নির্বাচন বর্জন রিজভীর
বিএনপির নয়াপল্টনের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের স্থায়ী বাসিন্দা বলে পরিচিত দলের সিনিয়র যগ্ম-মহাসচিব অ্যাডভোকেট রুহুল কবির রিজভী একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন বর্জন করেছেন। মিডিয়ায় সরব এককালের মাঠকাঁপানো এই ছাত্রনেতা অংশ নিচ্ছেন না এবারের জাতীয় সংসদ নির্বাচনে । ১২ নভেম্বর থেকে হাজার হাজার মনোনয়ন প্রত্যাশীর মাঝে মনোনয়ন ফরম বিক্রি ও জমার দায়িত্ব পালন করে গেলেও শুক্রবার শেষ দিনেও তিনি নিজে মনোনয়ন ফরম সংগ্রহ করেননি।
সম্পর্কিত খবর
কেন নির্বাচন করছেন না এমন প্রশ্নে রুহুল কবির রিজভী বলেন, শেখ হাসিনার অধীনে নির্বাচনে অংশ গ্রহণ করবো না আমি।এটি আমার ব্যক্তিগত সিদ্ধান্ত।দলীয় কোনো বিষয় নয়।তিনি বলেন,প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার অধীনে কোনো নিরপেক্ষ নির্বাচন হবে না।তবে যদি নিরপেক্ষ সহায়ক সরকার দেয়া হতো তাহলে নির্বাচন করতাম। কিন্তু তা দিবে না এই সরকার।
রুহুল কবির রিজভী সংসদ নির্বাচনে প্রার্থী হন বিএনপির একজন ত্যাগী নেতা হিসেবে পরিচিত৷ ৯৮৯ সালে রুহুল কবির রিজভী আহমেদ রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্র সংসদ-রাকসুর ভিপি নির্বাচিত হন। ছাত্রদলের ভারপ্রাপ্ত দ্বায়িত্ব পালনের পরে ১৯৯২ সালের ১৬ মে প্রথমবারের মতো নির্বাচনের মাধ্যমে ছাত্রদলের কেন্দ্রীয় কমিটিতে সভাপতি পদে জয়ী হন রুহুল কবীর রিজভী আহমেদ। কিন্তু দলীয় কোন্দলের মাত্র ৪ মাস টিকে ছিল রিজভীর কমিটি। পরেই তিনি ছাত্রদল থেকে সরে এসে মূলদলে যুক্ত হন।২০০১ থেকে ২০০৬ পর্যন্ত বিএনপি সরকারের সময়ে তিনি রাজশাহী কৃষি উন্নয়ন ব্যাংকের চেয়ারম্যান ছিলেন।
সেনা সমর্থিত সেই ওয়ান-ইলেভেনের সময় বিএনপি যখন প্রায় নেতৃত্বহীন প্রায়, সংস্কারপন্থীদের ‘মাইনাস টু’ ষড়যন্ত্রের বিরুদ্ধে বিএনপিতে প্রতিরোধ গড়ে তোলেন রিজভি। ওইসময় খালেদা জিয়া কারাবন্দি থাকায় ঝুঁকি নিয়ে সরব থেকে বিএনপিকে চাঙ্গা রাখেন এই নেতা। বর্তমানে বিএনপির মুখপাত্র হিসেবে দায়িত্ব পালন করা রিজভী আহমেদ বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের অত্যন্ত বিশ্বস্ত নেতা হিসেবে পরিচিত।
২০১৩ সালের নভেম্বর মাস থেকে রিজভী কয়েক দফা কারাগারে থেকেছেন। এছাড়া ২০১৫ সালে আবারো তাকে আটক করা হলে তিনি প্রায় দশ মাস কারাগারে ছিলেন।
এবার নির্বাচনে কুড়িগ্রাম থেকে অংশ নেওয়ার কথা ছিল তার । ২০০৬ সালের বাতিল ঘোষিত নির্বাচনে তিনি কুড়িগ্রাম থেকে প্রার্থী ছিলেন। কুড়িগ্রাম শহরের চামড়াগোলা এলাকায় তার বাড়ি। ১৯৮৪ সালে তৎকালীন রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্র সংসদের ভিপি রিজভী স্বৈরাচারবিরোধী আন্দোলনে পুলিশের গুলিতে গুরুতর আহত হন।সে সময় তিনি মেরুদণ্ড ও পাকস্থলিতে আঘাত পান।
এনই