এবার রডের বদলে সুপারি গাছ
এবার লোহার এঙ্গেলের (ভিম) এর পরিবর্তে আস্ত সুপারি গাছ দিয়ে ব্রিজ নির্মাণ করার প্রমাণ পাওয়া গেছে। সুপারি গাছ ব্যবহৃত ঝালকাঠির কাঁঠালিয়ায় এ ব্রিজটি নির্মাণের এক মাস যেতে না যেতেই রোববার (৫ আগস্ট) ভেঙে খালে পড়ে যায়।
জানা গেছে, উপজেলার আমুয়া ইউনিয়নের উত্তর বাঁশবুনিয়া গ্রামে সোনাখালী খালে ২০১৭-২০১৮ অর্থ বছরের এডিপির (বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচি) অর্থায়নে ৩ লাখ টাকা ব্যয়ে একটি আয়রন ব্রিজ (উপরে সিমেন্টের পাটা) নির্মাণ কাজ করে মের্সাস ইদ্রিসউল আলম নামের এক ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান।
সম্পর্কিত খবর
এলাকাবাসীর অভিযোগ, ইঞ্জিনিয়ার অফিসকে ম্যানেজ করে সংশ্লিষ্ট ঠিকাদার ব্রিজের সঠিক সিডিউল না মেনে দুর্নীতির আশ্রয় নিয়ে খালের ভিতরে লোহার পুরাতন এঙ্গেল (ভিম) কোনোভাবে ব্যবহার করেন। এ ভিমের উপর তিনটি লোহার এঙ্গেল দেয়ার নিয়ম থাকলেও মাঝখানে বড় একটি সুপারি গাছ এবং দু’পার্শ্বে দু’টি এঙ্গেল দেয়া হয়। এর উপরে দেয়া হয় পাটাতন। গুনা ও নিম্নমানের কাঁচামাল দিয়ে বানানো হয় এ পাটাতন।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা গেছে, লোহার ভিমের পরিবর্তে সুপারি গাছ ব্যবহার করা হয়েছে। প্রশস্ত কম দেয়া এবং নিম্নমানের কাঁচামাল দিয়ে পাটাতন বানানোসহ গভীরে পিলার না বসানোর কারণে ব্রিজটি নির্মাণের এক মাসের ব্যবধানে ভেঙে খালে পড়ে যায়।
সংশ্লিষ্ট ঠিকাদার মো. ইদ্রিসউল আলমের সাথে যোযোগের জন্য তার মুঠোফোনে একাধিকবার ফোন করা হলেও তিনি রিসিভ করেননি।
উত্তর বাঁশবুনিয়া এলাকার সাবেক ইউপি সদস্য মোশারেফ হোসেনসহ স্কুল কলেজের অনেক শিক্ষার্থী জানায়, এই ব্রিজটি দিয়েই দক্ষিণ চেঁচরী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, চেঁচরী রামপুর মাধ্যমিক ও বালিকা মাধ্যমিক বিদ্যালয়, তফাজ্জল হোসেন মানিক মিয়া ডিগ্রি কলেজ, আমান উল্লাহ মহাবিদ্যালয়সহ বেশ কয়েকটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান এবং কাঁঠালিয়া উপজেলা সদর তথা ভান্ডারিয়া যেতে হয়। দীর্ঘদিন পর ব্রিজটি নির্মাণ করার কয়েক দিনের মধ্যে তা ভেঙে পড়েছে। এতে অবর্ণনীয় ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে।
কাঁঠালিয়া উপজেলা এলজিইডি প্রকৌশলী মো. আলমগীর কবির জানান, ওই ব্রিজের সিডিউলে দু’পার্শ্বে দু’টি এঙ্গেল (ভিম) ছিল। মাঝখানে ছিল না। নির্মাণ মিস্ত্রিরা তাদের নিজেদের ইচ্ছায় ব্রিজটি মজবুতের জন্য মাঝখানে একটি সুপারি গাছ দিয়েছে। কিছুটা অনিয়মের কারণে ব্রিজের একাংশ ভেঙে যাওযায় ঠিকাদাদের বিল আটকে দেয়া হয়েছে এবং ব্রিজটি দ্রুত মেরামতের নির্দেশ দেয়া হয়েছে।
/পি.এস