• শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৭ বৈশাখ ১৪৩১
  • ||

১০ বছরে ১ কোটি ১৩ লাখ মামলা নিষ্পত্তি

প্রকাশ:  ২৯ অক্টোবর ২০১৮, ১৮:৫৮
নিজস্ব প্রতিবেদক

আইনমন্ত্রী আনিসুল হক বলেছেন, বর্তমান সরকার মামলা জট কমানোকে একটি চ্যালেঞ্জ হিসেবে নিয়ে নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে। সরকারের আন্তরিক চেষ্টায় ২০০৯-১৮ সালের ৩১ মার্চ পর্যন্ত জেলা ও দায়রা জজ আদালত এবং সমপর্যায়ের ট্রাইব্যুনাল সমূহে মোট ১ কোটি ১৩ লাখ ৭৭৬১টি মামলা নিষ্পত্তি হয়েছে।

তিনি বলেন, মামলা দ্রুত বিচার ও নিষ্পত্তির ক্ষেত্রে অন্যতম প্রতিবন্ধকতা হলো এজলাস সংকট। এজলাস স্বল্পতা দূর করে সর্বোচ্চ কর্মঘণ্টা ব্যবহার করে বিচার কাজে গতিশীলতা আনয়নে সরকার কাজ করে যাচ্ছে।

সোমবার (২৯ অক্টোবর) জাতীয় সংসদে সংসদ সদস্য এম আবদুল লতিফের এক লিখিত বক্তব্যের জবাবে এসব কথা বলেন আইনমন্ত্রী আনিসুল হক। এর আগে সাড়ে ৫টায় স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে সংসদ অধিবেশন শুরু হয়।

মন্ত্রী বলেন, সারাদেশে বিচার ব্যবস্থার দীর্ঘসূত্রিতা কমিয়ে বিচার কাজ ত্বরান্বিত করার জন্য বিচারকদের সংখ্যা বৃদ্ধি ও এজলাস সংকট নিরসনে বেশ কিছু পদক্ষেপ নেয়া হয়েছে। বিচার কাজে গতিশীলতা ফিরিয়ে আনতে বিশেষ উদ্যোগে বিভিন্ন পর্যায়ে বিচারকের সংখ্যা বাড়ানো হচ্ছে। জুডিশিয়াল সার্ভিস কমিশনকে গতিশীল করা হয়েছে যাতে করে দ্রুত সময়ের মধ্যে শূন্যপদে নিয়োগ দেয়া যায়।

আইনমন্ত্রী জানান, ২০১৪ সাল থেকে এ পর্যন্ত বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগে ৬ জন ও হাইকোর্ট বিভাগে ২৮ জন বিচারপতি নিয়োগ দেয়া হয়েছে। এছাড়াও অধস্তন আদালতে মোট ৪২৭ সহকারী জজ নিয়োগ দেয়া হয়েছে। ১৩তম জুডিশিয়াল সার্ভিস পরীক্ষা ২০১৭ এর মাধ্যমে সহকারী জজ পদে ১৪৩ প্রার্থীর নিয়োগ পূর্ব প্রাক-পরিচয় যাচাই চলছে। প্রাক-পরিচয় যাচাই প্রতিবেদন প্রাপ্তি সাপেক্ষে তাদের নিয়োগ দেয়া হবে। ১২তম জুডিয়শিয়াল সার্ভিস পরীক্ষা ২০১৮ এর লিখিত পরীক্ষা শেষ হয়েছে। সারাদেশে সহকারী জজ/সিনিয়র জজ এর ৯৪টি পদ শূন্য রয়েছে। ১১ তম জুডিশিয়াল সার্ভিস পরীক্ষার মাধ্যমে এ পদে নিয়োগ সম্পন্ন করা হবে। যুগ্ম জেলা জজ থেকে জেলা জজ পর্যায়ে ৪১টি পদ শূন্য রয়েছে। যা পদোন্নতি/বদলির মাধ্যমে পূরণ করা হবে।

তিনি আরও জানান, বর্তমান সরকার দেশে আরও ৫টি সন্ত্রাসবিরোধী বিশেষ ট্রাইব্যুনাল, ৭টি সাইবার ট্রাইব্যুনাল, ৮টি মানি লন্ডারিং ট্রাইব্যুনাল, ১২২টি অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ আদালত, ১৫৯টি যুগ্ম জেলা জজ আদালত, ১৯টি পরিবেশ আদালত, ৬টি পরিবেশ আপিল আদালত, ২১৪টি সহকারী/সিনিয়র সহকারী জজ আদালত, ৩৪৬টি জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট/ সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট/ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট এর পদ সৃজন প্রক্রিয়াধীন।

সংরক্ষিত নারী আসনের সংসদ সদস্য বেগম উম্মে রাজিয়া কাজলের প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী জানান, বাংলাদেশের যে কোন প্রান্তে যুদ্ধাপরাধের কোন অভিযোগ থাকলে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল কার্যপ্রণালী বিধিমালা, ২০১০ এর ৫ নং বিধি অনুযায়ী উক্ত অভিযোগ আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের তদন্তকারী সংস্থার কাছে পাঠাতে হবে। তদন্তকারী সংস্থা বিধি মোতাবেক পরবর্তী কার্যক্রম নিয়ে থাকে এবং আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে এসব অপরাধীদের বিচার কার্যক্রম সম্পন্ন হয়। সরকার দলীয় অপর সদস্য এ কে এম রহমতুল্লাহ’র প্রশ্নের জবাবে আইনমন্ত্রী জানান, বিচার নিয়োগের ক্ষেত্রে পিএসসির সহায়তা নেয়ার আবশ্যকতা নেই। বিধি অনুসারে জুডিশিয়াল সার্ভিস কমিশন বিজেএস পরীক্ষা নিয়ে থাকে এবং যাচাই-বাছাই শেষে চূড়ান্তভাবে মনোনীত প্রার্থীদের নাম রাষ্ট্রপতির কাছে সুপারিশ করে। রাষ্ট্রপতি সুপারিশকৃত প্রার্থীদের জুডিশিয়াল সার্ভিসের প্রবেশ পদে নিয়োগদান করেন এবং এ প্রক্রিয়ায় পিএসসির সহায়তার আইনগত কোন সুযোগ না থাকায় পিএসসির সহায়তা নেওয়া হয় না।

/এসএম

আইনমন্ত্রী আনিসুল হক
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত
close