ওয়াসার পানির মান পরীক্ষায় ৫ সদস্যের কমিটি
রাজধানী ঢাকায় পাইপের মাধ্যমে বাসাবাড়িতে সরবরাহ করা ওয়াসার পানির মান পরীক্ষায় ৫ সদস্যের একটি কমিটি গঠন করে দিয়েছেন হাইকোর্ট।
জনস্বার্থে দায়ের করা এক রিট আবেদেনের প্রাথমিক শুনানি নিয়ে মঙ্গলবার (৬ নভেম্বর) বিচারপতি জে বি এম হাসান ও বিচারপতি মো. খায়রুল আলমের হাইকোর্ট বেঞ্চ রুলসহ এ আদেশ দেন।
সম্পর্কিত খবর
পাঁচ সদস্যের এ কমিটিকে দুই মাসের মধ্যে আদালতে এ বিষয়ে প্রতিবেদন দাখিল করতে বলা হয়েছে।
কমিটিতে থাকবেন স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়, আইসিডিডিআরবি, ব্যুরো অব রিসার্চ টেস্টিং অ্যান্ড কনসালটেশন (বিআরপডিসি), ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) ফার্মেসি অনুষদ এবং মাইক্রোবায়োলজিক্যাল সাইন্স বিভাগের একজন করে প্রতিনিধি।
এছাড়া এ বিষয়ে জারি করা রুলে ওয়াসার নিরাপদ পানি সরবরাহে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের ব্যর্থতা কেন অবৈধ ঘোষণা করা হবে না এবং নিরাপদ পানি সরবরাহে দ্রুত প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের নির্দেশ কেন দেয়া হবে না, তা জানতে চাওয়া হয়েছে।
আগামী চার সপ্তাহের মধ্যে স্থানীয় সরকার প্রশাসন, স্বাস্থ্য সচিব, জনস্বাস্থ্য প্রকৌশলের প্রধান প্রকৌশলী, ঢাকা, চট্টগ্রাম, খুলনা ওয়াসার ব্যবস্থাপনা পরিচালককে ওই রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে।
আদালতে রিটকারী আইনজীবী তানভীর আহমেদ শুনানি করেন। আদেশের বিষয়টি নিশ্চিত করে তিনি বলেন, ঢাকাসহ সারা দেশে সরবরাহকৃত ওয়াসার পানিতে ব্যাকটেরিয়াসহ নানা ক্ষতিকর উপাদান রয়েছে। এ বিষয়ে বিশ্বব্যাংক একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করে। সে প্রতিবেদনের ভিত্তিতে বিভিন্ন গণমাধ্যমে প্রকাশিত প্রতিবেদন যুক্ত করে রিট করি।
প্রসঙ্গত, বাংলাদেশের পানি সরবরাহ, পয়োনিষ্কাশন, স্বাস্থ্যবিধি ও দরিদ্রতা নিয়ে সম্প্রতি বিশ্বব্যাংক একটি প্রতিবেদন দেয়। গত ১১ অক্টোবর রাজধানীর একটি হোটেলে ওই প্রতিবেদনটি প্রকাশ করা হয়।
পানি, পয়োনিষ্কাশন, পরিচ্ছন্নতা এবং দারিদ্র্যের মধ্যে সংযোগ খুঁজে বের করতে বিশ্বের ১৮টি দেশে বৈশ্বিক গবেষণা করে বিশ্বব্যাংক। তার ভিত্তিতে ওই ১৮টি দেশের প্রতিটির জন্য আলাদা আলাদা প্রতিবেদন তৈরি করা হয়।
বাংলাদেশ নিয়ে তৈরি করা প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, দেশের প্রায় সাড়ে সাত কোটি মানুষ অপরিচ্ছন্ন এবং অনিরাপদ উৎসের পানি পান করছে। পানির নিরাপদ উৎসগুলোর ৪১ শতাংশই ক্ষতিকারক ই-কোলাই ব্যাকটেরিয়াযুক্ত এবং ১৩ শতাংশে রয়েছে আর্সেনিক।
/এসএম