• মঙ্গলবার, ১৬ এপ্রিল ২০২৪, ৩ বৈশাখ ১৪৩১
  • ||
শিরোনাম

‘মানুষ যেন কৌশিককে সারাজীবন মনে রাখে’

প্রকাশ:  ০৫ অক্টোবর ২০১৮, ১২:৩৯
স্পোর্টস ডেস্ক

হাঁটুতে অস্ত্রোপচার হয়েছে সাত সাতটি। লিগামেন্টে আরেকবার কিছু হলে ঘটে যেতে পারে অনেক বড় অঘটন। কিন্তু খেলার মাঠে কোনওদিন তা পাত্তা দেন না।তবে মাঠে তিনি একটু পড়ে গেলেই যেখানে দর্শকদের বুকের কম্পন বেড়ে যায়, অথচ তিনি কিনা প্রয়োজনে ঝাঁপিয়ে পড়ে ফিল্ডিং করতে তিনি দ্বিধা করেন না। বলছিলাম বাংলাদেশ ক্রিকেট দলের প্রাণ ভোমরা মাশরাফি বিন মর্তুজার কথা।

মাশরাফি একটি স্বপ্নের নাম, কোটি ভক্তের প্রিয় নাম। বাংলাদেশের ক্রিকেটের আস্থা তিনি। আর নিজের নামের প্রতি ধারাবাহিকভাবেই সুবিচার করছেন সবার প্রিয় ‘ম্যাশ’। তার ছোয়ায় বাংলাদেশ ক্রিকেট দল যেন কেমন করে বদলে যায়। মাশরাফির উপস্থিতিতে প্রাণ ফিরে পান বাংলাদেশের ক্রিকেটাররা। বলা যায় মাশরাফি যেন আমাদের জন্য এক টুকরো পরশ পাথর।

চৌত্রিশ বছর পেরিয়ে আজ পঁয়ত্রিশে পা দিয়েছেন মাশরাফি। এই ৩৪ বছরের জীবনে কত পাওয়া না পাওয়ার গল্প আছে সেটা তার সাথে আড্ডা না দিলে অনেক কিছুই অজানা রয়ে যাবে। নড়াইলের সেই চিত্রাপাড়ের কৌশিক আজ গোটা বিশ্বের কাছে পরিচিত মাশরাফি বিন মুর্তজা নামে। কৌশিক নামে তাকে কয়জনই বা ডাকে কিন্তু মা হামিদা মুর্তজার কাছে তিনি কৌশিকই। শুধু মা একাই নন, বাবা-আত্মীয়-স্বজন কিংবা বন্ধু-বান্ধব, সবার কাছেই তিনি কৌশিক নামেই পরিচিত।

ছেলের ৩৫তম জন্মদিন তাতে কী, মায়ের কাছে কৌশিক এখনও খোকা। ছেলের জন্মদিনে মায়ের প্রত্যাশা যতদিন বেঁচে থাকে তার খোকা (কৌশিক) যেন মাথা উঁচু করে বাঁচে।

দেশের একটি অনলাইনকে মাশরাফি বিন মুর্তজার মা হামিদা মুর্তজা বলেন, আমি চাই ওকে যেন সারাজীবন মানুষ মনে রাখে। ও এখন যেমন সবার প্রিয় মাশরাফি হয়ে আছে আজীবনও যেন এভাবেই বেঁচে থাকে। আমি আমার জীবনের শেষ দিন পর্যন্ত এমনই দেখতে চাই ওকে।

তিনি আরও বলেন, ও যতদিনই বেঁচে থাকে ততদিন যেন সুস্থভাবে বেঁচে থাকতে পারে। আমার বিশ্বাস কৌশিক দেশকে অনেক কিছু দেবে আগামীতে। দেশের মানুষ যেন আমার কৌশিকের জন্য দোয়া করেন।

আজ শুধু মাশরাফি বিন মুর্তজার একার জন্মদিন নয়। তার ছেলে সাহেল মুর্তজারও জন্মদিন। মা হামিদা মুর্তজার কোল আলোকিত করে কৌশিক দুনিয়াতে এসেছিলেন ১৯৮৩ সালের ৫ অক্টোবর। আর ছেলে সাহেলও এসেছে একইদিনে ২০১৪ সালে।

২০০১ সালে বাংলাদেশ ক্রিকেটে অভিষেকের বছরই প্রথমবার ইনজুরিতে পড়েন। ছিটকে যান ২০১১ বিশ্বকাপ থেকেও। মিরপুর শেরে বাংলা স্টেডিয়াম সংলগ্ন একাডেমি মাঠে কান্নায় ভেঙে পড়েন। কিন্তু পিছিয়ে যাননি। বারবার ইনজুরির ছোবলে পড়া এই ডানহাতি পেসার সাদা পোশাকে মাত্র ৩৬টি টেস্ট খেলেছেন। নিয়েছেন ৭৮ উইকেট। ১৯৬টি ওয়ানডে ও ৫৪টি টি-টোয়েন্টি খেলে নেন ২৫১টি ও ৪২টি উইকেট।

তিনবার যে এশিয়া কাপের ফাইনাল খেলেছে বাংলাদেশ। তিনবারই নেতৃত্ব দিয়েছেন সামনে থেকে। দলকে নিয়ে গেছেন বিশ্বকাপের কোয়ার্টার কিংবা চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির সেমিতে।

শুধু একজন তারকাই নয়, বিশ্ব ক্রিকেটের মহাতারকা তিনি। যিনি মাঠে থাকা মানেই এ যেন এক অদম্য বাংলাদেশ। শুভ জন্মদিন কৌশিক। আরও অনেকদিন দৌঁড়ে চলুন দেশের জন্য।

/অ-ভি

কৌশিক,মাশরাফি বিন মর্তুজা,বাংলাদেশ,ক্রিকেট
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত
close