• বৃহস্পতিবার, ১৮ এপ্রিল ২০২৪, ৫ বৈশাখ ১৪৩১
  • ||
শিরোনাম

ভাবির সঙ্গে পরকীয়ায় ভাইকে খুন

প্রকাশ:  ১৫ সেপ্টেম্বর ২০১৮, ১৬:৪৮ | আপডেট : ১৫ সেপ্টেম্বর ২০১৮, ১৬:৫৭
নিজস্ব প্রতিবেদক

ভাবি কাজল রেখার সঙ্গে প্রায় ৯ বছর ধরে পরকীয়া প্রেম চলছিলো দেবর আজমল হক মিন্টুর। এতে বাধা হয়ে দাঁড়ান বড় ভাই মনিরুজ্জামান মনির ওরফে মনু । তাই ভাবি ও দেবর মিলে পথের কাঁটা মনুকে সরাতে ৩ গুণ্ডাকে ভাড়া করেন।পরে সুযোগ বুঝে ভাড়াটে গুণ্ডারা মনুকে ছুরিকাঘাত করে হত্যা করে।

এ ঘটনায় পুলিশ নিহত মনুর স্ত্রী কাজল রেখা, তার ছোট ভাই আজমল হক মিন্টুসহ তিন ভাড়াটে খুনি আব্দুল মান্নান, সোহাগ ও ফাহিমকে আটক করেছে। এ সময় তাদের কাছ থেকে দুটি ছুরি ও মনুর ব্যবহৃত মোবাইল ফোন উদ্ধার করা হয়।

শনিবার (১৫ সেপ্টেম্বর) রাজধানীর গুলশানস্থ ডিসি কার্যালয়ে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে ডিসি মোস্তাক আহমেদ এসব তথ্য জানান।

এর আগে গেল ৮ সেপ্টেম্বর রাজধানীর বাড্ডা থানাধীন সাতারকুল এলাকায় রাস্তার পাশে গলা ও পেটে ছুরিকাঘাত করা একটি লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। পরে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে ময়নাতদন্তের জন্য নিয়ে গেলে অভিযুক্ত ছোট ভাই আজমলই নিশ্চিত করেন এটি তার বড় ভাই মনিরুজ্জামান মনি ওরফে মনুর লাশ।

পুলিশের ডিসি মোস্তাক আহমেদ বলেন, নিহতের স্ত্রী ও তার ছোট ভাইপিন্টুর মধ্যে ৯ বছর ধরে পরকীয়া প্রেম চলছিল। তাদের এই সম্পর্কের মাঝের বাধা সরানোর জন্য মনুকে দীর্ঘদিন ধরে হত্যার পরিকল্পনা করে আসছিল দেবর-ভাবি।

তিনি আরও বলেন, নিহত মনির ফেনীতে কাজ করতেন। তবে তার পরিবার থাকতো গ্রামের বাড়ি দিনাজপুরে। মিন্টু ঢাকার একটি সিকিউরিটি কোম্পানিতে কাজ করতেন। মাঝে একবার অসুস্থ হয়ে গ্রামের বাড়িতে গেলে ভাবির সঙ্গে অনৈতিক সম্পর্কে জড়িয়ে যান তিনি।

‘সম্প্রতি মনির বাড়ি যান, তখনই দেবর-ভাবি মিলে তাকে হত্যার পরিকল্পনা হয়। সে অনুযায়ী মিন্টু তার কোম্পানিতে কর্মরত মান্নানের সঙ্গে বিষয়টি আলাপ করে। মান্নান মিন্টুর প্রস্তাবে রাজি হয় এবং এজন্য এক লাখ টাকা দাবি করে। দর কষা-কষি শেষে এক লাখ টাকা দিতেই রাজি হয় এবং ৩০ হাজার টাকা অগ্রিম দেয় মিন্টু।’

মোস্তাক আহমেদ বলেন, ঢাকায় মিন্টু তার কনে দেখার কথা বলে বড়ভাই মনিরকে ঢাকায় আসতে বলেন। ছোটভাইয়ের অনুরোধে দিনাজপুর থেকে বাসে ঢাকার গাবতলীতে আসেন মনির। তিনি ঢাকার তেমন কিছু চিনতেন না। মিন্টুকে ফোন দিলে তিনি ঘাতক মান্নানকে বন্ধু পরিচয় দিয়ে তার নম্বরে যোগাযোগ করতে বলেন। মামলাটি তদন্তের একপর্যায়ে দেবর-ভাবিকে পুলিশের সন্দেহ হয়। পরে নিহতের স্ত্রী কাজল রেখাকে আটক করে পুলিশ।

পরবর্তীতে আধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহার ও ব্যাপক জিজ্ঞাসাবাদের পর তিনি এই খুনের পরিকল্পনার কথা স্বীকার করেন। কাজল এবং তার দেবর মিলে কিভাবে হত্যার পরিকল্পনা করেন এবং খুনিদের দিয়ে কিভাবে বাস্তবায়ন করেন, তার বিস্তারিত বর্ণনা দেন।

ইতোমধ্যে কাজল রেখার স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি আদালতে পেশ করা হয়েছে বলে জানান ডিসি মোস্তাক আহমেদ।

পরকীয়া,প্রেম
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত
close