২০ দলের সঙ্গে সমঝোতার ভোট, জামায়াতকে কি এড়াতে পারলো ঐক্যফ্রন্ট?
দুই জোটের শরিক এখন বিএনপি। একদিকে ২০ দল এবং অন্যদিকে জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট। একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে অংশ নেওয়ার ঘোষণা দিয়েছে দুই জোটই । এর ফলে দুই জোটের সঙ্গেই ধানের শীষ প্রতীক ভাগাভাগি করতে হচ্ছে দশম সংসদ নির্বাচন বর্জন করা দলটিকে।
দুই জোটের মধ্যে সমঝোতার ভিত্তিতেই প্রার্থী মনোনয়ন চুড়ান্ত করা হবে বলে ঘোষণা দিয়েছে ২০ দলীয় জোটের নতুন সমন্বয়ক এলডিপির সভাপতি অলি আহমেদ। অবশ্য এখন পর্যন্ত এ বিষয়ে ঐক্যফ্রন্ট ও ২০ দলীয় জোটের মধ্যে কোনো ধরনের বৈঠক হয়নি। কবে নাগাদ এই বৈঠক অনুষ্ঠিত হবে আর কোন ভিত্তিতে আসন ভাগাভাগি হবে তা উল্লেখ করেননি ২০ দলের নতুন সমন্বয়ক।
সম্পর্কিত খবর
শনিবার বিকেলে গুলশানের বিএনপি চেয়ারপারসনের রাজনৈতিক কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত সংবাদ সম্মেলেনে অলি আহমেদ বলেন, ২০ দলীয় জোট বরাবরই গণতন্ত্রে বিশ্বাস করে, তাই তারা নির্বাচন চায়। তাই ২০ দলীয় জোট আসন্ন নির্বাচনে অংশগ্রহণ করবে। আমরা ঐক্যফ্রন্টের সাথে সমঝোতার মাধ্যমে নির্বাচনে অংশগ্রহণ করব।
তিনি বলেন, জনগণের প্রতি আস্থা আছে বলে আমরা ২০ দলীয় জোট প্রতিকূলতার মধ্যেও আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনে জোটগতভাবে অংশগ্রহণের সিদ্ধান্ত নিয়েছি। সরকারের দুর্নীতি, অনাচারসহ তিস্তার পানি আনতে ব্যর্থতা ও রাষ্ট্রীয় স্বার্থ রক্ষায় সীমাহীন ব্যর্থতার বিরুদ্ধে রায় দেওয়ার সুযোগ দেওয়া উচিৎ বলে আমরা মনে করি। সেই কারণে আমরা নির্বাচনে অংশগ্রহণ করব।
এদিকে গত কয়েকমাস ধরে ২০ দলের মিটিং ও কর্মসূচিতে অনিয়মিত হয়ে পড়া জামায়াত জোটের রাজনীতিতে ফের সক্রিয় হয়ে ওঠেছে। অলি আহাদের সংবাদ সম্মেলনে জামায়াত নেতা আবদুল হালিম উপস্থিত ছিলেন।
জাতীয় ঐক্যফন্ট গঠনকালে মুক্তিযুদ্ধের বিপক্ষের কোনো শক্তির সঙ্গে কোনো ধরনের ঐক্য বা আপস করবেন না বলে ঘোষণা দিয়েছিলেন ড. কামাল হোসেন। এই বিতর্কে জড়িয়ে বি চৌধুরী তার দল বিকল্পধারা ঐক্যফ্রন্টে যোগ দেওয়া থেকে বিরত থাকে। এবার ২০ দলীয় জোট আর ঐক্যফ্রন্ট সমঝোতার ভিত্তিতে নির্বাচনে দলীয় মনোনয়ন দেওয়া হবে। এ ক্ষেত্র দুই মেরুর দুই দলকে অবশ্যই মুখোমুখি বসে আসন বন্টনে সমঝোতা করতে হবে। আর বিএনপি নেতৃত্বাধীন এই জোটের অন্যতম শরিক জামায়াতে ইসলামী। এক্ষেত্রে ড. কামাল হোসেনের পূর্বঘোষিত মুক্তিযুদ্ধ বিরোধীদের সঙ্গে কোনো অাপোস নয়, এ ঘোষণাটি টিকলো কই! কি করে জামায়াতকে এড়াবে ঐক্যফ্রন্ট? এই প্রশ্ন রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের।
এনই/