‘যে লোক কটূক্তি করলেন, তিনি একাত্তরে পাকিস্তানের দালালি করেছেন’
সাংবাদিক মাসুদা ভাট্টিকে টিভি অনুষ্ঠানে ব্যারিস্টার মঈনুল হোসেনের অশালীন মন্তব্যের নিন্দা জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, এভাবে কোনো নারীকে অশালীন ভাষায় গালাগাল একটি জঘন্য ও ন্যাক্কারজনক ঘটনা।
এ ঘটনায় নারী সাংবাদিকদের ভূমিকার সমালোচনা করে তিনি বলেন, মঈনুল হোসেন দুটি মামলায় জামিন নিয়েছেন। আপনার তার বিরুদ্ধে আরো মামলা করেন, আমরা ব্যবস্থা নেব। আপনারাও তো প্রতিবাদ করতে পারেন? নারী সংগঠনগুলো প্রতিবাদ করছে না কেন?
সম্পর্কিত খবর
সোমবার (২২) অক্টোবর বিকেলে প্রধানমন্ত্রীর সরকারি বাসভবন গণভবনে অনুষ্ঠিত সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন। । প্রধানমন্ত্রীর সাম্প্রতিক সৌদি আরব সফর সম্পর্কে জানাতে এ সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছে।
সংবাদ সম্মেলনে মাসুদা ভাট্টিকে বাজে মন্তব্য করায় ব্যারিস্টার মইনুল হোসেনের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া প্রসঙ্গে এক প্রশ্নের জবাবে প্রধানমন্ত্রী বলেন, তাকে হাইকোর্ট ৫ মাসের জামিন দিয়েছে। সেখানে আমার তো কিছু করার নেই।দেশের বিচার বিভাগ স্বাধীন। আমরা সেখানে কোনো হস্তক্ষেপ করি না। মামলা হওয়া মাত্রই মইনুল হোসেন উচ্চ আদালতে গিয়ে বসে থাকলেন, তাকে ৫ মাসের জামিনও দেয়া হলো। আইনশৃঙ্খলা বাহিনীতো বিচারালয়ে গিয়ে হামলা কিংবা কাউকে গ্রেফতার করে আনতে পারে না।
ব্যারিস্টার মঈনুল হোসেনের সমালোচনা করে শেখ হাসিনা বলেন, যে লোক কটূক্তি করলেন, তার বাচনভঙ্গি ও আচরণ সবই খারাপ। একাত্তরে তিনি পাকিস্তানি হানাদারদের দালালি করতেন। সিরাজুলকে (সাংবাদিক সিরাজুল ইসলাম) তুলে নিয়েছিল, এজন্য তিনিও কম দায়ী নন। জাতির পিতার আত্মস্বীকৃত খুনিদের নিয়ে তিনি রাজনৈতিক দলও গঠন করেছিল। বঙ্গবন্ধু হত্যার পর খুনি মোশতাক একটি দল গড়েছিল, সেই দল গঠনে মঈনুল মুখ্য ভূমিকা পালন করেন। ত
ব্যারিস্টার মঈনুল জামায়াতের লোক দাবি করে তিনি বলেন, ছাত্রশিবিরের অনুষ্ঠানে ব্যারিস্টার মইনুল হোসেন গিয়েছিলেন, এর ভিডিওতো আছেই। জামায়াত তিনি সমর্থন করেন না, সেটা কীভাবে বলবেন? আমি তো বললাম, শিবিরের অনুষ্ঠানে বক্তৃতা করেছেন, তাদের আপনজন বলেছেন। এতেই প্রমাণ হয় তিনি জামায়াত।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ইত্তেফাকেও তিনি মার্ডার করিয়েছিলেন। নিজে মার্ডার করে আপন ভাই আনোয়ার হোসেন মঞ্জুকে ফাঁসানোর চেষ্টা করেছিলেন। উনার গুণের শেষ নাই। উনি গেসিলেন ব্যারিস্টারি করতে, মানিক কাকা (তোফাজ্জল হোসেন মাকিন মিয়া) পাঠালেন। ব্যারিস্টারি পাস করে আসার পর তিনি সাহেব হয়ে গেলেন। আগে পান্তা ভাত খেতেন, এখন কাকার ছেলে স্বাভাবিক খাবার খেতে পারেন না। ওই সময় ১০০ টাকা দিয়ে ইংরেজি খাবারের জন্য বাবুর্চি রাখা হয়েছিল তার জন্য।
শেখ হাসিনা বলেন, ইংরেজদের এই সাহেবি খাবারই খাওয়া শিখলেন মইনুল, কথা বলা, ভদ্রতার কিছুই শেখেন নাই। তার সম্পর্কে আরো অনেক কিছু জানি। এখন সব বলব না। পরে বলব।’
প্রধানমন্ত্রী বলেন, এই লোকটিই এখন খুনি, দুর্নীতিবাজ, মানি লন্ডারিংয়ে জড়িত, জঙ্গিবাদ সৃষ্টিকারী, অগ্নি সন্ত্রাসীদের সঙ্গে জোট করেছেন। জোট করেছেন, নির্বাচনে আসেন অসুবিধা নাই। কিন্তু, এই জোটের নামে অরাজকতা সৃষ্টি করা হলে কোনো ছাড় দেয়া হবে না।
এনই/