জোর করে সাজা দেয়া হয়েছে: খালেদার আইনজীবী
খালেদা জিয়ার আইনজীবী মো. সানাউল্লাহ্ মিয়া বলেছেন, এটা (জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাষ্ট) প্রাইভেট ট্রাস্ট। এখানে সরকারের কোনো টাকা নেই, এটা মামলাই হয় না। আজকে জোর করে সাজা দেয়া হয়েছে। সরকারের হস্তক্ষেপের কারণে এই সাজা। এর বাইরে এ মুহূর্তে আমরা কিছু বলতে পারবোনা।
সোমবার (২৯ অক্টোবর) দুপুরে জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলার রায় ঘোষণার পর সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির সভাপতির কক্ষে গণমাধ্যমকে তিনি এসব কথা বলেন।
সম্পর্কিত খবর
সানাউল্লাহ্ মিয়া বলেন, এগুলো সব একতরফা রায়। এই এক তরফা রায়ের বিষয়ে কী করবে না করবে সে বিষয়ে সিনিয়র আইনজীবীরা সিদ্ধান্ত নেবেন।
কারাদণ্ডের বিরুদ্ধে আপিলের বিষয়ে তিনি বলেন, সেটা এ মুহূর্তে বলতে পারবো না। রায় হাতে পাইনি এখনও। রায় পাওয়ার পর এ বিষয়ে সিনিয়র আইনজীবীরা সিদ্ধান্ত নেবেন।
এর আগে সোমবার জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াসহ চার আসামিকে সাত বছর করে সশ্রম কারাদণ্ডের আদেশ দেন আদালত। পাশাপাশি প্রত্যেককে ১০ লাখ টাকা করে জরিমানা, অনাদায়ে আরও ছয় মাসের কারাদণ্ডের আদেশ দেওয়া হয়।
এ ছাড়া ট্রাস্টের নামে ঢাকা শহরে থাকা ৪২ কাঠা জমি রাষ্ট্রায়ত্ত করার আদেশ দেন আদালত। ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৫ এর বিচারক আখতারুজ্জামান এই রায় ঘোষণা করেন।
সাজাপ্রাপ্ত অন্য তিন আসামি হলেন— খালেদা জিয়ার সাবেক রাজনৈতিক সচিব হারিছ চৌধুরী, হারিছ চৌধুরীর তখনকার একান্ত সচিব জিয়াউল ইসলাম মুন্না ও ঢাকার সাবেক মেয়র সাদেক হোসেন খোকার একান্ত সচিব মনিরুল ইসলাম খান। মামলা দায়েরের আগে থেকেই হারিছ চৌধুরী পলাতক রয়েছেন।
গত ৮ ফেব্রুয়ারি জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতির মামলায় পাঁচ বছরের কারাদণ্ড দেওয়ার পর থেকে নাজিমউদ্দিন রোডের পুরোনো কারাগারে বন্দী আছেন খালেদা জিয়া। বর্তমানে চিকিৎসার জন্য তাকে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ে রাখা হয়েছে।
/এসএম