মির্জা ফখরুলের বক্তব্য রাষ্ট্রদ্রোহিতার শামিল : কাদের

শুধু নিরাপদ সড়ক নয়, নিরাপদ বাংলাদেশের জন্য এবার দেশকে স্বাধীন করুন- বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের এমন আহ্বান রাষ্ট্রদ্রোহিতার শামিল বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের।

শুক্রবার সন্ধ্যায় গুলিস্তানের বঙ্গবন্ধু এভিনিউয়ের আওয়ামী লীগ কার্যালয়ের সামনে আয়োজিত এক সমাবেশে তিনি একথা বলেন। ১৭ আগস্ট সারাদেশে সিরিজ বোমা হামলার প্রতিবাদ দিবসে মহানগর আওয়ামী লীগ সমাবেশটির আয়োজন করে।

বিএনপি মহাসিচব শুক্রবার জাতীয় প্রেসক্লাবে এক আলোচনা সভায় বলেন, ‘জনগণকে আহ্বান জানাব যে, শুধু এই নিরাপদ সড়ক নয়, নিরাপদ বাংলাদেশের জন্য আপনারা এগিয়ে আসুন, আপনারা জেগে উঠুন এবং আপনার দেশকে স্বাধীন করুন।

এ বক্তব্যের জবাবে ওবায়দুল কাদের বলেন, আমি প্রশ্ন রাখতে চাই এটা কি রাষ্ট্রদ্রোহিতার শামিল নয়? এর যদি বিচার করতে হয়, ফখরুলকে রাষ্ট্রদ্রোহিতার অভিযোগে বিচার করলে কি ভূল হবে? এ ধরণের কথা বলেও ফখরুল ইসলাম এখনও স্টিল নাও আছেন। এখনও আপনি এরেষ্টে হন নি, প্রকাশ্যে ঘুরে বেড়াচ্ছেন রাষ্ট্রদ্রোহী কথা বলে।

তিনি বলেন, কোন স্বাধীনতা? পাকিস্তানে ইমরান সরকার এসেছে, মহা খুশি, না? মহা খুশি আপনারা। ফখরুল ইসলাম আলমগীর সাহেব, অচিরেই টের পাবেন কত ধানে কত চাল।

আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, গোপন বৈঠক চলছে, দেশে বিদেশে ব্যংককে বসে বৈঠক চলছে। গত সাত দিনে কারা ঘনঘন যাতায়ত করছে, সেই খবর আমরা জানি। ব্যংকককে এখন ঘাটি করেছে। কারা কারা আসছেন, কারা যাচ্ছেন কি কি কথা হচ্ছে মনে করেছেন আমরা জানি না। আমি পরিস্কার ভাবে বলতে চাই ঢাকা অচল হবে না। বাংলাদেশ অচল করা যাবে না, বিএনপি অচল হয়ে যাবে। বিএনপি অচল হওয়ার সব উপাদান তারা যুক্ত করে ফেলেছে।

বিএনপির মুখের বিষ উগ্র হয়েছে দাবি করে কাদের বলেন, বিদেশিদের কাছে কাছে ধরণা দিচ্ছেন, বড়বড় কথা বলছেন। আসলে ব্যপারটা হচ্ছে, শরৎ বাবুর উপন্যাসে পড়েছিলাম মানুষের শক্তি যখন কমে আসে তখন মানুষের মুখের বিষ উগ্র হয়। মানুষের শক্তি যখন কমে আসে তখন তার মনের জোড় কমে যায় গলার জোর বেড়ে যায়। বিএনপির অবস্থা কি তাই নয়? শক্তি যখন কমে আসছে তাই বিএনপির গলার জোর বেড়ে গেছে। কথা বলতে বলতে লাগাম ছাড়া হয়ে গেছে, প্রধানমন্ত্রীকেও আক্রমন করে কথা বলছে।

ওয়ান ইলেভেন নিয়ে বিএনপি মহাসচিবের বক্তব্যের সমালোচনা করে কাদের বলেন, ওয়ান ইলেভেনের কথা বলেন, আমরা নাকি সেই ওয়ান ইলাভেনের কথা বলছি। আলমগীর সাহেব, ওয়ান ইলেভেনের পরিস্থিতি সৃষ্টি করার সব ধরণের ষড়যন্ত্র করছেন। খোঁজ খবর আমরা নিচ্ছি, তবে এই কথা বলে রাখি বাংলাদেশে আর ওয়ান ইলেভেন পরিস্থিতি সৃষ্টি হবে না। জনগন আপনাদের সব ধরণের চেষ্টা ব্যর্থ করে দিবে। এই ষড়যন্ত্র সফল হবে না।

বিএনপি যতদিন আছে দেশে অশান্তির আগুন জালাবে বলে মন্তব্য করেছেন ওবায়দুল কাদের। তিনি বলেন, আবার বলে বুকের উপর দানব সরকার, আমরা বলি বিএনপি নামক সাম্প্রদায়িক দানব পার্টি বাংলাদেশে যতদিন থাকবে এখানে অশান্তি দূর হবে না। দানব পার্টি যতদিন আছে দেশে অশান্তির আগুন জালাবে।

তিনি বলেন, আগামী নির্বাচনে এই দানবীয় পার্টির হাত থেকে বাংলাদেশের জনগন শেখ হাসিনার নেতৃত্বে উদ্ধার করতে হবে। অশুভ শক্তিকে শেখ হাসিনার নেতৃত্বে অপসারণ করতে হবে। বিএনপি ও তার সাম্প্রদায়িক অপশক্তির সব ধরনের ষড়যন্ত্রকে দাঁত ভাঙ্গা জবাব দিতে আপনারা প্রস্তুত? প্রস্তুত হন।

মহানগর দক্ষিন আওয়ামী লীগের সভাপতি আবুল হাসনাতের সভাপতিত্বে আরো বক্তব্য রাখেন আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক জাহাঙ্গীর কবির নানক, সাংগঠনিক সম্পাদক এ কে এম এনামুল হক শামীম, খালিদ মাহমুদ চৌধুরী, দপ্তর সম্পাদক আবদুস সোবহান গোলাপ, মহানগর দক্ষিনের সাধারণ সম্পাদক শাহে আলম মুরাদ, উত্তরের সাধারণ সম্পাদক সাদেক খান প্রমুখ।