• শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৭ বৈশাখ ১৪৩১
  • ||
শিরোনাম

খালেদার আইনজীবীর আদালত বর্জন

প্রকাশ:  ২৩ অক্টোবর ২০১৮, ১৪:১৪
নিজস্ব প্রতিবেদক

জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় খালাস চেয়ে করা খালেদা জিয়ার আপিলের শুনানি করতে গিয়ে আদালত বর্জন করেছেন তার আইনজীবীরা।

নথিপত্র নিয়ে সম্পূরক আবেদনের বিষয়ে বিচারক আদেশ না দেওয়ায় তারা আদালত বর্জন করেন।

মঙ্গলবার (২৩ অক্টোবর) বিচারপতি এম. ইনায়েতুর রহিম ও বিচারপতি মো. মোস্তাফিজুর রহমানের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চে এ ঘটনা ঘটে।

এ সময় খালেদা জিয়ার পক্ষে আদালতে উপস্থিত ছিলেন জ্যেষ্ঠ আইনজীবী এ জে মোহাম্মদ আলী। অন্যদিকে, দুদকের পক্ষে ছিলেন মো. খুরশীদ আলম খান।

এরআগে গতকাল শুনানিতে জিয়া অরফানেজ ট্রাস্টের ৪ কোটি ৪৪ লাখ ৮০ হাজার টাকা কুয়েতের আমির শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের স্মৃতি রক্ষার জন্য এতিমখানা করতে দিয়েছিলেন- খালেদার আইনজীবী এ জে মোহাম্মদ আলী তার পক্ষে এই আবেদন নথিভুক্ত করার জন্য বলেছিলেন।

মঙ্গলবার খালেদা জিয়ার আইনজীবী এ জে মোহাম্মদ আলী বলেন, সোমবার মামলার অর্থের উৎসের বিষয়ে আপনারা যে আদেশ দিয়েছেন তার বিরুদ্ধে আপিল বিভাগে যাব।

জবাবে আদালত বলেন, আপনারা আপিল বিভাগে যেতে পারেন। এরপর এ জে মোহাম্মদ আলী বলেন, আপিল বিভাগের সিদ্ধান্ত আসা পর্যন্ত মামলার কার্যক্রম মুলতবি করেন। জবাবে আদালত বলেন, মুলতবির আবেদন প্রত্যাখ্যান করা হল।

এ সময় এ জে মোহাম্মদ আলী বলেন, সে ক্ষেত্রে আমরা শুনানিতে অংশগ্রহণ করছি না। আমরা শুনানি থেকে বিরত থাকছি। এরপর খালেদা জিয়ার আইনজীবীরা আদালত থেকে বেরিয়ে আসেন।

এর আগে গত ৮ ফেব্রুয়ারি খালেদা জিয়াকে পাঁচ বছর কারাদণ্ডাদেশ দেন বিচারিক আদালত। একইসঙ্গে খালেদা জিয়ার ছেলে তারেক রহমানসহ মামলার অন্য পাঁচ আসামির প্রত্যেককে ১০ বছর করে সশ্রম কারাদণ্ড দেওয়া হয়। বাকি চার আসামি হলেন, সাবেক মুখ্যসচিব কামাল উদ্দিন সিদ্দিকী, সাবেক সংসদ সদস্য ও ব্যবসায়ী কাজী সালিমুল হক কামাল, ব্যবসায়ী শরফুদ্দিন আহমেদ ও জিয়াউর রহমানের ভাগনে মমিনুর রহমান। এর মধ্যে পলাতক আছেন, তারেক রহমান, কামাল উদ্দিন সিদ্দিকী ও মমিনুর রহমান। পাশাপাশি ছয় আসামির প্রত্যেককে ২ কোটি ১০ লাখ টাকা করে জরিমানাও করা হয়।

রায় ঘোষণার পরপরই খালেদা জিয়াকে ওই দিন বিকালে (৮ ফেব্রুয়ারি) নাজিম উদ্দিন রোডের পুরনো কেন্দ্রীয় কারাগারে নিয়ে যাওয়া হয়।

রায় ঘোষণার ১১ দিন পর গত ১৯ ফেব্রুয়ারি বিকালে রায়ের সার্টিফায়েড কপি (অনুলিপি) হাতে পান খালেদা জিয়ার আইনজীবীরা। এরপর ২০ ফেব্রুয়ারি হাইকোর্টের সংশ্লিষ্ট শাখায় বিচারিক আদালতের রায়ের বিরুদ্ধে আপিল ও জামিন চেয়ে আবেদন করা হয়। এরপর থেকে হাইকোর্টে খালেদা জিয়ার আপিলের ওপর শুনানি শুরু হয়।

/এসএম

খালেদা,জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলা
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত
close