পুলিশকে নির্দেশনা, রাজনৈতিক কারণে গ্রেফতার করা যাবে না
রাজনৈতিক কারণে কাউকে গ্রেফতার না করার নির্দেশনা দেয়া হয়েছে পুলিশকে। এছাড়াও পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা ও স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়কে না জানিয়ে কোনো রাজনৈতিক মামলাও করা যাবে না।
সম্পর্কিত খবর
শনিবার (১০ নবেম্বর )রাতে পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের ক্ষুদে বার্তায় এই নির্দেশ দেন ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) কমিশনার আছাদুজ্জামান মিয়া। ক্ষুদে বার্তার শিরোনামে লেখা ছিল ‘SUSPENSION OF POLITICAL ARREST (রাজনৈতিক গ্রেফতারে স্থগিতাদেশ)’।
নির্দেশনায় বলা হয়েছে, যাচাই-বাছাই না করে কাউকে গ্রেফতার করা যাবে না। একই সঙ্গে পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা ও স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়কে না জানিয়ে কোনো রাজনৈতিক মামলা রেকর্ড করা যাবে না।
নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার আগে থেকেই বিরোধী দলগুলো গণগ্রেফতার ও গায়েবি মামলায় নেতাকর্মীদের হয়রানির অভিযোগ করে আসছিল। নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার আগে বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে আওয়ামী লীগের সংলাপে রাজনৈতিক মামলায় গ্রেফতার হয়রানি ও নতুন করে মামলা না দেয়ার প্রতিশ্রুতি দেয়া হয়। যদিও সংলাপ শুরুর পরেও সারা দেশে অন্তত একশ’ মামলা হয়েছে। এ অবস্থার মধ্যেই গত ৮ নভেম্বর জাতীয় নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করে নির্বাচন কমিশন।
এদিকে নির্বাচনের লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড নেই এমন দাবি করে তফসিল পেছানোর দাবির মধ্যে রোববার নির্বাচন আরও সাতদিন পিছিয়ে পুনরায় তফসিল দেয়া হয়েছে। আগের দিন সংবাদ সম্মেলন করে প্রধান বিরোধী জোট জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট ও ২০ দলীয় জোট নির্বাচনে অংশ নেয়ার ঘোষণা দেয়। গতকাল থেকে বিএনপি দলীয় মনোনয়নপত্র বিতরণ শুরু করেছে। দেশজুড়ে নির্বাচনী আমেজের মধ্যে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর নতুন নির্দেশনা নির্বাচনের মাঠে ইতিবাচক হিসেবে দেখছেন সংশ্লিষ্টরা।
পুলিশ সদর দপ্তর সূত্রে জানা গেছে, গত শনিবার প্রশাসনের উচ্চপর্যায়ে গ্রেপ্তার ও মামলা রেকর্ড- এর করণীয় নির্ধারণ নিয়ে একটি বৈঠক হয়। ওই বৈঠকে সিদ্ধান্ত নেয়া হয়, যাচাই-বাছাই না করে কাউকে গ্রেপ্তার ও মামলা রেকর্ড করা যাবে না। তবে নাশকতার অভিযোগে দায়ের করা মামলার কার্যক্রম চলমান থাকবে। ওই বৈঠক থেকেই সারা দেশের পুলিশ কর্মকর্তাদের কাছে বার্তাটি পৌঁছে দেয়ার জন্য বলা হয়। এর ভিত্তিতেই ডিএমপি কমিশনার পরবর্তী নির্দেশ না দেয়া পর্যন্ত রাজনৈতিক কারণে কাউকে গ্রেপ্তার না করতে ঢাকা মহানগরীর পুলিশের মাঠপর্যায়ের কর্মকর্তাদের নির্দেশনা দেন।