• শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৭ বৈশাখ ১৪৩১
  • ||
শিরোনাম

ভোটে অংশ নিতে জামায়াতের ‘ভিন্ন কৌশল’

প্রকাশ:  ১২ নভেম্বর ২০১৮, ১৬:২৩
নিজস্ব প্রতিবেদক

আসন্ন একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে অংশ নিচ্ছে বিএনপি। নির্দলীয়, নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে নির্বাচন আর দলীয় চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তি ছাড়া নির্বাচনে না যাওয়ার অবস্থান থেকে সরে এসেছে দলটি। সোমবার (১২ নভেম্বর) সকাল থেকে শুরু হয়েছে দলটির মনোনয়নপত্র বিক্রি।

এদিকে নির্বাচনে নিবন্ধিত আটটি দলকে যৌথভাবে মনোনীত প্রার্থীকে ধানের শীষ প্রতীক দিতে অনুরোধ জানিয়েছে বিএনপি। দলগুলো হলো- বিএনপি, লিবারেল ডেমোক্রেটিক পার্টি (এলডিপি), বাংলাদেশ জাতীয় পার্টি (বিজেপি), খেলাফত মজলিস, জাতীয় গণতান্ত্রিক পার্টি (জাগপা), বাংলাদেশ কল্যাণ পার্টি, বাংলাদেশ মুসলিম লীগ ও জমিয়তে উলামায়ে ইসলাম বাংলাদেশ।

কিন্তু নির্বাচনে জোটের বড় শরিক জামায়াতের অবস্থান কী হবে? এমন প্রশ্নে দলটির সর্বোচ্চ-নীতি নির্ধারণী ফোরাম কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদের সদস্য মাওলানা আব্দুল হালিম বলেন, আমাদের প্রার্থীরা নির্বাচনে অংশ নেবে। তবে কী কৌশলে অংশ নেবে সেটা এখনই বলা কঠিন। আসন ভাগাভাগির বিষয়ে এখনো চূড়ান্ত কোনো সিদ্ধান্ত হয়নি। ২০০৮ সালে বিএনপি আমাদের ৩৪ আসন দিয়েছিল। এবার তার চেয়ে বেশি আসন প্রত্যাশা করছি। দুই-একদিনের মধ্যে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত হবে।

আমির-সেক্রেটারি জেনারেল থেকে শুরু করে শীর্ষস্থানীয় নেতারা মুক্তিযুদ্ধে মানবতাবিরোধী অপরাধের দায়ে ফাঁসিতে ঝুলেছেন। স্বাধীনতাবিরোধী দল জামায়াতের নিবন্ধনও সম্প্রতি বাতিল হয়ে গেছে। নিবন্ধন বাতিল হওয়ায় দল হিসেবে যেমন জামায়াতের নির্বাচনে যাওয়ার সুযোগ নেই, তেমনি তাদের প্রতীক নিয়েও ভোটে দাঁড়ানোর উপায় নেই। রাজনৈতিক পরিমণ্ডলে জামায়াতের কৌশল নিয়ে আলোচনার মধ্যে দলটির শীর্ষ পর্যায় বলছে, তারা স্বতন্ত্র প্রার্থিতার কৌশলই নিচ্ছে।

জামায়াতের শীর্ষ নেতাদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, আপাতত স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবেই প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে দলটি। এরইমধ্যে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে জামায়াতের তিন নেতা- চট্টগ্রাম মহানগর জামায়াতের সাবেক নায়েবে আমির শাহজাহান চৌধুরী, কেন্দ্রীয় নায়েবে আমির আ ন ম শামসুল ইসলাম এবং বাঁশখালী উপজেলা চেয়ারম্যান জহিরুল ইসলাম মনোনয়নপত্র সংগ্রহও করেছেন। যদিও চূড়ান্ত কৌশল এখনই প্রকাশ করতে চাইছেন না তারা। শেষ মুহূর্তেও দলটির কৌশল পরিবর্তন হতে পারে ইঙ্গিত দিচ্ছেন নেতারা।

পরিবর্তিত পরিস্থিতি ও নিবন্ধন বাতিলের পর নির্বাচনে কৌশল কী হবে জানতে চাইলে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক দলটির এক শীর্ষ নেতা বলেন, ২০০৮ সালে আমরা মোট ৩৯টি আসনে নির্বাচন করেছিলাম। তখন বিএনপি জোট আমাদের ৩৪ আসন ছেড়ে দিয়েছিল। বাকিগুলো আমরা তাদের ছেড়ে দিয়েছিলাম। এবার অন্তত অর্ধশত আসনে আমাদের ফাইটিং ক্যান্ডিডেট রয়েছেন। সেক্ষেত্রে জোটের কাছে আমরা ৫০-৬০ আসন চাইবো। কতোটা দেবে সেটা দেখতে আরও অপেক্ষা করতে হবে।

/অ-ভি

জামায়াত,নির্বাচন
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত
close