• মঙ্গলবার, ১৬ এপ্রিল ২০২৪, ৩ বৈশাখ ১৪৩১
  • ||
শিরোনাম

সাত মাস পর ফের যমুনা সার কারখানায় উৎপাদন শুরু

প্রকাশ:  ১৮ সেপ্টেম্বর ২০১৮, ১১:১৮ | আপডেট : ১৮ সেপ্টেম্বর ২০১৮, ১১:২১
জামালপুর প্রতিনিধি

বিসিআইসি’র নিয়ন্ত্রাণাধীন জামালপুর জেলার সরিষাবাড়িতে অবস্থিত যমুনা সার কারখানা কেপিআই-১ মান সম্পন্ন দেশের বৃহৎ ও একমাত্র দানাদার ইউরিয়া উৎপাদনকারী শিল্প প্রতিষ্ঠান। এই সারকারখানা ৩৭০ পি এস আই চাপে ৪৬ এমএমসিএফডি গ্যাসে দৈনিক ১৭০০ মে. টন ইউরিয়া উৎপাদনে সক্ষম। এ কারখানা বৃহত্তর ময়মনসিংহসহ উত্তরাঞ্চলের ১৬ জেলায় সারের চাহিদা পূরণ করে আসছে।

গ্যাস সঙ্কটের কারণে দীর্ঘ ৭ মাস দেশের সর্ববৃহৎ দানাদার ইউরিয়া সার উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠান যমুনা সার কারখানা (জেএফসিএল) এর উৎপাদন বন্ধ ছিল। জানা গেছে, দফায় দফায় গ্যাস সঙ্কটের কারণে বন্ধ হয়ে যাওয়া যমুনা সার কারখানা প্রায় ৬শ’ কোটি টাকা লোকসান মাথায় নিয়েছে।

সম্পর্কিত খবর

    এই লোকসান মাথায় নিয়ে গত (১৬ সেপ্টেম্বর) দুপুরে জেএফসিএল কর্তৃপক্ষ পুনরায় কারখানার উৎপাদন শুরু করে।

    তিতাস গ্যাস ডিষ্ট্রিবিউশন কোম্পানী পেট্রোবাংলার গ্যাস ভিত্তিক বিদ্যুৎ উৎপাদন ও শিল্প খাতে গ্যাস সঙ্কট মোকাবেলার অজুহাতে চলতি বছরের ৩১ জানুয়ারী তিতাস গ্যাস কর্তৃপক্ষ যমুনা সারকারখানায় গ্যাস সরবরাহ বন্ধ করে দেয়ার পর আবারো সংযোগ পেয়ে সার উৎপাদন শুরু হয়েছে।

    দীর্ঘ প্রায় ৭ মাস বন্ধ থাকার পর গত ৯ সেপ্টেম্বর সরকারী সিদ্ধান্তে পুনরায় গ্যাস সরবরাহ পাওয়ায় শনিবার দুপুর ১২টায় কারখানা কর্তৃপক্ষ সার উৎপাদন শুরু করে। এর মাঝে এলাকাবাসী, এবং শ্রমিকদের আন্দোলনের কারনে গত ১৫ ফেব্রুয়ারী গ্যাস সরবরাহ পেয়ে কারখানা কর্তৃপক্ষ ১৯ ফেব্রুয়ারী সার উৎপাদন শুরু করে। গ্যাসের প্রেসার কম থাকায় ২০ দিন ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থায় কারখানা চললেও পূনরায় ৯ মার্চ রাতে কর্তৃপক্ষ গ্যাস সঙ্কটে সার উৎপাদন বন্ধ করে দেয়া হয়।

    কারখানাটি দীর্ঘ দিন বন্ধ থাকায় দানাদার ইউরিয়া সার ও এ্যামোনিয়া বিক্রি খাতে প্রায় ৬শ’ কোটি টাকা রাজস্ব আয় থেকে বঞ্চিত হয়েছে। চলতি বছরের ফেব্রুয়ারী থেকে সেপ্টেম্বর মাসের মাঝামাঝি পর্যন্ত প্রায় ২০৫ দিন যমুনা সারকারখানায় সার উৎপাদন বন্ধ ছিল বলে জানা গেছে। সার কারখানায় ১ দিন উৎপাদন বন্ধ থাকলে সরকারকে ৩ কোটি টাকার লোকসান গুনতে হয়। যমুনা সার কারখানায় থেকে ১৯টি জেলার প্রায় ২ হাজার সার ডিলার সার সরবরাহ করে থাকেন। দীর্ঘ দিন পর যমুনায় সার উৎপাদন শুরু হওয়ায় কারখানার কর্মকর্তা-কর্মচারী-শ্রমিক, এলাকার ব্যবসায়ী, পরিবহন শ্রমিকদের মাঝে উৎফুল্ল ভাব লক্ষ্য করা গেছে।

    এ ব্যাপারে যমুনা সার কারখানার ব্যবস্থাপনা পরিচালক মাহবুবা সুলতানা জানান, তিতাস গ্যাস ডিষ্ট্রিবিউশন কোম্পানী সেচ কাজে নিরবিচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ সরবরাহের জন্য কারখানার গ্যাস সরবরাহ বন্ধ করে দেয়। গত ৯ সেপ্টেম্বর সরকারী সিদ্ধান্তে পুনরায় গ্যাস সরবরাহ পাওয়ায় শনিবার ইউরিয়া সার উৎপাদন করতে সক্ষম হয়েছে। দেশের বৃহত্তম এই সার কারখানায় প্রতিদিন এক হাজার ৭০০ মেট্রিক টন দানাদার ইউরিয়া সার উৎপাদন হয়। কারখানার ইউরিয়া সার বাৎসরিক উৎপাদন লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে ৩ লক্ষ ৮০ হাজার মেঃ টন।

    ওএফ

    যমুনা সার কারখানায় পুনরায় উৎপাদন শুরু
    • সর্বশেষ
    • সর্বাধিক পঠিত
    close