• বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১
  • ||

পদ্মা সেতুর নামফলক উন্মোচন ও রেলসংযোগ কাজের উদ্বোধন

প্রকাশ:  ১৪ অক্টোবর ২০১৮, ১১:২৮ | আপডেট : ১৪ অক্টোবর ২০১৮, ১৩:২৫
মুন্সিগঞ্জ প্রতিনিধি

মুন্সীগঞ্জের মাওয়া গোলচত্বরে স্বপ্নের পদ্মা সেতুর নামফলক ও রেলসংযোগ প্রকল্পের উদ্বোধন করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

রোববার (১৪ অক্টোবর) সোয়া ১১টার দিকে পদ্মাপাড়ের মাওয়া প্রান্তে পৌঁছান প্রধানমন্ত্রী। এরপর ১১টা ১৭ মিনিটে তিনি পদ্মা সেতুর নামফলক উন্মোচন ও রেলসংযোগ প্রকল্পের নির্মাণ কাজের উদ্বোধন করেন।

এ সময় শিল্পমন্ত্রী আমির হোসেন আমু, বাণিজ্যমন্ত্রী তোফায়েল আহমেদ, কৃষিমন্ত্রী মতিয়া চৌধুরী, সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের, রেলমন্ত্রী মুজিবুল হক, নৌমন্ত্রী শাজাহান খান, বেসরকারি বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রী এ, কে, এম শাহজাহান কামাল ও সেনা বাহিনী প্রধানসহ উর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

প্রধানমন্ত্রী পদ্মা সেতুর নামফলক উন্মোচন ও রেলসংযোগ প্রকল্পের নির্মাণ কাজের উদ্বোধনের পাশাপাশি এন-৮ মহাসড়কের ঢাকা-মাওয়া এবং পাঁচ্চর-ভাঙ্গা অংশের অগ্রগতি পরিদর্শন, মূল নদীশাসন কাজ সংলগ্ন স্থায়ী নদীতীর প্রতিরক্ষামূলক কাজের শুভ উদ্বোধন ঘোষণা করেছেন। এরপর মাওয়া টোলপ্লাজা সংলগ্ন গোলচত্বরে সুধি সমাবেশে যোগ দেবেন।

মাওয়া প্রান্তের কর্মসূচি শেষে প্রধানমন্ত্রী পদ্মাসেতুর শরীয়তপুর জেলার জাজিরা প্রান্তে যাবেন। সেপ্রান্ত থেকেও তিনি পদ্মা সেতু রেলসংযোগ প্রকল্পের নির্মাণ কাজ উদ্বোধন (জাজিরা প্রান্ত) এবং পদ্মাসেতুর নামফলক উম্মোচন (জাজিরা প্রান্ত) করবেন।

বিকেলে প্রধানমন্ত্রী মাদারীপুরের শিবচর কাঁঠালবাড়ীর ইলিয়াছ আহমেদ চৌধুরী ফেরিঘাটে স্থানীয় আওয়ামী লীগ আয়োজিত জনসভায় যোগ দেবেন। জনসভা শেষে বিকেলেই প্রধানমন্ত্রীর ঢাকায় ফেরার কথা রয়েছে।

দক্ষিণাঞ্চলের ২১ জেলার মানুষের স্বপ্নকে বাস্তবে রূপ দিতে ২০০১ সালের ১২ জুলাই মুন্সীগঞ্জের লৌহজংয়ের কুমারভোগ এলাকায় পদ্মা সেতু নির্মাণকাজের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেন তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। কিন্তু সরকার পরিবর্তন পটভূমিতে ওই ৯ বছর কাজের কোনো অগ্রগতি হয়নি। এরপর ২০০৯ সালে শেখ হাসিনা সরকার গঠনের পর ফের সেতুটি নির্মাণের উদ্যোগ গ্রহণ করেন। ২০১২ সালে বিশ্বব্যাংক দুর্নীতির অভিযোগ তুলে ঋণ চুক্তি বাতিল করে।

বিশ্বব্যাংকের অভিযোগ মিথ্যা দাবি করে ২০১৩ সালের ৪ মে নিজ অর্থায়নে পদ্মা সেতু নির্মাণের ঘোষণা দেন প্রধানমন্ত্রী। ১২ ডিসেম্বর ২০১৫ সালে মুন্সীগঞ্জের মাওয়ায় পদ্মা সেতুর বাস্তবায়নের মূল পাইলিং কাজের উদ্বোধন করেন। এর আগে শরীয়তপুরের জাজিরার নাওডোবায় পদ্মা সেতু প্রকল্পের মূল কাজ উদ্বোধন করেন।

নিজস্ব অর্থায়নে নির্মিত পদ্মা সেতু হচ্ছে অর্থ ব্যয়ের দিক থেকে বাংলাদেশের ইতিহাসে সর্ববৃহৎ প্রকল্প এটি। ছয় দশমিক ১৫ কিলোমিটার দীর্ঘ সেতুটি হবে দেশের সবচেয়ে দীর্ঘ ও দক্ষিণ এশিয়ার দ্বিতীয় দীর্ঘতম সেতু। দ্বিতল এই সেতুর নিচতলা দিয়ে ট্রেন চলবে। সড়ক ও রেলপথে যুক্ত হবে দেশের দক্ষিণ ও দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের ২১ জেলা। প্রকল্প পরিকল্পনা অনুযায়ী, ২০১৮ সালের মধ্যে সেতুর কাজ শেষ হওয়ার কথা থাকলে বিভিন্ন কারণে নির্ধারিত সময়ের মধ্যে প্রকল্পের কাজ সম্পন্ন হওয়া নিয়ে সংশয় রয়েছে।

রোববার পদ্মা পাড়ে দুই সুধী সমাবেশে পদ্মা সেতু উদ্বোধনের সময়সীমা ঘোষণা করবেন এবং টানা তৃতীয় মেয়াদে সরকার গঠনের ধারাবাহিকতার সহায়তা চেয়ে নৌকার ভোট দেওয়ার আহ্বান জানাবেন প্রধানমন্ত্রী।

/অ-ভি

পদ্মাসেতু,রেলসংযোগ,কাজ,উদ্বোধন,প্রধানমন্ত্রী,শেখ হাসিনা
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত
close