• মঙ্গলবার, ১৬ এপ্রিল ২০২৪, ৩ বৈশাখ ১৪৩১
  • ||
শিরোনাম

মালয়েশিয়ায় ‘কষ্টের’ জীবন জলিলদের!

প্রকাশ:  ১৯ আগস্ট ২০১৮, ২৩:৫১
আহমাদুল কবির, মালয়েশিয়া

মালয়েশিয়ায় ‘কষ্টের’ জীবন কাটাতে হচ্ছে কুষ্টিয়ার ভেড়ামারা থানার যোগশর গ্রামের জলিলকে। জীবন ও জীবিকার তাগিদে প্রবাসে এ কষ্টই তার অন্ন জোগায়।

কুয়ালালামপুরের সি এইচ ই সি কন্সট্রাকশন কোম্পানীর অধীনে জালান ইপুহ এম আরটি প্রজেক্টে কাজ করেন তিনি। দিনরাতের অর্ধেকটা সময়ই তাকে কাজ করতে হয়।

বাংলাদেশের বহু যুবক কাজ করছেন এ প্রজেক্টে। দিন রাত ২০ ঘণ্টা কঠোর পরিশ্রম করে তবেই টিকে থাকতে হয় অভিবাসী এ শ্রমিকদের।

দেশ থেকে ২০০৭ সালে কলিং ভিসায় মালয়েশিয়ায় পাড়ি জমান জলিল। উদ্দেশ্য বাবা-মা, তিন ভাই,এক বোন ও এক মেয়ে সহ সংসারে স্বচ্ছলতা আনা। কলিং ভিসায় সে সময় প্রায় আড়াই লাখ টাকা খরচ করে মালয়েশিয়ায় আসা জলিল এ দেশে এখন রি-হিয়ারিং প্রোগ্রামের আওতায় বৈধ হওয়ার চেষ্টা করছেন। সব কার্যক্রম শেষ করে ভিসা পাওয়ার অপেক্ষায় আছেন।

জলিলের বেতনও আহামরি নয়। মাত্র ১১শ’ রিঙ্গিত। বাংলাদেশি মুদ্রায় মাত্র সাড়ে ২২ হাজার টাকা।

জলিল এ প্রতিবেদককে জানান, দুই বছর অবৈধ ছিলেন সে সময় কাজ করতে তার বেশ অসুবিধার মধ্যে পড়তে হয়। কারণ হরহামেশা চলে পুলিশের অভিযান। ধরা পড়লে গুনতে হয় মোটা অংকের অর্থ। এক বন্ধুর কল্যাণেই এই প্রজেক্টে কাজ। সরকারি প্রজেক্ট বলে পুলিশও খুব একটা ঝামেলা করে না। আর মালিকরা পুলিশের সঙ্গে একরকম বোঝাপড়া করেই অবৈধ শ্রমিকদের কাজ দেন। এর বিনিময়ে তারা অধিক কর্মঘণ্টা খাটিয়ে স্বল্প বেতন দেন। দু’দিক থেকেই লাভ মালিকদের।

তবে সম্প্রতি রিঙ্গিতের দাম পড়ে যাওয়ায় চিন্তিত জলিলের মতো প্রবাসী শ্রমিকদের। গতকাল (রোববার) বাড়িতে টাকা পাঠিয়েছেন রিঙ্গিত প্রতি ২০ টাকা ৫৪ পয়সা রেটে, ১৫ হাজার টাকা জানান জলিল।

অসহায় কণ্ঠে তিনি বলেন, দিন আবার রাইত কাজ আর কাজ। বাসায় গিয়া রান্না কইরা খাইয়া ঘুমাইতে ঘুমাইতে হাতে থাকে বড়জোড় ছয় থেকে সাত ঘণ্টা। আর ভালো লাগে না। তবু ও ৩ বছর বয়সী মেয়ে জান্নাতের দিকে তাকিয়ে এবং পরিবারের মূখে হাসিঁ ফুটাতে প্রবাসে ভূঁতের কষ্ট করতেই হবে আমার। প্রবাস ছাড়া দেশে গিয়ে কি করব? প্রবাসে কষ্টের বিনিময়ে পরিবার যদি সূখী থাকে আমিও সূখী।

মালয়েশিয়া
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত
close