প্রশ্নফাঁস: ৬ জনের রিমান্ড, ৫ জনের স্বীকারোক্তি
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদভুক্ত 'ঘ' ইউনিটের প্রশ্ন দেওয়ার নাম করে ডিজিটাল জালিয়াতির অভিযোগে শাহবাগ থানায় দায়ের করা মামলায় ৬ আসামির দুই দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত। এ ছাড়া মেডিকেলে ভর্তি পরীক্ষার প্রশ্ন ফাঁসের অভিযোগের মামলায় আটক পাঁচজন দোষ স্বীকার করে জবানবন্দি দিয়েছেন।
রবিবার (১৪ অক্টোবর) ঢাকা মহানগর হাকিম আদালতের বিচারক দেবব্রত বিশ্বাস শুনানি শেষে রিমান্ডের এই আদেশ দেন।
সম্পর্কিত খবর
রিমান্ডে যাওয়া আসামিরা হলেন- জাহিদুল ইসলাম (৪৫ ), ইনসান আলী রকি (১৯), মোস্তাকিম হোসেন (২০), সাদমান সালিদ (২১), তানভির আহমেদ (২১) ও আবু তালেব (১৯)।
প্রশ্নপত্র ফাঁসের অভিযোগে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে তাদের বিরুদ্ধে মামলা করা হয়। রবিবার ঢাকা মহানগর হাকিম দেবব্রত বিশ্বাস এই রিমান্ড মঞ্জুর করেন।
মামলার তদন্ত কর্মকর্তা শাহবাগ থানার এসআই আব্দুর রউফ বাহাদুর আসামিদের আদালতে হাজির করে সাত দিনের রিমান্ড আবেদন করেন।
গত ১৩ অক্টোবর রাতে শাহবাগ থানায় এই মামলা করেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান নিরাপত্তা কর্মকর্তা এসএম কামরুল আহসান। মামলায় ওই ছয়জনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাতনামা ব্যক্তিদের আসামি করা হয়।
এদিকে মেডিকেল কলেজে ভর্তি পরীক্ষার ভুয়া প্রশ্নপত্র ফাঁসকারী প্রতারক চক্রের পাঁচ সদস্য দুই দিনের রিমান্ড শেষে ঢাকা সিএমএম আদালতে দোষ স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন।
তারা হলেন, রিমান্ডে যাওয়া আসামিরা হলেন- পিরোজপুর ভান্ডারিয়ার কালাম গাজীর ছেলে কাউসার গাজী, চাঁদপুর মতলবের জাকির হোসেনের ছেলে সোহেল মিয়া, মাদারীপুর কালকিনির হাসানুর রশীদের ছেলে তারিকুল ইসলাম শোভন, নওগাঁ পত্নীতলার আলমের ছেলে রুবাইয়াত তানভির (আদিত্য) ও টাঙ্গাইল কালিহাতীর আনসার আলীর ছেলে মাসুদুর রহমান ইমন।
গত ১১ অক্টোবর এই আসামিদের দুই দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করে আদালত। ওই রিমান্ড শেষে তারা স্বীকারোক্তি করেছেন।
প্রসঙ্গত, গত ১০ অক্টোবর সন্ধ্যা ৭টার দিকে রাজধানীর যাত্রাবাড়ি এলাকার কাজলা ও দনিয়ায় অভিযান চালিয়ে দুটি মোবাইল ও একটি বিকাশ রেজিস্ট্রার খাতাসহ আসামিদের মধ্যে দুইজনকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। একই দিন রাত ৯টার দিকে বাড্ডা এলাকায় বিশেষ অভিযান চালিয়ে আলিফনগর এলাকা থেকে অপর তিনজনকে তিনটি মোবাইল ও দুটি ল্যাপটপসহ গ্রেপ্তার করে পুলিশ।
/এসএফ