণগ্রেফতারের কথা বললাম। প্রধানমন্ত্রী বললেন, কাল থেকে আর গ্রেফতার হবে না। কিন্তু, এখনও এই গণগ্রেফতার থামেনি।
সমাবেশে সভাপতিত্ব করেন বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্ট বার এসোসিয়েশন ও জাতীয় আইনজীবী ঐক্যফ্রন্টের আহ্বায়ক জয়নুল আবেদিন। অনুষ্ঠান পরিচালনা করছেন সুপ্রিম কোর্ট বারের সম্পাদক ও আইনজীবী ঐক্যফ্রন্টের সদস্য সচিব মাহবুব উদ্দিন খোকন।
বক্তব্য রাখেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ব্যরিস্টার মওদুদ আহমেদ ও ব্যারিস্টার জমিরউদ্দিন সরকার, আইনজীবী খন্দকার মহবুব হোসেন, বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান নিতাই রায়, বিএনপির যুগ্ম-মহাসচিব সৈয়দ মোয়াজ্জেমম হোসেন আলাল ও গণফোরামের কার্যকারী সভাপতি সুব্রত চৌধুরী প্রমুখ।