‘সরকার সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে অনধিকারমূলক নজরদারি চালাচ্ছে’
জাতীয় নির্বাচনকে সামনে রেখে বাংলাদেশ সরকার সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে নিবিড় ও অনধিকারমূলক নজরদারি এবং পর্যবেক্ষণ চালাচ্ছে বলে অভিযোগ করেছে নিউ ইয়র্কভিত্তিক মানবাধিকার সংস্থা হিউম্যান রাইটস ওয়াচ ।
সংস্থাটি জানায়, যা সরকারের সমালোচনা সীমিত করারই চেষ্টা। এতে মানুষের কথা বলার স্বাধীনতার ওপর মারাত্মক প্রভাব পড়বে বলে উদ্বেগ তৈরি হয়েছে।
সম্পর্কিত খবর
শুক্রবার (২০ অক্টোবর) এক বিবৃতিতে হিউম্যান রাইটস ওয়াচ বলেছে, রাজনৈতিকবিরোধী, সাংবাদিক, ভাষ্যকার ও সম্প্রচার মাধ্যমের বিরুদ্ধে নতুন নতুন দমনমূলক আইন ও নীতি ব্যবহার করছে বাংলাদেশ সরকার।
মানবাধিকার সংস্থাটি বিবৃতিতে আরও জানায়, আগামী জানুয়ারি মাসের মধ্যে বাংলাদেশে জাতীয় নির্বাচন হতে পারে। বিরোধী দলগুলো ও নিরপেক্ষ পর্যবেক্ষকদের আশঙ্কা, গোপনীয়তা ও স্বাধীন মতপ্রকাশের বিরুদ্ধে ক্রমবর্ধমান দমনপীড়ন নির্বাচনকালে বক্তব্য ও সরকারের সমালোচনা সীমিত করারই এক চেষ্টা। যদিও সরকার দাবি করছে, এসব চেষ্টার লক্ষ্য হলো ক্ষতিকর গুজব, ভুয়া তথ্য এবং আইনশৃঙ্খলা রক্ষার ক্ষেত্রে আপত্তিকর বিষয়বস্তুর প্রকাশ ঠেকানো।
হিউম্যান রাইটস ওয়াচের এশিয়া অঞ্চলের পরিচালক ব্র্যাড অ্যাডামস বলেন, বিরোধী ও সমালোচকদের কণ্ঠ রোধ করতে জননিরাপত্তার বিষয়টিকে দাবি হিসেবে ব্যবহার করছে বাংলাদেশ।নির্বাচনের আগে সরকারের এমন নজরদারিতে ব্যক্তিগত গোপনীয়তা ও মতপ্রকাশের স্বাধীনতার অধিকার লঙ্ঘিত হচ্ছে।
বিবৃতিতে বলা হয়, বাংলাদেশে ফেসবুক ব্যবহারকারীর সংখ্যা দুই কোটি ৮০ লাখ। সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যম যখন ভিন্নমত প্রকাশ ও প্রতিবাদ সংঘটিত করার গুরুত্বপূর্ণ মাধ্যম হয়ে উঠেছে, তখন কর্তৃপক্ষ বিভিন্ন সামাজিক যোগাযোগের প্ল্যাটফর্ম ও ইন্টারনেটভিত্তিক যোগাযোগের ওপর নজরদারি চালাচ্ছে। এর ধারাবাহিকতায় সরকারের সমালোচনার জন্য সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ব্যবহার করায় এরই মধ্যে লোকজনকে গ্রেপ্তার করার ঘটনা ঘটেছে।
/এসএফ