চ্যারিটেবল মামলা: আদালতে অনাস্থায় মুন্নার জামিন বাতিল, আদেশ মঙ্গলবার
বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়াসহ চারজনের বিরুদ্ধে করা জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলার যুক্তিতর্ক শুনানিতে আদালতের প্রতি অনাস্থা জানানোয় আসামি জিয়াউল ইসলাম মুন্নার জামিন বাতিল করেছেন আদালত। একইসঙ্গে অনাস্থা বিষয়ে আদেশ ও যুক্তিতর্ক শুনানির পরবর্তী কার্যক্রমের জন্য মঙ্গলবার (২৫ সেপ্টেম্বর) দিন ধার্য করা হয়েছে।
সোমবার (২৪ সেপ্টেম্বর) পুরান ঢাকার নাজিম উদ্দিন রোডের পুরনো কেন্দ্রীয় কারাগারের ভেতর স্থাপিত পঞ্চম বিশেষ জজ আদালত এ আদেশ দেন।
সম্পর্কিত খবর
এ দিন আদালতে যুক্তি উপস্থাপনের দিন ধার্য ছিল। মামলার প্রধান আসামি খালেদা জিয়ার পক্ষে তার আইনজীবী সানাউল্লা মিয়া মামলার মুলতবি চেয়ে আবেদন করেন। অপরদিকে জিয়াউল ইসলাম ও মনিরুল ইসলাম খানও মুতলবি চেয়ে আবেদন করেন। বিচারক তাদের আবেদন নামঞ্জুর করলে আদালতের প্রতি অনাস্থা জানান মুন্না, একইসঙ্গে মনিরুল ইসলাম খানও।
তখন অস্থায়ী জামিনে থাকা মুন্নার জামিন বাতিল করেন আদালত। তবে মনিরুল ইসলাম খান স্থায়ী জামিনে থাকায় তার জামিন বহাল থাকে।
এছাড়া মুন্না ও মনিরুলের অনাস্থা বিষয়ে আদেশ এবং পরবর্তী যুক্তিতর্ক শুনানির জন্য মঙ্গলবার দিন ধার্য করেন আদালত।
মামলার যুক্তিতর্ক শুনানির জন্য দিন ধার্য ছিল গত ১২ সেপ্টেম্বর। কিন্তু সেদিন খালেদা জিয়াকে আদালতে হাজির করতে পারেনি কারা কর্তৃপক্ষ। তার পরিবর্তে খালেদার কাস্টডি আদালতে পাঠানো হয়। সেখানে উল্লেখ করা হয় খালেদা জিয়া আদালতে হাজির হতে ‘অনিচ্ছুক’। এরপর ১৩ সেপ্টেম্বরও খালেদার ‘অনিচ্ছা’র কথা জানিয়ে একই কাস্টডি পাঠানো হয় আদালতে।
সেদিন মামলার বাদী দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) আইনজীবী ও আসামিপক্ষের আইনজীবীদের বক্তব্য শুনে খালেদা জিয়ার অনুপস্থিতিতেই বিচার চলবে কি-না, এ বিষয়ে আদেশের জন্য ২০ সেপ্টেম্বর দিন ধার্য করেন আদালত।
এরপর ২০ সেপ্টেম্বর আদালত বলেন, খালেদা জিয়া বিচার পর্যায়ে ৪০ বার, আত্মপক্ষ সমর্থন পর্যায়ে ৩২ বার (আদালতে উপস্থিত হতে) সময় নিয়েছেন। গত ৮ ফেব্রুয়ারি অন্য একটি মামলায় কারাগারে যাওয়ার পর এতোদিন পর্যন্ত এ মামলার যুক্তিতর্ক করা শুরু করা সম্ভব হয়নি। কোনো আসামি যদি দিনের পর দিন (আদালতে) না আসেন, তবে তো মামলার বিচারপ্রক্রিয়া থেমে থাকতে পারে না।
তাই খালেদা জিয়াকে ছাড়াই অন্য আসামিদের পক্ষে এ মামলার যুক্তিতর্ক শুরুর জন্য আইনজীবীদের নির্দেশ দেন আদালত।
এরপর সেদিন কিছু সময় যুক্তিতর্ক শুনানি হয়। পরে এ শুনানির জন্য ২৪, ২৫ ও ২৬ সেপ্টেম্বর দিন ধার্যও করেন আদালত।
গত ৮ ফেব্রুয়ারি জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট মামলায় খালেদা জিয়া দণ্ডিত হওয়ার পর থেকে পুরনো কেন্দ্রীয় কারাগারে বন্দি আছেন। এরপর থেকে মামলার শুনানির দফায় দফায় তারিখ পড়লেও ‘অসুস্থ থাকায়’ চ্যারিটেবল ট্রাস্ট মামলায় আদালতে হাজির হতে পারেননি তিনি।
২০১০ সালের ৮ আগস্ট তেজগাঁও থানায় জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট মামলা করা হয়। এ ট্রাস্টের নামে অবৈধভাবে ৩ কোটি ১৫ লাখ ৪৩ হাজার টাকা লেনদেনের অভিযোগে এ মামলা করে দুদক।
/এসএম