• বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১
  • ||

মঞ্জুর হত্যা মামলার অধিকতর তদন্ত প্রতিবেদন ১৮ নভেম্বর

প্রকাশ:  ২২ অক্টোবর ২০১৮, ০১:০১
নিজস্ব প্রতিবেদক

মেজর জেনারেল আবুল মঞ্জুর হত্যা মামলার অধিকতর তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল করা হয়নি। আগামী ১৮ নভেম্বর নতুন করে তারিখ নির্ধারণ করেছেন আদালত। এ মামলার প্রধান আসামী জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ।

রোববার (২১ অক্টোবর ) ঢাকার প্রথম অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ প্রদীপ কুমারের আদালতে তদন্ত প্রতিবেদনের জন্য দিন ধার্য ছিল।

সম্পর্কিত খবর

    তদন্ত কর্মকর্তা পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগের (সিআইডি) বিশেষ পুলিশ সুপার আবদুল কাহার আকন্দ তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল না করায় নতুন করে বিচারক এ দিন ধার্য করেন। আদালতের সরকারি কৌঁসুলি আসাদুজ্জামান খান রচি এ বিষয়ে সাংবাদিকদের নিশ্চিত করেছেন।

    মঞ্জুর হত্যা মামলার নথি থেকে জানা যায়, ১৯৮১ সালের ৩০ মে চট্টগ্রামে এক সেনা অভ্যুত্থানে তৎকালীন রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান নিহত হন। তখন চট্টগ্রাম সেনাবাহিনীর ২৪ পদাতিক ডিভিশনের জেনারেল অফিসার কমান্ডিং (জিওসি) ছিলেন আবুল মঞ্জুর।

    জিয়াউর রহমান নিহত হওয়ার পর আত্মগোপনে যাওয়ার পথে মঞ্জুরকে আটক করে পুলিশ। এরপর ওই বছরের ২ জুন মেজর জেনারেল মঞ্জুরকে পুলিশ হেফাজত থেকে চট্টগ্রাম সেনানিবাসে নিয়ে গুলি করে হত্যা করা হয়।

    ময়নাতদন্ত প্রতিবেদন ও মৃত্যুসনদ পেতে দেরি হওয়ায় ঘটনার ১৪ বছর পর ১৯৯৫ সালের ২৮ ফেব্রুয়ারি মঞ্জুরের ভাই আবুল মনসুর আহমেদ চট্টগ্রামের পাঁচলাইশ থানায় একটি মামলা করেন। ১৯৯৫ সালের ২৭ জুন এ মামলার তদন্ত কর্মকর্তা সিআইডির তৎকালীন সহকারী পুলিশ সুপার আবদুল কাহার আকন্দ সাবেক রাষ্ট্রপতি হুসেইন মুহম্মদ এরশাদসহ পাঁচজনকে আসামি করে আদালতে অভিযোগপত্র দেন।

    দীর্ঘ ১৯ বছর মামলাটি বিভিন্ন কারণে ঝুলে ছিল। বিচার চলাকালে পর্যায়ক্রমে ২২ জন বিচারক বিচারিক কার্যক্রমে নিয়োজিত ছিলেন। এর মধ্যে ২৩ জন বিচারক বিভিন্ন কারণে বদলি হয়েছেন।

    ২০১৪ সালের ২২ জানুয়ারি মামলার ২৩তম বিচারক হিসেবে ঢাকা প্রথম অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ হোসনে আরা আক্তার মামলাটির রায় ঘোষণার দিন ধার্য করেন। ওই দিন রাষ্ট্রপক্ষের যুক্তি উপস্থাপনের মধ্য দিয়ে মামলার কার্যক্রম শেষ হয়। এরই মধ্যে ওই বিচারককে বদলি করা হয়। নতুন বিচারক এসে রায় ঘোষণা না করে মামলাটি অধিকতর তদন্ত করে প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশ দেন।

    এদিকে, মামলার অন্য দুই আসামি মেজর জেনারেল (অব.) আবদুল লতিফ ও লেফটেন্যান্ট কর্নেল (অব.) শামসুর রহমান শমসেরের বিরুদ্ধে মামলার কার্যক্রম হাইকোর্টের নির্দেশে স্থগিত আছে। এ মামলায় অভিযোগপত্রের ৪৯ সাক্ষীর মধ্যে ২৮ জনের সাক্ষ্যগ্রহণ হয়েছে।

    সাক্ষ্যগ্রহণ শেষে ২০১২ সালের ২ অক্টোবর আত্মপক্ষ সমর্থন করে নিজেকে নির্দোষ দাবি করেন প্রধান আসামি এরশাদ। এর সমর্থনে আদালতে লিখিত বক্তব্যও দাখিল করেছেন তিনি।

    • সর্বশেষ
    • সর্বাধিক পঠিত
    close